আন্তর্জাতিক ডেস্ক: করোনা ভাইরাস ঠেকাতে নিত্যনতুন পদক্ষেপ নিচ্ছে বিভিন্ন দেশ। সেই ধারাতে ভারত নিয়েছে কিছু ব্যাতিক্রমি পদক্ষেপ। ভারতের মহারাষ্ট্রে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা সব থেকে বেশি হওয়ায় সেখানে যাদের হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হচ্ছে তাদের শরীরে ছাপ দিয়ে দেবার প্রথা চালু করেছে মহারাষ্ট্র সরকার।
মহারাষ্ট্রের স্বাস্থ্যমন্ত্রী রাজেশ তোপে বলেন, যাদের হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হচ্ছে তাদের বাম হাতে ছাপ মেরে দেওয়া হবে, যেন খুব সহজেই তাদের চিহ্নিত করা যায়।
মূখ্যমন্ত্রী উদ্ভব ঠাকরের সঙ্গে বড় কর্মকর্তাদের মিটিং শেষে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এই রাজ্যে করোনা ভাইরাস বা কোভিড-১৯ এ আক্রান্তের সংখ্যা ৩৯ জন। আর গত কয়েকদিনে সাতজন সন্দেহভাজন রোগী চিকিৎসা কেন্দ্র থেকে পালিয়েছে।
সোমবার সন্ধ্যার দিকে বৃহত্তর মুম্বাইয়ের মিউনিসিপাল কমিশনার প্রবীন পারদেশি হাসপাতাল ও বিমানবন্দরের সব কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন যেন যাদের হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হচ্ছে তাদের বাম তালুর উল্টা দিকে ছাপ মেরে দেওয়া হয় আইসোলেশনের তারিখ উল্লেখ করে। যেটা ১৪ দিন পরে শেষ হবে।
ঠাকরে বলেন, কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হওয়া কোনো অপরাধ নয়। তাদের অবশ্যই যথাযথ চিকিৎসা এবং মানসিক সমর্থন দিতে হবে। এসব পদক্ষেপ এই মহামারী রোগটি নিয়ন্ত্রণের জন্যই নেওয়া হচ্ছে এবং জেলা প্রশাসনকে অবশ্যই সচেতনতা তৈরি করতে হবে।
রাজেশ তোপে বলেন, নির্বাচনের সময় ভোটারদের হাতে যে কালি দেওয়া হয় সেই কালিতেই ছাপ দেওয়া হবে, যাতে করে কেউ মুছতে না পারে। হাতের উপরে লেখা থাকবে ‘এই ব্যক্তি/রোগী বাধ্যতামূলক হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন’ মার্চের ৩১ তারিখ পর্যন্ত এমনটা করা হবে।
এতে করে যদি তারা হোম কোয়ারেন্টাইন না মানে এবং হোম আইসোলেশনের সময়ে সাধারণ জনগণের সঙ্গে মিশে যায় তাহলে অন্যরা সহজে তাদের চিনতে পারবে।
যদি কেউ বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইন উপেক্ষা করে, হোম কোয়ারেন্টাইন ভেঙে ফেলে তখন রাজ্য সরকার সেটাকে দণ্ডযোগ্য অপরাধ হিসেবেই বিবেচনা করবে এবং তাকে জোরপূর্বক সরকারের আইসোলেশন সুবিধার মধ্যে পাঠানো হবে।
সেই সঙ্গে পূর্বপ্রস্তুতি হিসেবে শুধু যাদের অফিশিয়াল ডিউটি আছে তারা ছাড়া রাজ্য সরকারের হেডকোয়ার্টার মন্ত্রলয় এবং বড় কোনো জনসমাগমে প্রবেশ আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
আগামী তিনমাস সব ধরনের নির্বাচন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। শহরের পাশাপাশি গ্রামেও সবধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হয়েছে।
ঠাকরে এই মহামারী মোকাবেলায় ৪৫ কোটি রুপির বিশেষ ফান্ডের ঘোষণা দিয়েছেন। যাদের হোম কোয়ারন্টাইনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে তারা যেন অন্যদের ঝুঁকির কথা বিবেচনা করে স্বেচ্ছায় বাইরে যাওয়া বন্ধ রাখেন সেই অনুরোধও করেছেন তিনি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।