জুমবাংলা ডেস্ক : জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জুবাইদা রহমানকে খালাস দিয়ে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ।
আইনজীবীরা বলছেন, এর মধ্যে সব মামলায় সাজামুক্ত হলেন তারেক রহমান।
তার আইনজীবী এস এম শাজাহান বলেছেন, আদালত আপিল মঞ্জুর করেছে। অর্থাৎ জুবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে যে দণ্ডাদেশ ছিল তাতে তিনি নির্দোষ সাব্যস্ত হয়ে খালাস পেয়েছেন। একই সাথে তারেক রহমানও নির্দোষ সাব্যস্ত হয়ে খালাস পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় তিন বছরের কারাদণ্ডাদেশের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেছিলেন মিজ রহমান।
২০০৭ সালের ২৬শে সেপ্টেম্বর তারেক রহমান ও জুবাইদা রহমানসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ঢাকার কাফরুল থানায় মামলাটি করে দুর্নীতি দমন কমিশন বা দুদক।
এই মামলায় ২০২৩ সালের দোসরা অগাস্ট রায় দিয়েছিলো ঢাকার একটি আদালত। ওই রাতে তারেক রহমানের ৯ বছর এবং জুবাইদা রহমানের তিন বছরের কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছিলো।
গত বছর অগাস্টে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বিএনপি নেতাদের মামলাগুলোর বিষয়ে সরকার যে পদক্ষেপ নেয়া শুরু করে তার অংশ হিসেবে গত বছরের চৌঠা নভেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জুবাইদা রহমানের সাজা স্থগিত করে প্রজ্ঞাপন জারি করে।
গত ৬ই মে ঢাকায় ফিরে জুবাইদা রহমান আপিল করার জন্য বিলম্ব মার্জনা চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করলে সেটি মঞ্জুর করে আদালত।
এরপর তিনি আপিল করেন ও জামিন চেয়ে আবেদন করলে হাইকোর্ট তা মঞ্জুর করে। এরপর শুনানি শেষে ২৮শে মে রায়ের দিন ধার্য করেছিলো আদালত।
এস এম শাজাহান বলেছেন জুবাইদা রহমান খালাস পাওয়ায় তার বেনিফিট হিসেবে আপিল না করেও খালাস পেয়েছেন তারেক রহমান।
তারেক রহমান ২০০৮ সাল থেকে লন্ডনে রয়েছেন। সেখান থেকে এখন তিনি তার দল বিএনপির নেতৃত্ব দিচ্ছে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে।-বিবিসি বাংলা
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।