আন্তর্জাতিক ডেস্ক : প্রথমে নিজ সন্তানদের সামনেই স্ত্রীর মুখে বালিশচাপা দিয়ে শ্বাস রোধ করে হত্যা করেন পাষণ্ড স্বামী। এরপর উত্তপ্ত কড়াইতে সেদ্ধ করা হয় তার দেহ। এসব কিছু করার সময় উপস্থিত ছিলেন তাদের সকল সন্তান। সম্প্রতি পাকিস্তানের বন্দর নগরী করাচিতে পাশবিক এ ঘটনা। গত বৃহস্পতিবার (১৪ জুলাই) পাকিস্থানের স্থানীয় গণমাধ্যম জিও নিউজের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
গত বুধবার (১৩ জুলাই) নগরীর গুলশান-ই-ইকবাল এলাকার একটি বেসরকারি স্কুলের রান্নাঘরের কড়াই থেকে স্ত্রী নার্গিসের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তার একটি পা শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন অবস্থায় পাওয়া যায়। ওই স্কুলেই প্রহরী হিসেবে কর্মরত আছেন তার স্বামী আশিক। স্কুলের কর্মীদের জন্য বরাদ্দ করা একটি বাসায় থাকতেন ওই দম্পতি। তাদের ছয় সন্তান। ঘটনার পর নিহত ব্যক্তির ১৫ বছর বয়সী মেয়ে পুলিশের হেল্পলাইন ১৫-তে ফোন করে সাহায্য চায়। এরপর ঘটনাস্থলে পৌঁছায় মোবিনা টাউন পুলিশ। পরে লাশ উদ্ধার করে জিন্নাহ পোস্টগ্র্যাজুয়েট মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়।
ডিস্ট্রিক্ট ইস্ট করাচির জ্যেষ্ঠ পুলিশ সুপার আবদুর রহিম সেরাজি জিও নিউজকে বলেন, ওই নারীর স্বামী বাজাউর এজেন্সির বাসিন্দা। তিনি যে স্কুলে নিরাপত্তাপ্রহরীর কাজ করেন, সেটি প্রায় ৮ থেকে ৯ মাস ধরে বন্ধ আছে। ভয়াবহ ঘটনার পর আশিক তার ছয় সন্তানের মধ্যে তিনজনকে নিয়ে পালিয়েছেন। বাকি তিন সন্তান পুলিশের হেফাজতে। সেরাজি বলেন, ‘তিন শিশু আমাদের সঙ্গে আছে। তারা কাঁপছে এবং মানসিকভাবে আতঙ্কের মধ্যে আছে।’
এ হত্যার ঘটনায় এখনো প্রকৃত কারণ এখনো উদঘাটন করতে পারে নি পুলিশ। তবে প্রাথমিকভাবে জানা যায়, আশিক তার স্ত্রী নার্গিসকে অবৈধ সম্পর্কে জড়ানোর জন্য জোর করছিলেন। স্ত্রী তাতে সায় না দেওয়ায় তাকে হত্যা করা হয়। এরইমধ্যে এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চলছে।পুলিশ কর্মকর্তা আবদুর রহিম সেরাজি বলেন, ‘আমাদের কাছে তার (সন্দেহভাজনের) দুটি মুঠোফোন নম্বর আছে। তবে দুটি নম্বরই বন্ধ করে রেখেছেন। আমরা তার অবস্থান শনাক্তের চেষ্টা করছি। শিগগিরই তাকে গ্রেপ্তার করব।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।