
জুমবাংলা ডেস্ক: মানবিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরে দেশের সামুদ্রিক জলসীমায় ৬৫দিন (২০ মে-২৩ জুলাই) মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধকালীন জেলেদের জন্য ২৩ হাজার ৪৯৬ দশমিক ৯৮ মেট্রিক টন ভিজিএফ চাল বরাদ্দ করেছে সরকার। খবর ইউএনবি’র।
সমুদ্র উপকূলীয় ১২টি জেলার ৪৪টি উপজেলা এবং চট্টগ্রাম মহানগরীর ৪ লাখ ১৯ হাজার ৫৮৯টি জেলে পরিবারের জন্য এ বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে। এর আওতায় সমুদ্রে মৎস্য আহরণে বিরত থাকা নিবন্ধিত কার্ডধারী প্রতিটি জেলে পরিবারকে প্রতি মাসে ৪০ কেজি হারে ৪২দিন (২০ মে-৩০ জুন) মোট ৫৬ কেজি চাল ১ম কিস্তিতে প্রদান করা হবে।
রবিবার সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকদের অনুকূলে এ সংক্রান্ত মঞ্জুরি আদেশ জারি করেছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।
ভিজিএফ চাল ১৫ জুনের মধ্যে উত্তোলন ও সংশ্লিষ্টদের মাঝে বিতরণ সম্পন্ন করার জন্য জেলা প্রশাসকদের নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। কার্ডধারী এবং সমুদ্রগামী জেলে ব্যতীত এ ভিজিএফ প্রদান করা যাবে না মর্মে বরাদ্দ আদেশে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
বরাদ্দপ্রাপ্ত উপজেলাগুলো হলো খুলনা জেলার বটিয়াঘাটা, দাকোপ, পাইকগাছা, কয়রা ও রূপসা, বাগেরহাট জেলার মোংলা, মোড়েলগঞ্জ ও শরণখোলা, সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি ও শ্যামনগর, চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী, আনোয়ারা, মিরসরাই, সন্দ্বীপ, কর্ণফুলী, সীতাকুণ্ড ও চট্টগ্রাম মহানগরী, কক্সবাজার জেলার সদর, চকরিয়া, মহেশখালী, উখিয়া, পেকুয়া, কুতুবদিয়া, টেকনাফ ও রামু, নোয়াখালী জেলার হাতিয়া, ফেনী জেলার সোনাগাজী, লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতি, বরগুনা জেলার সদর, পাথরঘাটা, আমতলী ও তালতলী, পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া, পটুয়াখালী জেলার সদর, কলাপাড়া, বাউফল, গলাচিপা, রাঙ্গাবালি ও দশমিনা এবং ভোলা জেলার বোরহানউদ্দিন, চরফ্যাশন, দৌলতখান, লালমোহন, তজুমুদ্দিন ও মনপুরা।
উল্লেখ্য, মাছের সুষ্ঠু প্রজনন ও সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণের জন্য ২০১৫ সাল থেকে প্রতিবছর ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত মোট ৬৫ দিন বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক জলসীমায় সকল প্রকার মৎস্য নৌযান কর্তৃক সকল প্রজাতির মৎস্য ও ক্রাস্টাশিয়ান্স (চিংড়ি, লবস্টার, কাটল ফিস প্রভৃতি) আহরণ নিষিদ্ধ করেছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।
চলতি অর্থবছরে মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধকালীন ১ম কিস্তিতে ৪২ দিনের জন্য সরকার সংশ্লিষ্ট জেলার সমুদ্রগামী জেলেদের মানবিক সহায়তা প্রদান করছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।