জুমবাংলা ডেস্ক : চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে স্কুলছাত্র আরমান হোসেন রুবেলকে খুন করে হাত-পা বাঁধা লাশ ফেলে যায় হত্যাকারীরা। রাজনীতির আড়ালে লুকিয়ে থাকা খুনিদের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে পারছিলেন না তাঁর পরিবারের কেউই। একবছর ধরে সন্তানের খুনিদের বিচারের আওতায় আনার দাবি নিয়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরছিলেন বৃদ্ধ বাবা-মা। আশ্বস্ত করলেও কেউই এগিয়ে আসছিল না।
সবশেষ সন্তানের খুনিদের বিচারের দাবি নিয়ে গেল কোরবানির ঈদে কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা নিয়াজ মোর্শেদ এলিটের শরণাপন্ন হন তাঁরা। এলিট তাঁদের আশ্বস্ত করেন, খুনিদের আইনের আওতায় আনতে যথাসাধ্য চেষ্টা করার।
শনিবার (২২ জুন) রাত ১টায় মিঠানালা ইউনিয়নের পশ্চিম মিঠানালা ৬ নম্বর ওয়ার্ড থেকে রুবেল হত্যা মামলার আসামি মোক্তার হোসেনকে আটক করে পুলিশ। মোক্তার স্থানীয় মীর হোসেনের ছেলে। মিরসরাই থানা পুলিশ জানায়, থানা পুলিশের সহায়তায় নৌ পুলিশ মোক্তার হোসেনকে আটক করেছে।
রুবেলের ভাই বেলাল হোসেন বলেন, ‘আমরা অনেকের সাথে দেখা করে খুনিদেন বিচার চেয়েছি। খুনিরা এক বছরেও গ্রেপ্তার হয়নি। পরে আমি আমার মাকে নিয়ে যুবলীগের কেন্দ্রীয় নেতা নিয়াজ মোর্শেদ এলিটের বাড়িতে গিয়ে দেখা করে সহায়তা কামনা করি। তিনি প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ করে খুনিদের গ্রেপ্তারের আশ্বস্ত করেন। এর দুদিনের মধ্যে মোক্তার হোসেন আটক হয়েছে। বাকিরা দ্রুত গ্রেপ্তার হবে আশা করি। আমার পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর জন্য নিয়াজ মোর্শেদ এলিট ভাইকে কৃতজ্ঞতা জানাই।’
রুবেলের মা শিরিন আক্তার যুবলীগ নেতা এলিটের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, ‘ছেলে হত্যার দীর্ঘ এক বছরেও কাউকে আমাদের পাশে পাইনি। অনেকে কথা দিয়েও রাখেননি। মহান আল্লাহ এলিটকে দীর্ঘজীবী করুক। এবার আশায় বুক বেঁধেছি, এলিটের সহায়তায় পুত্র হত্যার বিচার পাবোই।’
২০২৩ সালের ১২ জুন মিরসরাইয়ের সুফিয়া বাজার এলাকা থেকে নিখোঁজ হন খৈয়াছড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র আরমান হোসেন রুবেল। ১৭ জুন মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চলের সুপার ডাইক বেড়িবাঁধ এলাকায় অর্ধগলিত হাতবাঁধা একটি লাশ দেখতে পান স্থানীয়রা। নৌ পুলিশ খবর পেয়ে লাশ উদ্ধারের পর পরনের পোশাক দেখে পরিবারের লোকজন মরদেহটি শনাক্ত করে, পরে ডিএনএ টেস্ট করে স্বজনদের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়।
রুবেল হত্যকাণ্ডে অভিযুক্ত আসামি গ্রেপ্তারের পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা। কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা নিয়াজ মোর্শেদ এলিটের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে খুনিদের বিচার নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছেন তারা।
আরএম রুমি নামে একজন লিখেছেন, ‘ধন্যবাদ লিডার। মিরসরাইবাসীর শেষ ভরসা নিয়াজ মোর্শেদ এলিট ভাই।। আপনি আবারও প্রমাণ করলেন মিরসরাইবাসীর ভাগ্য উন্নয়ন শেষ ভরসা আপনি।’
বাদশা খান লিখেছেন, ‘নেতার মত নেতা হলে মিরসরাইকে নতুন রূপে রূপকার করতে, এক ঘণ্টা সময় লাগবে না। ধন্যবাদ জানাই এলিট ভাইকে।’
ইউসুফ লিখেন, ‘ইনশাআল্লাহ লিডার আপনার মাধ্যমে একটা সঠিক বিচার হবে। এই মায়ের আহাজারিতে পুরো ১০ নম্বরের আকাশবাতাস এক হয়ে যাচ্ছে। আল্লাহ আপনাকে দীর্ঘ নেক হায়াত দান করুক।’
মনজুর মোর্শেদ ভুঁইয়া কনক লিখেছেন, ‘ন্যায় বিচার হওয়া উচিত।’
নাজমুল হাসান লিখেছেন, ‘আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ দীর্ঘদিন পর মামলাটার একটা গতি এনে দেওয়ার জন্য।’
ডালিম পারভেজ চৌধুরী লিখেছেন, অশেষ কৃতজ্ঞতা। মিরসরাইবাসীর আস্থা ও ভালোবাসার শেষ ঠিকানা নিয়াজ মোর্শেদ এলিট ভাই।
দেলোয়ার হোসাইন বলছেন, ‘একজন অসহায় মায়ের আর্তনাদ আপনার কমিটমেন্ট দ্রুততম সময়ের মধ্যে হত্যাকারী গ্রেপ্তার এটি মিরসরাইবাসীর কাছে এক অনন্য ইতিহাস হয়ে থাকবে লিডার আপনাকে অভিনন্দন।
ইফতেখার আহমেদ রসু লিখেছেন, ‘ধন্যবাদ জানাই গরিব দুখী অসহায় মানুষের শেষ ভরসা নিয়াজ মোর্শেদ এলিট ভাইকে।’
আছিফুর রহমান লিখেছেন, ‘ধন্যবাদ মিরসরাইবাসীর শেষ ভরসা নিয়াজ মোর্শেদ এলিট ভাই। আপনি আবারও প্রমাণ করলেন মিরসরাইবাসীর ভাগ্য উন্নয়ন শেষ ভরসা আপনি।’
মাইনুল ইসলাম ডিউক লিখেছেন, ‘বর্ণচোরাদের মুখোশ উন্মোচনে আপনার জুড়ি নেই। অনেক অনেক ধন্যবাদ নেতা।’
মো. বাদশা লিখেছেন, ‘ধন্যবাদ মিরসরাইবাসির আশার প্রদীপ। অসম্ভবকে সম্ভব করার নাম এলিট ভাই।
জাহিদুল ইসলাম লিখেন, ‘অসংখ্য ধন্যবাদ এবং আপনার আগামীর জন্যে অনেক বেশি শুভকামনা রইল।’
রোহান বাবু লিখেন, ‘এমন ভালো কাজে আপনার সহযোগিতা অব্যাহত থাকুক।’
ইয়াছিন রাজু লিখেন, ‘মিরসরাইয়ের জনগণ ও অসহায় মানুষের পাশে আপনি সব সময় থেকে মানুষকে শিখিয়ে দিন, আপনি জনগণের বন্ধু আপনি গরিব অসহায় মানুষের বন্ধু।’
মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম লিখেছেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ। মিরসরাইবাসীর সাথে সবসময় থাকবেন ইনশাআল্লাহ। আপনার এমন কাজগুলো অবশ্যই প্রশংসার দাবিদার।’
জিয়াউর রহমান লিখেছেন, ‘ধন্যবাদ এলিট ভাই। মিরসরাই আপনার দিকে তাকিয়ে আছে।’
আরমান লিখেন, ‘সৎ ও নীতিবান গরিব অসহায় মানুষের বন্ধু মিরসরাইয়ের গর্ব। সাকিব মির্জা লিখেছেন, ‘ধন্যবাদ আমাদের মিরসরাইবাসীর আগামীর ভবিষ্যৎ এলিট ভাইকে। আপনি আবারও প্রমাণ করেছেন মিরসরাইয়ের মানুষ আপনার হাতেই নিরাপদ।’
হাসান মাহমুদ আরিফ লিখেছেন, ‘গরিবের বন্ধু জনদরদী এলিট ভাইকে ধন্যবাদ। ৭ নং কাটাছড়া ইউনিয়নবাসী আপনার পক্ষে আছে।’
সালা উদ্দিন লিখেছেন, ‘মিরসরাইয়ের গরিব দুখী মানুষের একমাত্র আশ্রয়স্থল নিয়াজ মোরশেদ এলিট ভাই। আল্লাহ যেন আপনাকে নেক হায়াত দান করেন।’
মোহাম্মদ ইসমাইল হোসাইন লিখেছেন, ‘আপনার সাথে ওয়াদা করলাম আপনার জন্য দুই রাকাত নামাজ পড়ে দোয়া করবো।’
এজে মীর লিখেছেন, ‘মিরসরাইবাসীর শেষ ভরসা নিয়াজ মোর্শেদ এলিট ভাই।’
মোহাম্মদ মাসুদ রানা লিখেছেন, ‘আপনি আবারও প্রমাণ করলেন মিরসরাইবাসীর ভাগ্য উন্নয়নে শেষ ভরসা আপনি।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।