বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় ভাওয়াল মির্জাপুর পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রিন্সিপাল আব্দুল কাইয়ুম সরকারের পক্ষে আইনজীবী ফারুক আলমগীর চৌধুরী রিটটি দায়ের করেন।
ফারুক আলমগীর চৌধুরী বলেন, ‘রিটে শিক্ষাসচিব, শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, উপসচিব, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্ট ছয়জনকে বিবাদী করা হয়েছে।’
হাইকোর্টের বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. মাহমুদ হাসান তালুকদারের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে এ রিটের শুনানি হতে পারে।
এর আগে গত ১১ জানুয়ারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিবকে আইনি (লিগ্যাল) নোটিশ পাঠানো হয়েছিল। নোটিশের পরেও কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় এ রিট করা হয়।
নোটিশে বলা হয়েছিল, কোভিড-১৯ এর কারণে ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। এর মধ্যে মোট ১১ বার বন্ধের সময় বাড়ানো হয়েছে। ১৬ জানুয়ারির পর আর বন্ধের সময় বৃদ্ধি না করতে ওই নোটিশে অনুরোধ করা হয়েছিল।
রিটকারীর আইনজীবী ফারুক আলমগীর চৌধুরী জানান, দীর্ঘদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়ছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীরা বাইরে ঘোরাঘুরি করছে, টিভি দেখে সময় কাটাচ্ছে করছে। এছাড়া মোবাইল ব্যবহার করে খারাপ অভ্যাস হয়ে যাচ্ছে।
মহামারি করোনা সংক্রমণের কারণে ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করে সরকার। এরপর দফায় দফায় ছুটি আরও বাড়ানো হয়। সবশেষ ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটির মেয়াদ বাড়ানো হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।