জুমবাংলা ডেস্ক: সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক হিসেবে কাউকে প্যানেল করে নিয়োগ দেওয়ার সুযোগ নেই বলে সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে। সুতরাং ‘প্যানেল থেকে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ করা হবে’- এমন প্ররোচনায় কোনো প্রকার অর্থ লেনদেন না করতে সতর্ক করে সবার প্রতি অনুরোধ করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।
মঙ্গলবার (১ ডিসেম্বর) অধিদপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘কিছু স্বার্থান্বেষী মহল’ মাঠ পর্যায়ে ‘তথাকথিত প্যানেল’ থেকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের কথা বলে প্রার্থীদের কাছ থেকে অর্থ আদায় করছে বলে অধিদপ্তর জানতে পেরেছে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সকলের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, ২০১৮ সালের ৩০ জুলাই সারাদেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকের শূন্য পদে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে ওই বছরের ৩০ অগাস্ট পর্যন্ত আবেদন গ্রহণ করা হয়। সকল আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে ২০১৯ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত সকল শূন্য পদ তথা ১৮ হাজার ১৪৭টি পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে কোনো প্যানেল করার বিষয় উল্লেখ ছিল না। ফলে এ নিয়োগে কোনো প্যানেল বা অপেক্ষমান তালিকা করা হয়নি।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রায় ৩০ হাজার সহকারী শিক্ষক নিয়োগ দিতে গত ১৯ অক্টোবর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শূন্য পদে শিক্ষক নিয়োগকে ‘রুটিন প্রক্রিয়া’ হিসেবে বর্ণনা করে অধিদপ্তর বলেছে, ভবিষ্যতে শূন্য পদ হবে বিবেচনা করে প্যানেল করার কোনো সুযোগ নেই।
এর ব্যাখ্যায় অধিদপ্তর বলেছে, ২০১৯ সালের ৩০ জুনের পর রাজস্ব খাতে বিভিন্ন পদ শূন্য হয়েছে এবং জাতীয়করণ হওয়া নতুন প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণির জন্য গত ২ জানুয়ারি সহকারী শিক্ষকের পদ সৃষ্টি করা হয়েছে। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ছাড়া এসব পদে কাউকে নিয়োগ দেওয়া আইনানুগভাবে সম্ভব না হওয়ায় গত ১৮ অক্টোবর নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির প্রেক্ষিতে গত ২৪ নভেম্বর পর্যন্ত ১৩ লাখ প্রার্থী অনলাইনে আবেদন করেছেন। প্যানেল থেকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ করা হবে মর্মে বিভ্রান্ত হয়ে কোনো স্বার্থান্বেষী মহলের প্ররোচনায় কোনো প্রকার অর্থ লেনদেন না করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে অনুরোধ করা হলো।
আরো পড়ুন: প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ: এক পদের বিপরীতে ৪০ প্রার্থী
সম্পূর্ণ নিরপেক্ষভাবে ও স্বচ্ছতার ভিত্তিতে সরকারি বিধি-বিধান অনুসারে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ করা হয় জানিয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর বলছে, অর্থ লেনদেন বা অন্য কোনো অনৈতিক উপায়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ পাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।