জুমবাংলা ডেস্ক : বগুড়ায় কৃষকেরা অন্য ফসলের চাষ কমিয়ে দিয়েছেন। ফসলের বদলে সবজি চাষে ঝুঁকছেন তারা। কিন্তু এসকল সবজি চাষে কীটনাশকের ব্যবহার বেড়েছে।
কৃষকদের তথ্য অনুসারে ধানের চেয়ে সবজি চাষ লাভজনক। একই বছরে মৌসুম ভেদে বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষ করা যায়। ফসল ঘরে উঠতে সময় লাগে কম। তবে ফসল রক্ষায় জন্য ঘন ঘন ব্যবহার করতে হচ্ছে কীটনাশক।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, জেলায় এবার ৪৩৮৫ হেক্টর জমিতে আগাম শীতকালীন সবজির চাষ হয়েছে। এ ছাড়া আরও ১৩ হাজার ৫০ হেক্টর জমিতে শীতকালীন নানা জাতের সবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এবছর ৬ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে গ্রীষ্মকালীন সবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল। গত বছর জেলায় ৩৭০০ হেক্টর জমিতে শীতকালীন আগাম সবজি চাষ হয়। অন্যদিকে শীতকালীন সবজি চাষ হয়েছিল ১২৮১৩ হেক্টর জমিতে।
বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের একটি গবেষণা প্রকাশ পায়। যাতে জানা যায় বগুড়ায় উৎপাদিত কিছু টাটকা সবজিতে অতিমাত্রায় কীটনাশকের উপস্থিতি মিলেছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বগুড়ার উপপরিচালক দুলাল হোসেন। তিনি বলেন, বগুড়ার চাষিরা অতিমাত্রায় কীটনাশক ব্যবহার করেন সবজিখেতে। কীটনাশক ছিটিয়েই খেত থেকে সবজি তুলে বিক্রি করেন তারা যা ঠিক নয়। তবে ফসলে বিষাক্ত রাসায়নিক কীটনাশকের বিকল্প হিসেবে জৈব কীটনাশক ব্যাবহারে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।
পাশাপাশি কীটপতঙ্গ দমনের প্রাকৃতিক পদ্ধতি সমূহ ব্যবহার নিশ্চিত করতে চাষিদের নানাভাবে সচেতন করা হচ্ছে বলে তিনি জানান।
সরেজমিনে জেলার বিভিন্ন এলাকায় মাইলের পর মাইল জুড়ে শীতের বিভিন্ন রকম সবজির চাষ দেখা যায়। ইইতিমধ্যে বাজারে বেশ কিছু আগাম সবজির দেখা মিলেছে। বিশেষ করে মুলা, শিম, বাঁধাকপি, ফুলকপি, গাজর ইত্যাদি বাজারে উঠেছে। তবে বিগত বছরের তুলনায় এসব সবজির দাম অনেক বেশি।
চাষিরা জানান, ভালো দাম পাচ্ছেন এ বছর। তাই শীতকালীন সবজি চাষে তাঁদের আগ্রহ বেড়েছে। এদিকে চাষিদের পাশাপাশি শিক্ষিত তরুণেরাও সবজি চাষে ঝুঁকছেন ।
শেরপুর উপজেলার খামারকান্দি গ্রামের শিক্ষিত তরুন আবদুল আলিম (৩১)। এ বছর ৫ বিঘা জমিতে শীতকালীন সবজি চাষাবাদ করেছেন। তবে অতিমাত্রায় কীটনাশক এর বদলে ভারমি কম্পোস্ট সার ব্যবহার করছেন। পাশাপাশি অরগানিক পদ্ধতিতে পোকামাকড় দমন করছেন তিনি।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক বলেন, এ বছর সবজির ভালো দাম পেয়ে খুশি কৃষকেরা। যার কারণে তাঁরা শীতকালীন সবজি চাষে ব্যাপকভাবে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। পরিসংখ্যান অনুসারে এবার ২৩ হাজার ৯৩৫ হেক্টর জমিতে সবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। যাতে প্রায় ৪ লাখ ৭৮ হাজার ৭০০ মেট্রিক টন সবজি চাষের আশা করা হচ্ছে। এই উৎপাদিত সবজির বাজারমূল্য প্রায় ১০০ কোটি টাকা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।