নীলফামারী প্রতিনিধি: করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে শহরের প্রতিটি বাড়িতে জীবাণুনাশক ছিটানোসহ নানা কর্মসূচি পরিচালনা করছে নীলফামারী পৌরসভা কর্তৃপক্ষ।
মেয়র দেওয়ান কামাল আহমেদের নির্দেশনায় শহরের রাস্তা ঘাট, হাট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের পর বাড়ি বাড়ি জীবাণুনাশক ছিটানোর কার্যক্রম পরিচালনা করছে পৌরসভার কর্মীরা। ইতোমধ্যে কয়েকটি ওয়ার্ড সম্পন্ন হয়েছে এই কার্যক্রমের আওতায়।
পৌরসভা সূত্র জানায়, মশক নিধন, সড়ক জীবাণুনাশককরণ, মাস্ক বিতরণ, জনসচেতনতায় লিফলেট বিতরণসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পরিচালনা করা হচ্ছে করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে।
বিশেষ করে ঘর থেকে বের না হওয়া, বিদেশ ফেরত ব্যক্তিদের হোম কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করণে মনিটরিং সেল গঠন করা হয় মেয়রের তত্বাবধানে। অহেতুক বাহিরে ঘোরাফেরা না করার জন্য মাইকিং করেও প্রচারণা চালানো হয় সচেতন কর্মসূচির আওতায়।
নীলফামারী পৌরসভার সচিব মশিউর রহমান বলেন, এখনই সময় মানুষকে সচেতন করার। এজন্য মেয়র মহোদয়ের নির্দেশে প্রতিটি পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। আমাদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। সরকারী নির্দেশনা যথাযথ অনুসরণ করে করোনা সংক্রমন প্রতিরোধে চেষ্টা চালাচ্ছি আমরা।
স্যানিটারি ইন্সপেক্টর মরতুজ আলী বলেন, শহরের প্রতিটি সড়ক জীবাণুনাশক করা হয়েছে। এখন বাড়ি বাড়ি চলছে স্প্রে কার্যক্রম। পৌরসভার কর্মীরা কয়েকটি ভাগে ভাগ হয়ে এসব কাজ সম্পাদন করছে প্রতিদিন।
শহরের বাবুপাড়া এলাকার (২ ওয়ার্ডের) বাসিন্দা এরশাদুল হক জানান, আমাদের বাড়িতে জীবাণুনাশক করার কোন ব্যবস্থা ছিল না। এমনিতে আমরা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখছি বাড়ি-ঘর। পৌরসভা থেকে এসে বাড়িতে স্প্রে করে দিয়েছে। এরফলে বিশেষ উপকার হবে বাড়িটার।
প্যানেল মেয়র ঈসা আলী বলেন, সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে পৌরসভার কাজ এই সময়ে আরো বেড়েছে। আমরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে সচেতন করছি যাতে লোকজন পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকে, হাত পরিষ্কার রাখেন এমনকি মাস্ক ব্যবহার করেন। পাশাপাশি করোনা উপসর্গ সন্দেহ হলে দ্রুত চিকিৎসকের সহায়তা কিংবা সরকারি নিয়ন্ত্রণ কক্ষে যেন যোগাযোগ করেন।
নীলফামারী পৌরসভার মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি দেওয়ান কামাল আহমেদ বলেন, ড্রেন থেকে শুরু করে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা বিষয়ক সব রকমের কাজ করা হচ্ছে। মানুষের পাশে থাকতে এবং প্রয়োজনীয় সেবা দিতে পৌরসভার সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। তারা প্রতিনিয়ত কাজ করছেন। ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতেও জীবাণুনাশক স্প্রে করা হয়েছে, এখন বাড়িতে বাড়িতে চলছে এই কার্যক্রম। শহরের বিভিন্ন স্থানে হাত ধোঁয়ার জন্য অস্থায়ীভাবে বেসিন বসানো হয়েছে যাতে মানুষ হাত পরিষ্কার রাখতে পারেন।
তিনি বলেন, সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতকরণে জরুরি দোকানগুলোর সামনে চিহিৃত করে দেয়া হয়েছে যাতে নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে ক্রেতারা প্রয়োজনীয় পণ্য সংগ্রহ করতে পারেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।