সোয়াদ সাদমান,চবি প্রতিনিধি : চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫ম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সমাবর্তন বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকবেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তার আগমন উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নিরাপত্তা জোরদার করেছে এবং নিয়মিত টহল কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
বিশেষ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ইতিমধ্যেই প্রধান উপদেষ্টার নিরাপত্তায় নিয়োজিত বাহিনী চবিতে তাদের কার্যক্রম শুরু করেছে। গত ২৭ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এক নোটিশের মাধ্যমে সমাবর্তনস্থল এবং আশপাশের এলাকায় (চবি কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ) সকল প্রকার গণজমায়েত নিষিদ্ধ ঘোষণা করে।
এই পরিস্থিতিতে গত ২৭ এপ্রিল রাত আনুমানিক সাড়ে নয়টায় সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক মোঃ বজলুর রহমান নিরাপত্তা দপ্তরের প্রহরীদের নিয়ে চবি কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ এলাকায় টহল পরিচালনা করতে গিয়ে চবি শাখা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন হৃদয়ের বাধার মুখে পড়েন। অভিযোগ রয়েছে, পরিচয়পত্র যাচাইয়ের সময় সাজ্জাদ হোসেন হৃদয় এবং তার অনুসারীরা উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি করেন এবং সহকারী প্রক্টরকে লাঞ্ছিত করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়জুড়ে এই ঘটনাটি শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক আলোচনা ও উদ্বেগের জন্ম দিয়েছে।
অধ্যাপক বজলুর রহমান বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ে আমি প্রায় ২০ বছর শিক্ষকতা করছি, কখনো এমন বেয়াদবি ফেস করিনি। আমি ঘটনাটি প্রক্টর স্যারকে জানিয়েছি এবং বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”
ঘটনার পর অভিযুক্ত ছাত্রদল নেতার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।