মহাবিশ্ব সৃষ্টির পর থেকে শুরু হয়েছে সময়ের যাত্রা। এরপর থেকে সময় শুধু চলছে, কখনো থামেনি। সময়কে নিয়ন্ত্রণ করা যায় না। তাই মানবজীবনে সময়ের গুরুত্ব অপরিসীম। তবে সময় সব জায়গায় সমানভাবে চলে না। কোথাও দ্রুত, কোথাও বা ধীরে। এগুলো সবই বিজ্ঞানের সাহায্যে ব্যাখ্যা করা যায়। চলুন, সময়ের এই আজব আচরণ নিয়ে ৫টি তথ্য জানা যাক।
মানুষ হাজার হাজার বছর ধরে সময় গণনা করছেন
সম্প্রতি বিশ্বের সবচেয়ে পুরোনো ক্যালেন্ডার আবিষ্কার করেছেন বিজ্ঞানীরা। প্রায় ১৩ হাজার বছরের পুরোনো ক্যালেন্ডারটি খুঁজে পাওয়া গেছে তুরস্কের গোবেকলি তেপে অঞ্চলে। তখনকার মানুষ পৃথিবীতে কোনো ধূমকেতু আঘাত হানার তারিখ লিখে রাখতে এই ক্যালেন্ডার তৈরি করেছিল। এটাই এখন পর্যন্ত পাওয়া বিশ্বের সবচেয়ে পুরোনো ক্যালেন্ডার। সে হিসেবে মানুষ কয়েক হাজার বছর ধরে সময়ের হিসাব রাখছে।
আমরা কেউ বর্তমানে বাস করি না
আমরা যা-ই দেখি না কেন, তা অতীত। সকালে পূব আকাশে যে সূর্যটা দেখি, তাও অতীতের অবস্থা। কারণ, সূর্যোদয় হওয়ার প্রায় ৮ মিনিট ২০ সেকেন্ড পরে আমরা তা দেখি। অর্থাৎ, সূর্য যদি হঠাৎ উধাও হয়ে যায়, তাহলে আমরা ৮ মিনিট ২০ সেকেন্ড পরে তা টের পাবো। আপনার থেকে ১০ হাত দূরে দাঁড়িয়ে থাকা ব্যক্তিরও অতীতের ছবি আপনি দেখছেন। তা যত কম সময়ের হোক না কেন!
২৪ ঘণ্টায় একদিন নয়
একদিন বলতে আমরা সাধারণত ২৪ ঘণ্টা বুঝি। এ হিসাবটাও সহজে বোঝার জন্য। আসলে একদিন বলতে পৃথিবীর নিজ অক্ষের ওপর একবার ঘুরে আসার সময়কে বোঝায়। পৃথিবী বর্তমানে ২৩ ঘণ্টা ৫৬ মিনিট ৪.২ সেকেন্ডে একবার নিজ অক্ষের চারপাশে ঘোরে। অর্থাৎ একদিন হয় ওই ২৩ ঘণ্টা ৫৬ মিনিট ৪.২ সেকেন্ডে, ২৪ ঘণ্টায় নয়।
ডাইনোসরদের বছর হতো ৩৭০ দিনে
পৃথিবীতে প্রায় ৬ কোটি ৬০ লাখ বছর আগে ডাইনোসরদের রাজত্ব ছিল। বছরে ডাইনোসররা বর্তমানের চেয়ে প্রায় ৫ দিন বেশি রাজত্ব করতে পারত। কারণ, তখন বছর হতো ৩৭০ দিনে। প্রতি ১০০ বছরে মাত্র ১ দশমিক ৭ মিলিসেকেন্ড করে বাড়ে দিনের দৈর্ঘ্য। প্রতি সেকেন্ডের ১ হাজার ভাগের এক ভাগকে বলে এক মিলিসেকেন্ড। ফলে বছরের দৈর্ঘ্য কমে ৩৬৫ দিন হয়েছে।
সেকেন্ড মানে আপনি যা জানেন তা নয়
সাধারণত আমরা এক মিনিটের ৬০ ভাগের এক ভাগকে সেকেন্ড বলি। কিন্তু বৈজ্ঞানিকভাবে এটা সেকেন্ডের সংজ্ঞা নয়। সহজে বোঝার জন্য আমরা এক মিনিটের ৬০ ভাগের এক ভাগ সময়কে সেকেন্ড বলি। ঐতিহাসিকভাবে আবার এক দিনের ৮ লাখ ৬৪ হাজার ভাগের একভাগ সময়কেও সেকেন্ড বলে। কিন্তু বৈজ্ঞানিকভাবে শূন্য কেলভিন তাপমাত্রায় একটা অনুত্তেজিত সিজিয়াম ১৩৩ পরমাণুর ৯,১৯২,৬৩১,৭৭০টি স্পন্দন সম্পন্ন করতে যে সময় লাগে, তাকে এক সেকেন্ড বলে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।