জুমবাংলা ডেস্ক: সব দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্যবিদ্যালয়ে (বুয়েট) ভর্তি পরীক্ষা না নেওয়ার পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
আগামী ১৪ অক্টোবর বুয়েটে ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা।
বুয়েটের মেধাবী শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে ১০ দফা দাবিতে শুক্রবার বিকালে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বৈঠক করেন বুয়েট উপাচার্য অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম।
বৈঠকে বুয়েট ক্যাম্পাসে সাংগঠনিক ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ ঘোষণা, অভিযুক্ত ১৯ জন শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কারসহ ছাত্রদের অধিকাংশ দাবিই মেনে নেন ভিসি। কিন্তু ভর্তি পরীক্ষার বিষয়ে সমঝোতা ছাড়াই আলোচনা শেষ হয়।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দাবি, আগে আবরারের হত্যাকারীদের স্থায়ী বহিষ্কার করতে হবে, হল থেকে ছাত্র নেতাদের উচ্ছেদ করতে হবে, অতীতের নির্যাতনে দায়ীদের শাস্তি দিতে হবে, তারপর বুয়েটে একাডেমিক কার্যক্রম শুরু করতে দেওয়া হবে। এর আগে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া যাবে না।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, এখনো হলগুলোতে ছাত্রলীগ নেতারা কক্ষ দখল করে আছে। তাদের উচ্ছেদ না করা পর্যন্ত সাধারণ শিক্ষার্থীরা নিরাপদ নন। আগে ক্যাম্পাস নিরাপদ করতে হবে, তারপর স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু করতে হবে।
উল্লেখ্য, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পাদিত চুক্তি নিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ায় খুন হন বুয়েটের তড়িৎ কৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরার ফাহাদ।
গত রবিবার রাতে তাকে শেরেবাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষ থেকে ডেকে নিয়ে ২০১১ নম্বর কক্ষে বেধড়ক পেটান বুয়েট ছাত্রলীগের একদল নেতাকর্মী। নির্মম পিটুনিতে আবরার লুটিয়ে পড়েন। এরপর নিথর দেহ টেনেহিঁচড়ে নিচে নামানোর চেষ্টা করেন ঘাতকরা। পরে বুয়েটের চিকিৎসক এসে আবরারকে মৃত ঘোষণা করেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।