জুমবাংলা ডেস্ক : রাঙ্গামাটির বরকল উপজেলার ভূষণছড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মামুনুর রশিদ বিয়ে ও চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করে। এর ফলে তিনি গর্ভবতী হন। এ ঘটনায় বরকল থানায় গত ২৪ জুন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি দায়ের করে মামুনুর রশিদের বিরুদ্ধে। কিন্তু এতে কোন প্রতিকার পাননি ভুক্তভোগী নাসরিন আক্তার। ধর্ষণের শিকার হয়ে বর্তমানে তিনি একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। এই কন্যা সন্তানের পিতৃপরিচয় চান বলে ভুক্তভোগী নাসরিন আক্তার সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেন।
শনিবার (১০ অক্টোবর) বিকেলে রাঙ্গামাটি শহরের বনরূপাস্থ একটি রেস্তোরাঁয় ধর্ষণ মামলার আসামী ভূষণছড়া ইউপি চেয়ারম্যান মামুনুর রশিদ মামুন কর্তৃক প্রাণনাশের হুমকি এবং মিথ্যা মামলা থেকে প্রতিকার চেয়ে সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি করেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করা হয়েছে, চেয়ারম্যান মামুনুর রশিদ মামলা থেকে রেহাই পেতে দুই মাস পলাতক ছিলো। পরে চলতি বছরের ৯ সেপ্টেম্বর উচ্চ আদালত থেকে ৬ সপ্তাহের অগ্রিম জামিন নেন। জামিনে বেরিয়ে এসে সে এবং তার ক্যাডার বাহিনীর সবুর তালুকদার, মোঃ জলিল ও আরিফুল ইসলাম দ্বারা মামলা তুলে নিতে প্রাণনাশের হুমকি এবং তার বাবার বিরুদ্ধে আদালতে মিথ্যা মামলা দায়ে করেন চেয়ারম্যান মামুন রশিদ। এরপর চেয়ারম্যান মামুনুর রশিদ স্থানীয় এক ব্যক্তির ভূমি জবর দখল এবং গাছ কাটার দায়ে বর্তমানে কারাগারে আছেন। তবুও তার ক্যাডার বাহিনী দিয়ে স্থানীয়দের জমি দখল এবং একাধিক মিথ্যা মামলা দিয়ে তাদের হয়রানি করছে বলে অভিযোগ করা হয় সংবাদ সম্মেলনে।
লিখিত বক্তব্যে আরো অভিযোগ করা হয়, তার কন্যা শিশুর নাম মানসুরা আক্তার, বয়স মাত্র ৬ মাস মাত্র। এই শিশুকে নিয়ে অত্যাচারী মামুনুর রশিদের ভয়ে প্রশাসনের কাছে বিচার চেয়ে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরছেন। তাই সন্ত্রাসী চেয়ারম্যান মামুনুর রশিদের জামিন আবেদন বাতিল করে তাকে দেশের প্রচলিত আইনে শাস্তির জন্য জোর দাবি জানান। এসময় উপস্থিত ছিলেন, নাসরিন আক্তারের বাবা মোঃ নাছির, ফুফু সাহারা বেগম, মোঃ সেলিম প্রমুখ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।