জুমবাংলা ডেস্ক : হাজারো শব্দে সমৃদ্ধ বিভিন্ন ভাষা। কিন্তু এসব শব্দের মধ্যে সবচেয়ে দীর্ঘ শব্দ কোনটি?
এই প্রশ্নের উত্তরে অনেকেই হয়তো ৩৪ অক্ষরবিশিষ্ট সুপারক্যালিফ্রাজিলিস্টিকেক্সপিয়ালিডোসিয়াস (Supercalifragilisticexpialidocious) শব্দটির প্রসঙ্গ টানবেন। ১৯৬৪ সালে ‘ম্যারি পপিন্স’ নামে একটি সিনেমার গানে এই শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছিল।
আবার কেউ কেউ অক্সফোর্ড ডিকশনারির দীর্ঘতম শব্দটির কথাও উল্লেখ করতে পারেন। ৪৫ অক্ষরে লেখা ওই শব্দটির উচ্চারণ দাঁড়ায়—নিউমোনোল্ট্রামাইক্রোস্কোপিসিলিকোভোলকানোকোনিওসিস (pneumonoultramicroscopicsilicovolcanoconiosis)। এই শব্দটি দিয়ে মূলত ফুসফুসের একটি রোগকে বোঝানো হয়। আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত থেকে উৎসারিত ক্ষুদ্র সিলিকা কণা শ্বাসের সঙ্গে প্রবেশ করলে এই রোগটি হয়।
তবে দ্য ইনডিপেনডেন্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উল্লেখিত শব্দ দুটির কোনোটিই আসলে সবচেয়ে দীর্ঘ শব্দ নয়। কারও কারও মতে, সবচেয়ে দীর্ঘ শব্দটি উচ্চারণ করতেই ২ থেকে ৩ ঘণ্টা সময় লাগতে পারে!
দীর্ঘতম ওই শব্দটির শুরু হয়েছে ‘মিথিওনিল’ (methionyl) অক্ষরসমূহ দিয়ে। আর শেষ হয়েছে, আইসোলিউসিন (isoleucine) অক্ষরগুলো দিয়ে। মূল শব্দটিতে এ দুটি শব্দের মাঝখানে রয়েছে আরও ১ লাখ ৮৯ হাজার ৮১৯টি অক্ষর! এটি মূলত ‘টিটিন’ নামে একটি প্রোটিনের পূর্ণ রাসায়নিক নাম। ৩৪ হাজারেও বেশি অ্যামাইনো অ্যাসিডের সমন্বয়ে এই প্রোটিনের সৃষ্টি হয়।
এর মানে এই নয় যে, শব্দটি কেউ উচ্চারণ করেনি। ২০১৭ সালে ইউটিউবার মিস্টারবিস্ট প্রায় দুই ঘণ্টা সময় ব্যয় করে শব্দটি উচ্চারণ করেছিলেন। আবার কেউ কেউ দাবি করেছেন, শব্দটি উচ্চারণ করতে তাদের প্রায় ৩ ঘণ্টা সময় লেগেছে।
বলা বাহুল্য, অভিধানবিদেরা এই শব্দটির পূর্ণ রূপের বদলে একটি সাংকেতিক ভাষায় চিহ্নিত করে। তাই মূল শব্দটিকে কোনো অভিধানে খুঁজে পাওয়া যাবে না।
এদিকে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস ঘোষণা করেছে—যে কোনো ভাষার ক্ষেত্রে বিশ্বের দীর্ঘতম শব্দটিতে ১৯৫টি সংস্কৃত অক্ষর রয়েছে। এই শব্দটি দিয়ে ভারতের তামিলনাড়ু নিকটবর্তী কাঞ্চি অঞ্চলের বর্ণনা করা হয়। ষোড়শ শতকে বিজয়ঙ্গার রাণী তিরুমালম্বের রচনায় শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছিল।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।