আন্তর্জাতিক ডেস্ক: তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগান বলেছেন, সন্ত্রাসবাদের সমর্থক কোনো দেশকে ন্যাটো জোটে যোগ দেয়ার সুযোগ দেবে না আঙ্কারা। তিনি বলেছেন, তুরস্ক কোনমতেই অতীত ভুলের পুনরাবৃত্তি করবে না। খবর পার্সটুডে’র।
যখন ইউক্রেন এবং রাশিয়ার মধ্যকার চলমান সংঘাতের অজুহাতে ফিনল্যান্ড এবং সুইডেন ন্যাটো জোটে যোগ দেয়ার ব্যাপারে বিশেষভাবে তৎপর হয়ে উঠেছে এবং আমেরিকা ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশ বিষয়টিকে সমর্থন করছে তখন জোটের একমাত্র মুসলিম সদস্য দেশ তুরস্কের পক্ষ থেকে বিরোধিতা করা হচ্ছে।
আজারবাইজান সফর শেষে গতকাল (রোববার) দেশে ফেরার পর এরদোগানের সাংবাদিকদের বলেন, “যতক্ষণ পর্যন্ত তাইয়েব এরদোগান তুর্কি প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রপ্রধান আছে ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা নিশ্চিতভাবে সন্ত্রাসবাদের সমর্থকদেরকে ন্যাটো জোটে যোগ দেয়ার ব্যাপারে হ্যাঁ বলবো না।”
গত সপ্তাহে সুইডেন এবং ফিনল্যান্ডের দুটি প্রতিনিধিদল তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় তুর্কি কর্মকর্তাদের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা করে। তার আগে ১৭ মে ফিনল্যান্ড এবং সুইডেন ন্যাটো জোটে যোগ দেয়ার জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে আবেদন জানায়। কিন্তু তুরস্ক প্রথম থেকেই বলে আসছে, পিকেকে এবং ওয়াইপিজি গেরিলা গোষ্ঠীসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসবাদী সংগঠনকে সুইডেন এবং ফিনল্যান্ড আশ্রয়-প্রশ্রয় ও মদদ দেয়। সেক্ষেত্রে ন্যাটো জোটে যোগ দেয়ার ব্যাপারে আঙ্কারা কোনোভাবেই সমর্থন দেবে না।
মার্কিন নেতৃত্বাধীন ৩০ জাতির এ সামরিক জোটে নতুন কোন দেশকে সদস্য হিসেবে যোগ দিতে হলে সমস্ত সদস্য দেশকে একমত হতে হবে। সেক্ষেত্রে যতক্ষণ পর্যন্ত তুরস্ক বিরোধিতা অব্যাহত রাখবে ততক্ষণ পর্যন্ত ফিনল্যান্ড এবং সুইডেন ন্যাটো জোটের সদস্য হতে পারবে না। এরদোগান গতকাল পরিষ্কার করে বলেছেন, দেশ দুটি এখনো সন্ত্রাসীদের প্রতি সমর্থন প্রত্যাহারের ব্যাপারে সৎ এবং আন্তরিক নয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।