জুমবাংলা ডেস্ক : বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, সমাবেশে মানুষের ঢল দেখে সরকার দিশেহারা হয়ে লাঠির ভাষায় জবাব দিয়েছে।
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের বীর উত্তম খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে আজ শনিবার সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে দলটির সমাবেশে লাঠিপেটা করে নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ। এ ঘটনায় দেড় শতাধিক নেতাকর্মী আহত এবং ২৫ জনের বেশি নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন রিজভী।
সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, বর্তমান অবৈধ সরকারের আদিম হিংস্রতা শুরু হয়েছে। আজকের ঘটনায় আবারও প্রমাণিত হলো, আওয়ামী গুণ্ডাশাহীর রাজত্ব কত ভয়ঙ্কর। শান্তিপূর্ণ সমাবেশের ওপর পুলিশের এই হামলা ছিল পূর্বপরিকল্পিত। পুলিশ বিনা কারণে উসকানি ও মারমুখী আচরণ করে। তাদের আচরণ ছিল উদ্ধত, বেপরোয়া ও সন্ত্রাসী ক্যাডারদের মতো।
তিনি বলেন, জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে এই সরকারের ভাবমূর্তি এমন তলানিতে ঠেকেছে যে, জনগণের মনোযোগ ভিন্ন দিকে সরাতেই সরকার সিরিজ ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। বিএনপির সমাবেশের ওপর সরকার পুলিশকে যে লেলিয়ে দিয়েছে সেটির এক অমানবিক নিষ্ঠুর দৃশ্য দেশবাসী আবারও অবলোকন করল।
রিজভী জানান, কর্মসূচি থেকে যুব দলের জাকির সিদ্দিকী, স্বেচ্ছাসেবক দলের সারোয়ার ভুঁইয়া রুবেল, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওবায়দুল্লাহ নাঈম, জাকির হোসেন নাঈম, ঢাকা দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক দলের জহির মাঝি, আনোয়ার হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক দলের এবায়দুর ব্যাপারী, নাদিম হোসেন, হিরণ, মো. আজিজ, রুবেল, ইরান, সুমন, রাহাত, সজীব, আল-আমীন, জয়, রফিকসহ ২৫ জনের বেশি নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তিনি জানান, এ ছাড়া ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক তবিবুর রহমান সাগর, মারুফ এলাহী রনি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল যুগ্ম আহবায়ক শরীফ প্রধান, সাফী ইসলাম, মাহমুদুল হাসান, আক্তার হোসেন, মাসুদুর রহমান মাসুদ, আরিফুল ইসলাম, ওলিউর রহমান, সদস্য রোমান পাঠান, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আশিক সরকার, তিতুমীর কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক কাজী সাইফুল ইসলাম, খিলক্ষেত থানা ছাত্রদল নেতা ইসমত, মাইদুল, সজিব, গুলশান থানা যুবদল যুগ্ম আহবায়ক আনিসুর রহমান মাস্টার, ১১নং ওয়ার্ড বিএনপি সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সাকিল আহমেদ স্বপন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ২০নং ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য স্বপন, ঢাকা মহানগর পূর্ব ছাত্রদলের সভাপতি খন্দকার এনামুল হক এনাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মহসিন হল শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিনহাজুল হক নয়ন, জাসাস সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন রোকন, সহ-সভাপতি শাহরিয়া ইসলাম শায়লা, জাসাস নেতা রফিকুল ইসলাম স্বপন, ইব্রাহিমসহ ৭ জন, যুবদল সহ-সভাপতি এ্যাডভোকেট লাভলু, যুবদল নেতা মাহবুবুর রহমান জামান, জাহাঙ্গীর হোসেন দুলাল, ঢাকা মহানগর উত্তর যুবদল নেতা মনিরুল ইসলাম স্বপন, মুরাদ মজুমদার, খায়রুল ইসলাম সেলিম, আনিসুর রহমান, বাবু, জীম, কালাম, রুহুল আমিন, রিন্টু, আক্তার, আলমগীর হোসেন, নজরুল ইসলাম রিপন, কবির হোসেন, হামিদ, জুয়েল, নাঈম, জাফর, মনিরুল ইসলাম মনির, স্বপন আহমেদ, সোলায়মান দেওয়ান, বাবুল আহমেদ, মঞ্জু শেখ, আল আমিন শেখ, রাসেল মোল্লা, ইউসুফ, ইসমাইল, জসিম, পিয়াস, জাহিদ, আতিক, বরকত, রাজু, মনির, রিপন, বাবু, মোহাম্মদ আলী, মিজান, ইয়াসিন, আক্তার, শরীফ উদ্দিন জুয়েল, পলাশ, মোস্তফা, মাকমাদুল, নুরুল ইসলাম নয়ন,আব্দুর রশীদ, ঢাকা মহানগর দক্ষিন যুবদল নেতা মোঃ সাব্বির হোসেন, আওলাদ হোসেন মাওলা, ইমন হোসেন, নাজিম হোসেন, রফিক, হাবিবুর রহমান, মহসিন, সলেমান, রুবেল, রাসেল, পল্টন থানা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক নোমান খান, ১৩নং ওয়ার্ড ছাত্রদলের আহবায়ক জুয়েল, হাবিবুল্লাহ বাহার কলেজ ছাত্রদলের আহবায়ক হান্নান, শাহবাগ থানা ছাত্রদলের ২০নং ওয়ার্ড সদস্য সাদ্দাম হোসেন, ২১নং ওয়ার্ড সদস্য সচিব মেহেদী হাসান, ১৩নং ওয়ার্ড যুগ্ম আহবায়ক শরীফুল ইসলাম, পল্টন থানা শাখার সাবেক সদস্য আরিফ হোসেন অভি, আল আমিন, হাবিবুল্লাহ বাহার কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক শরীফ, পল্টন থানা ১৩নং ওয়ার্ড ছাত্রদলের সদস্য মোতাব্বির হোসেন অপু, মঞ্জু, শ্রমিক দল নেতা মোস্তাফিজুল করিম মজুমদার, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ওয়ারী থানার ৩৯নং ওয়ার্ড ছাত্রদল নেতা ইমন, ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি মনিরা আক্তার রিক্তা, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সেলিনা সুলতানা নিশিতা, সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক নাসিমা আক্তার কেয়া, এছাড়া আহত হয়েছেন রিফাত, আতিয়ার রহমান, দিলু, মো. হাসান, মো. লিটন, মো. সোহাগ, মো. আজহার, আনোয়ার হোসেন, মো. ইউসুফ, মো. সজিব, মো. শরিফ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সভাপতি হাবিব উন নবী খান সোহেলের সহকারী সুমনসহ শতাধিক নেতাকর্মী।
সংবাদ সম্মেলনে দলের নির্বাহী সদস্য খান রবিউল ইসলাম রবি ও কৃষক দলের সদস্য সচিব হাসান জাফির তুহিন উপস্থিত ছিলেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।