জুমবাংলা ডেস্ক : বগুড়া জেলার সোনাতলা উপজেলার বাবার সম্পত্তির ভাগ চাওয়ায় আপন বড় ভাই স্কুল শিক্ষক গোলাম রব্বানী ও তার স্ত্রী পপি বেগম রুখসানা খাতুনের (৩৩) মাথার চুল কেটে দিয়েছেন। এ সময় রুখসানা থানা পুলিশের কাছে আসার চেষ্টা করলে বাড়ির গেটে তালা ঝুলিয়ে দেন, অত্যাচার থেকে বাঁচতে ৯৯৯ ফোন করে নিজেকে রক্ষা করেন রুখসানা।
বৃহস্পতিবার (২০মে) সকালে বালুয়া ইউনিয়নের আটকড়িয়া গ্রামে। এঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন সোনাতলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রেজাউল করিম রেজা। নির্যাতিত রুখসানা খাতুন আটকড়িয়া গ্রামের মৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল আজিজের মেয়ে এবং সোনাতলা উপজেলার শিচারপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। অপরদিকে তার ভাই গোলাম রব্বানী একই উপজেলার কাটনাহার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত।
ভাইভাবির হাতে নির্যাতিত স্কুল শিক্ষক রুখসানা খাতুন জানান, ২০১৭ সালে বাবা মারা যাওয়ার পর থেকে তার বড় ভাই গোলাম রব্বানী ও ছোট ভাই গোলাম রাসুল বাবার সম্পত্তি ভোগ করতে থাকে। বাবা বেচে থাকাকালীন সময় বড় ভাই বাড়ির বাহিরে থাকতেন। বাবা মারা যাওয়ার পর তিনি বাড়িতে এসে উঠেন। তারপর থেকে শুরু নির্যাতন। দুই ভাই গোলাম রব্বানী ও গোলাম রাসুল মৌখিক ভাবে তারা ১১ শতকের উপর বাড়ির অংশ ভাগ করে নেয়। রুখসানা খাতুন তার বাবার ঘরে বসবাস করে আসছেন। বাবার বাড়ি থেকে স্কুলে যাতায়াত করেন। দীর্ঘদিন ধরে তাকে নানা ভাবে বাড়ি থেকে বের করে দেয়ার চেষ্টা করছিল দুই ভাই। কয়েকদিন আগে তার ভাই গোলাম রব্বানী তার বাথরুম বন্ধ করে দেয়। পরে তিনি তার প্রয়োজনীয় গোসল রান্নার সকল কাজ পার্শ্ববর্তী বাড়িতে করে আসছিলেন।
এর এক পর্যায়ে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার দিকে বাড়ির টিউবওয়েলে বাসনপত্র পরিষ্কার করছিলেন। সেসময় গোলাম রব্বানী ও তার স্ত্রী পপি বেগম রুখসানাকে নানা ভাবে গালিগালাজ শুরু করে। রুখসানা তার ভাইয়ের কাছে বাবার সম্পত্তির ভাগ চায় এবং বলে জায়গা দিলে সে অন্যত্র চলে যাবে। একথা বলায় ভাইভাবি মিলে তাকে মারপিট শুরু করে। এবং ঘরে নিয়ে এসে তার ভাই ও ভাবি রুখসানার মাথার চুল কেটে দেয়। ঘটনার পর রুখসানা থানা পুলিশের সহায়তা নিতে চাইলে গোলাম রব্বানী বাড়ির মুল দরজাতে তালা ঝুলিয়ে দেয় এবং নানা রকম হুমকি ধামকী দেন। এসময় রুখসানা নিজের নিরাপত্তায় ঘরে ঢুকে দরজা লাগিয়ে ৯৯৯ ফোন করে সহায়তা কামনা করেন। এরপর সকাল ১০টার দিকে সোনাতলা থানার এসআই আব্দুর রহিম ও পুলিশ সদস্যরা রুখসানাকে বাড়ি থেকে উদ্ধার করে।
সোনাতলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রেজাউল করিম রেজা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। এবিষয়ে ভুক্তভোগীর একটি অভিযোগের প্রস্তুতি চলছে। আমরা অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করব।
দুপুরে ভুক্তভোগী রুখসানা খাতুন জানান, তাকে বিভিন্ন ভাবে পরিবারের লোকজন থানায় অভিযোগ দিতে বারণ করছেন। তিনি অভিযোগ দায়ের করবেন বলেও জানিয়েছেন। এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় অভিযোগ দেয়ার প্রস্তুতি চলছিল বলে জানা গেছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।