আন্তর্জাতিক ডেস্ক : টানা দুই বছরেরও বেশি সময় ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযান নামে আগ্রাসন চালাচ্ছে রাশিয়া। দীর্ঘ এই সময়ে পাল্টাপাল্টি হামলায় হাজারও মানুষের প্রাণহানি হয়েছে। সম্প্রতি পশ্চিমা মিত্র দেশগুলোর সহায়তায় টান পড়ায় ইউক্রেন এই সংঘাতে অনেকটা চাপে পড়েছে।
এরই জেরে সম্প্রতি ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ ইউক্রেনে সেনা পাঠানোর বিষয়টি নিয়ে সরব হওয়ার পর বাড়ে উত্তেজনা। ম্যাক্রোঁর সেই মন্তব্য পশ্চিমা বা ন্যাটো সমর্থন না পেলেও রাশিয়া এখন দাবি করছে, চলতি এপ্রিল মাসেই ইউক্রেনে সৈন্য পাঠাতে পারে ফ্রান্স। আর সেই সৈন্যের সংখ্যা হতে পারে দেড় হাজার পর্যন্ত।
রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা বুধবার এই তথ্য জানিয়েছেন। খবর আনাদোলু এজেন্সি
গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মস্কোতে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বক্তৃতাকালে জাখারোভা বলেন- ফ্রেঞ্চ ফরেন লিজিয়নের কমান্ড স্টাফরা গত মার্চের শুরুতে একটি কৌশলগত ব্যাটালিয়ন দল গঠন করেছে, যার উদ্দেশ্য হচ্ছে তাদেরকে ইউক্রেনে পাঠানো।
তিনি আরও বলেন, ইউক্রেনে পাঠানোর জন্য প্যারিসের একটি সামরিক কন্টিনজেন্টের সক্রিয় প্রস্তুতি সম্পর্কে নতুন গোয়েন্দা তথ্য আসছে। এই লক্ষ্যে গত মার্চের শুরুতে ফ্রেঞ্চ ফরেন লিজিয়নের কমান্ড স্টাফরা প্রায় ১৫০০ জনের সমন্বয়ে একটি ব্যাটালিয়ন কৌশলগত গ্রুপ গঠনের অনুমোদন দেয়। আর এপ্রিলে সম্পূর্ণ যুদ্ধ প্রস্তুতির সঙ্গে তাদেরকে বিমানে করে ইউক্রেনে পাঠানো হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এর আগে ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে ইউক্রেনে সেনা পাঠানোর বিষয়টি উড়িয়ে দেওয়া যায় না বলে জানিয়েছিলেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। যদিও এই বিষয়ে তখন পর্যন্ত ঐকমত্য হয়নি বলেও জানিয়েছিলেন তিনি।
এছাড়া স্লোভাকিয়ার প্রধানমন্ত্রীও সেসময় জানান, কিছু পশ্চিমা রাষ্ট্র ইউক্রেনে সেনা পাঠাতে দ্বিপাক্ষিক চুক্তির কথা বিবেচনা করছে।
যদিও প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁর মন্তব্যের একদিন পরই ইউক্রেনে সেনা পাঠানোর পরিকল্পনা অস্বীকার করে সামরিক জোট ন্যাটো। মার্কিন নেতৃত্বাধীন এই জোটটি সেসময় জানায়, ইউক্রেনে সেনা পাঠানোর কোনও পরিকল্পনা তাদের নেই।
ন্যাটোর সেক্রেটারি-জেনারেল সেসময় বলেন, ইউক্রেনে সৈন্য পাঠানোর কোনও পরিকল্পনা নেই। যদিও রাশিয়া দাবি করেছে, সেনা পাঠানো হলে পশ্চিমা সামরিক এই জোটের সাথে সরাসরি সংঘর্ষ শুরু করতে প্রস্তুত মস্কো।
অবশ্য রাশিয়ান ফরেন ইন্টেলিজেন্স সার্ভিসের প্রধান সের্গেই নারিশকিন দাবি করেছেন, ইউক্রেনে প্রায় ২ হাজার সৈন্য মোতায়েনের জন্য প্রস্তুতি শুরু করেছে ফ্রান্স।
এমনকি ফরাসি সামরিক বাহিনীর কিছু সদস্য ইতোমধ্যেই ইউক্রেনে যুদ্ধ করছে বলেও দাবি করেছেন তিনি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।