জুমবাংলা ডেস্ক : কঠোর লকডাউনের চতুর্থ দিনে রবিবার রাজশাহীতে একমাত্র কাঁচাবাজার ছাড়া ব্যবসায়ী দোকানপাট, সরকারি-বেসরকারি অফিস-আদালতসহ সব কিছুই বন্ধ আছে। কিন্তু সড়কে মানুষের চলাচল আবারও বেড়েছে। প্রতিদিনের মত আজও কঠোর অবস্থানে আছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। মোড়ে মোড়ে ব্যারিকেড দিয়ে চলছে তল্লাশি।
এরপরও সকাল থেকেই সড়কে বেড়েছে ব্যক্তিগত যানবাহন ও সাধারণ মানুষের চলাচল। বিভিন্ন অজুহাতে কয়েক দিনের তুলনায় রবিবার অনেক বেশি মানুষ বাইরে বেড়িয়েছেন।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা অস্থায়ী চেকপোস্ট বসিয়ে সড়কে যানবাহন চলাচল কমিয়ে আনার করার চেষ্টা করছেন। প্রধান প্রধান সড়কসমূহে চলছে পুলিশ, র্যাব ও সেনাবাহিনীর টহল। এরপরও কঠোরতা ভেঙে চলছে ব্যক্তিগত যানবাহন। এরমধ্যে প্রাইভেটকার ও মোটরসাইকের বেশি চলাচল করছে। তারপরই আছে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। তবে উপযুক্ত প্রমাণ দিতে না পারলে তার বিরুদ্ধে মামলা ও অর্থদণ্ড হচ্ছে।
রাজশাহীর জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, কঠোর লকডাউনের মধ্যে সরকারি নির্দেশনা অমান্য করায় শনিবার (৩ জুলাই) রাজশাহীতে ১ লাখ ৫ হাজার ৫৪০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। মামলা হয়েছে ১১৭ জনের বিরুদ্ধে। এর মধ্যে মহানগরীতে ৪১ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে ও ২১ হাজার ৯০০ টাকা জরিমানা হয়েছে। আর জেলায় ৭৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা ও ৮৩ হাজার ৬৪০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া রাজশাহী জেলায় কঠোরভাবে লকডাউন বাস্তবায়নের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে তৎপর থাকতে বলা হয়েছে বলেও জানিয়েছে রাজশাহী জেলা প্রশাসন।
চতুর্থ দিনেও কঠোর লকডাউন বাস্তবায়নে সতর্ক অবস্থানে আছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। সকাল থেকে রাজশাহী শহরের প্রধান প্রধান সড়ক ও পাড়া-মহল্লার গলিপথেও টহল দিচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। একমাত্র কাঁচাবাজার ছাড়া সব কিছুই বন্ধ আছে।
রাজশাহী শহরের তিনটি প্রবেশমুখসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে বসানো হয়েছে চেকপোস্ট। শহরের তিন দিকের প্রবেশমুখ আমচত্বর, কাশিয়াডাঙ্গা ও কাটাখালী এলাকায় পুলিশ সদস্যরা ব্যারিকেড দিয়ে ২৪ ঘণ্টা দায়িত্ব পালন করছেন। এসব পয়েন্ট মানুষ ও যানবাহনের অবাধ প্রবেশ ঠেকাতে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা বলয় গড়ে তুলেছে মহানগর পুলিশ। পণ্যবাহী পরিবহন, পিকআপ ভ্যান ও মালবাহী ট্রাক ছাড়া অন্য কোনো যানবাহন রাজশাহী শহরে ঢুকতে বা বের হতে দেওয়া হচ্ছে না।
তবে রাজশাহী মহানগর ও জেলার প্রতিটি উপজেলায় জরুরি সেবাসমূহ চালু আছে। এর মধ্যে রোগী বহনকারী অ্যাম্বুলেন্স, ওষুধ ও খাবার পরিবহনের যানবাহনগুলো আগের মত স্বাভাবিক নিয়মেই চলাচল করছে। এছাড়া বিভিন্ন এলাকার ভিতরের রাস্তায় রিকশা চলাচল করছে।
পুলিশ, র্যাব ও আনসার ব্যাটালিয়নের সদস্যদের পাশাপাশি রাজশাহী সিটি এবং প্রতিটি উপজেলায় সেনাবাহিনীর দুইটি করে টিম টহল দিচ্ছে। পাশাপাশি তিন প্লাটুন বিজিবি মাঠ পর্যায়ে লকডাউন কার্যকরের দায়িত্ব পালন করছে। আছে ভ্রাম্যমাণ আদালতও।
রবিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মহানগরের লকডাউন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেন রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিক। তিনি পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলবাহিনীর সদস্যদের নিয়ে সাহেববাজার জিরোপয়েন্টসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ঘুরে দেখেন। এ সময় যানবাহন থামিয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।