স্পোর্টস ডেস্ক : বিরোধীদের নানা সমালোচনার পরও ফের বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন কাজী মো. সালাউদ্দিন। সেটিও দুই প্রতিদ্বন্দ্বী বাদল রায় ও শফিকুল ইসলাম মানিককে বিশাল ব্যবধানে পেছনে ফেলে।
নির্বাচিত হওয়ার পর সালাউদ্দিন বলেছেন, তার বিরুদ্ধে চলা এতদিনের সমালোচনাগুলোর জবাব ভোটাররাই দিয়েছেন।
শনিবার ভোট ও ফলাফল শেষে মধ্যরাতে সংবাদ সম্মেলনে আসেন কাজী সালাউদ্দিন। নির্বাচনে তার নেতৃত্বাধীন সম্মিলিত পরিষদেরই ছিল জয়-জয়কার। ২১ সদস্য বিশিষ্ট নতুন কমিটির ১৪জনই তার পরিষদের।
নির্বাচিত হওয়ার পর প্রতিক্রিয়ায় কাজী সালাউদ্দিন বলেন, ‘আমাদের বিজয়টা ভোটারদের বিজয়। অনেকে অনেক কথা বলেছে নির্বাচনের আগে। উত্তরটা দেওয়ার ছিল ভোটারদের। ভোটাররা উত্তর দিয়েছেন। আমি ভোটারদের আমার এবং আমার প্যানেলের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানাই।’
দেশের ফুটবল ইতিহাসের অন্যতম সেরা তারকা সালাউদ্দিন জানান, তিনি আত্মবিশ্বাসী ছিলেন নির্বাচনে জয়ের ব্যাপারে। ফুটবলের সঙ্গে সরাসরি জড়িত মানুষরা তার পক্ষে ছিলেন বলেই এই আত্মবিশ্বাস পেয়েছেন বলে জানান।
কাজী সালাউদ্দিন বলেন, ‘আমরা ফুটবল করছি, ১২ বছরে কোনো লিগ, খেলা মিস হয়নি। এবং এটা করি বলেই খেলোয়াড়রা এবং কাউন্সিলরা যারা ফুটবলের সঙ্গে সরাসরি জড়িত, তারাই আমাকে সাপোর্ট করে। এটাই একমাত্র কারণ।’
‘আজকে সব খেলোয়াড়রা, কারেন্ট প্লেয়াররা আমাকে উইশ করতে এসেছে। এখন যারা খেলছে তারা, অতীতের খেলোয়াড়রা না। অতীতে তো আমি-সালাম বা আমরা সাবেকেরা খেলেছি। আজকের খেলোয়াড়রা যখন আমাকে উইশ করতে এসেছে, তখনই আমি বুঝেছি হয়তো আমি কিছু ঠিক কাজ করেছি, এ জন্য এসেছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘মিডিয়াতে অনেক কথা শুনেছি। অনেকে বলেছে আমার ১০ ভোট নেই, ১২ ভোট নেই। যত বছরই যাচ্ছে আমার ভোট কিন্তু বাড়ছে। ২০০৮ সালে আমি ৮০ ভোটে পাশ করেছি। ২০১৬ সালে ৮৩ ভোট (২০১২ সালে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন)। ফুটবল যারা করে তাদের কাছে তো আমি জনপ্রিয় আছি।’
তার পরিষদের বাইরে থেকে যারা নির্বাচিত হয়েছেন, তাদেরকে নিয়ে এক সঙ্গে কাজ করার কথাও বলেছেন সালাউদ্দিন।
‘যারা নির্বাচিত হয়ে এসেছে, তারা আমার প্যানেল থেকে আসুক বা অন্য প্যানেল থেকে। তাদেরকে তো ভোটাররা এনেছে। অবশ্যই আমি তাদের সঙ্গে কাজ করব। কারণ আমি তো ফুটবল করতে এসেছি। এটা রাজনীতি না যে এক দলের সঙ্গে এক দলের মিলবে না।’
উল্লেখ্য, ফুটবল ফেডারেশন নির্বাচনের শীর্ষ পদে সর্বোচ্চ ৯৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন কাজী সালাউদ্দিন। তার দুই প্রতিদ্বন্দ্বী বাদল রায় ৪০ ও শফিকুল ইসলাম মানিক পেয়েছেন ১ ভোট।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।