সরকারি সেবা নিত দেশের অতি ধনীরা সবচেয়ে বেশি ঘুষ দেন, আর ঘুষ প্রদানে শীর্ষে রয়েছেন নোয়াখালীর মানুষ। সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠান বিআরটিএ— এই প্রতিষ্ঠানে সেবা নিতে নিতে গিয়ে অন্তত ৬৩ দশমিক ২৯ শতাংশ নাগরিক দুর্নীতির শিকার হয়েছেন। এ ছাড়া সবচেয়ে কম ঘুষ দেওয়ার জেলা হিসেবে উঠে এসেছে চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাম। সেখানে এই হার ১০ দশমিক ৪৯ শতাংশ।

জরিপে দেখা গেছে, গত ১২ মাসে যারা সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন এবং ঘুষ দিয়েছেন, তাদের মধ্যে ৩৫ দশমিক ১৬ শতাংশই হলেন সবচেয়ে ধনী শ্রেণির। তুলনামূলকভাবে সবচেয়ে দরিদ্র শ্রেণিতে এই হার ২৫ দশমিক ৯২ শতাংশ। অর্থাৎ দেশের মানুষের আয় বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ঘুষ দেওয়ার প্রবণতাও বাড়ছে।
বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুরে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) ‘সিটিজেন পারসেপশন সার্ভের (সিপিএস) ২০২৫’ শীর্ষক এই জরিপের চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এ উপলক্ষে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের পরিসংখ্যান ভবনে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বিবিএস। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব আলেয়া আক্তার।
বিবিএসের মহাপরিচালক (ডিজি) মোহাম্মদ মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিকল্পনা বিভাগের সচিব এস এম শাকিল আখতার এবং পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ মাসুদ রানা চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে জরিপের তথ্য তুলে ধরেন সিপিএস প্রকল্পের পরিচালক রাশেদ-ই মাসতাহাব। স্বাগত বক্তব্য দেন বিবিএসের সেন্সাস উইংয়ের পরিচালক মো. মাহামুদুজ্জামান। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বিবিএসের এসডিজি সেলের ফোকাল পয়েন্ট কর্মকর্তা (উপপরিচালক) মো. আলমগীর হোসেন।
বিবিএস জানায়, গত ফেব্রুয়ারি মাসে দেশের ৬৪ জেলার ৪৫ হাজার ৮৮৮টি খানার ১৮ বছর ও তার বেশি বয়সের ৮৪ হাজার ৮০৭ নারী-পুরুষ এই জরিপে অংশ নেন। জরিপে নাগরিকদের দৃষ্টিভঙ্গি ও অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে নিরাপত্তা, সুশাসন, সরকারি সেবার মান, দুর্নীতি, ন্যায়বিচারে প্রবেশাধিকার ও বৈষম্যবিষয়ক টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যের (এসডিজি) ১৬ অভীষ্টের ৬টির অগ্রগতি মূল্যায়ন করা হয়।
ঘুষ প্রদানের ক্ষেত্রে জেলা পর্যায়ে বড় ধরনের বৈষম্য দেখা গেছে। জরিপের তথ্য অনুযায়ী, এক বছরে ঘুষ লেনদেনে শীর্ষে আছে নোয়াখালী জেলা। এই জেলায় সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগকারী নাগরিকদের মধ্যে ৫৭ দশমিক ১৭ শতাংশ ঘুষ দেওয়ার কথা জানিয়েছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



