
জুমবাংলা ডেস্ক : মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণজনিত কারণে অসুস্থ হয়ে দীর্ঘদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর গত ৫ মে মারা যান রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মাহাবুবুর রহমান রাসেল। সেই শোক এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেনি পরিবার। এবার শোকাতুর পরিবারের আরেক সদস্য পাড়ি জমিয়েছেন ওপারে।
রবিবার (১০ মে) দুপুরে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে নিজ বাড়িতে বুকে ব্যথা উঠে মারা গেছেন ড. মাহাবুবুর রহমান রাসেলের আরেক ভাই মশিউর রহমান মুক্তি (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। রাত সাড়ে ১০টায় জানাজার পর রাসেলের কবরের পাশে পারিবারিক গোরস্তানে তার মরদেহ দাফন করা হবে বলে জানিয়েছে পরিবার।
ড. মাহাবুবুর রহমান রাসেলের চাচা আব্দুল মতিন জানান, জোহরের নামাজের পর মশিউর রহমান মুক্তির বুকে ব্যথা শুরু হয়। গ্যাসের ব্যথা ভেবে ওষুধ খান। পরে হঠাৎ মাথা ঘুরে মাটিতে পড়ে যান। প্রথমে তাকে গ্রামের চিকিৎসক দেখানো হয়। পরে ওই চিকিৎসক তাকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলেন।
তিনি আরও জানান, আমরা তাকে চন্দ্রগঞ্জ ন্যাশনাল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ব্যক্তিগত জীবনে মশিউর রহমান মুক্তি বিবাহিত ছিলেন। তার বড় মেয়ে অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী। ছোট সন্তানের বয়স চার বছর।
গত ৫ মে সকালে ঢাকায় আত্মীয়ের বাড়িতে থেকে চিকিৎসা নেওয়া অবস্থায় মারা যান ড. মাহাবুবুর রহমান রাসেল। প্রায় দুই দশক আগে তাদের বড় ভাই মিজানুর রহমান বিপ্লব হংকংয়ে মারা যান। তিনি এর আগে উপজেলা পর্যায়ে ছাত্রলীগের রাজনীতি করতেন।
বিপ্লবের মৃত্যুর আগে তাদের আরও এক বোনেরও মৃত্যু হয়েছিল। রাসেল ও মুক্তির বাবা-মা জীবিত আছেন। তাদের আরও দুই বোন এবং এক ভাই রয়েছে। মুক্তি প্রবাসী ছিলেন। কয়েক বছর আগে দেশে ফেরেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।