আন্তর্জাতিক ডেস্ক: উগ্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠী দায়েশের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য মার্কিন সেনাদের তার দেশে প্রয়োজন নেই। এমনটিই বলেছেন ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মুস্তাফা আল-কাজেমি।
তবে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক সময়সীমা ঘোষণা হবে চলতি সপ্তাহে মার্কিন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের ফলাফলের পর।
ইরাকি প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রশিক্ষণ এবং সামরিক গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহের জন্য ইরাক এখনও আমেরিকার কাছে সহযোগিতা চায় তবে কম্ব্যাট ট্রুপ প্রত্যাহার করার ব্যাপারে আমেরিকার কাছ থেকে সুনির্দিষ্ট সময়সীমা চাইবে। গত এপ্রিল মাসে ওয়াশিংটন এবং বাগদাদের মধ্যে আলোচনার পর আমেরিকা ইরাক থেকে সেনা প্রত্যাহারের কথা ঘোষণা করেছিল।
ইরাকের মাটি থেকে মার্কিন সেনাদের বহিষ্কারের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী মুস্তাফা আল- কাজেমি সরকারের ওপর দিন দিন চাপ বাড়ছে বিশেষ করে দেশটির প্রতিরোধকামী সংগঠনগুলো এই চাপ সৃষ্টি করেছে। এসব সংগঠন মনে করে মার্কিন সেনাদের উপস্থিতির কারণে ইরাকের ভেতরে অনেক সমস্যা তৈরি হচ্ছে। বহু সংগঠন প্রকাশ্যে বলেছে, মার্কিন সেনারা ইরাকের স্বার্থ বাদ দিয়ে ইহুদিবাদী ইসরাইলের স্বার্থ রক্ষা করছে।
২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে ইরাকের মাটিতে ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসি’র কুদস ফোর্সের সাবেক কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল কাসেম সোলাইমানি ও ইরাকের জনপ্রিয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন হাশদ আশ-শাবির সেকেন্ড ইন কমান্ড আবু মাহাদি আল-মুহান্দিসকে হত্যার পর ইরাক থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের ব্যাপারে দাবি দিন দিন জোরালো হয়েছে। এ বিষয়ে ইরাকের সংসদে সর্বসম্মতিক্রমে একটি প্রস্তাবও পাস হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।