আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ঝলমলে দিন। সমুদ্রের ধারে ঝলমল করছে বালুকাবেলা। সেই বালির ওপরই ঘুরে চলছিল গবেষণার কাজ। সমুদ্রের ধারের প্রাণিদের নিয়ে কাজ করছিলেন গবেষকেরা। তখনই সমুদ্রের ঢেউয়ের তালে ভেসে আসা একটি সিন্দুক তাঁদের নজর কাড়ে।
গবেষকরা অবাক হয়ে যান সিন্দুকটি দেখে। সিন্দুকের অবস্থা দেখে তাঁরা নিশ্চিত হন যে সেটি দীর্ঘসময় সমুদ্রের জলে ভেসেছে। তারপর এই সমুদ্রসৈকতে এসে পড়েছে।
ভাল করে দেখার পর টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ের সমুদ্র বিজ্ঞানের গবেষকেরা এটাও বুঝতে পারেন যে এই সিন্দুক সহজে খোলা মুশকিল। কিন্তু কৌতূহলও ধরে রাখতে পারেননি তাঁরা।
তাই সিন্দুকটি নিয়ে গিয়ে গবেষকরা যে ভ্যান সঙ্গে এনেছিলেন তার পিছনে তোলেন। তারপর শুরু হয় সিন্দুক ভাঙার কাজ। তার ভিতরে কি গুপ্তধন রয়েছে তা দেখার জন্য কার্যত তাঁদের আর তর সই ছিলনা।
ছেনি, হাতুড়ি, গ্যাস কাটার সবই ব্যবহার করে ফেলেন গবেষকরা। যাতে সিন্দুকটিকে খোলা যায়। আর তা করে বেশ কিছুক্ষণের লড়াইয়ের পর সিন্দুকটির মাথার দিক থেকে চৌকো ধাতব মোটা পাতটা তাঁরা চারধার থেকে কেটে খুলে ফেলেন।
তারপর সিন্দুকের মধ্যে নজর দিতেই তাঁদের চক্ষু চড়কগাছ! সিন্দুকের মধ্যেটা মাঝখান দিয়ে একটি পাত দিয়ে ২ ভাগে বিভক্ত। তার একটি দিক ফাঁকা।
অন্যদিকে একটি সিলিকন জেলের প্যাকেট পড়ে আছে। আর কিছুই সেই সিন্দুকে নেই! এই সেই গুপ্তধন যা ওই শক্তপোক্ত সিন্দুকে রাখা ছিল! সব দেখার পর গবেষকরা সকলেই হেসে ফেলেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।