জুমবাংলা ডেস্ক : ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) নির্বাচনে দুই হেভিওয়েট মেয়র প্রার্থীর মধ্যে আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়র প্রার্থী আতিকুল ইসলামের ব্যক্তিগত ঋণ আছে ৯৮ লাখ ৮৯ হাজার টাকা। আর বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী তাবিথ আউয়ালের নেই কোন ব্যক্তিগত ঋণ।
উত্তর সিটি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তাদের কাছে জমা দেওয়া প্রার্থীদের হলফনামা থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
বিএনপির মনোনীত মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়ালের মালিকানায় রয়েছে ৩৭টি প্রতিষ্ঠান। হলফনামায় তিনি ৪ কোটি ১২ লাখ ৭৩ হাজার টাকা বার্ষিক আয় দেখিয়েছেন। আয়ের উৎস হিসেবে কৃষি, বাড়ি/দোকান/ অন্যান্য ভাড়া, ব্যবসা, শেয়ার/সঞ্চয়পত্র/ব্যাংক থেকে লভ্যাংশ, চাকরি, অন্যান্য খাত উল্লেখ করেছেন।
তার অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ৪৫ কোটি ৬০ লাখ ৮ হাজার টাকা। স্থাবর সম্পদের মধ্যে রয়েছে ৪ দশমিক ২৪ একর কৃষি জমি, ১৬ দশমিক ৪৮ একর অকৃষি জমি, দশমিক ৫৬ একর অন্যান্য জমি। ৯২৪ ও ১ হাজার ৪৩ বর্গফুট আয়তনের দুটি অ্যাপার্টমেন্টও রয়েছে তার।
বিভিন্ন ব্যাংক থেকে তার প্রতিষ্ঠানগুলোর নামে ঋণ নেওয়া রয়েছে ৩০২ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। তবে তার নামে কোনো মামলা নেই। তার শিক্ষাগত যোগ্যতা এমএসসি ডিগ্রি।
অন্যদিকে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মো. আতিকুল ইসলাম পেশা হিসেবে হলফনামায় ব্যবসার কথা উল্লেখ করেছেন। ১৬টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার তিনি। তার বার্ষিক আয় ১ কোটি ২৯ লাখ ৬৮ হাজার টাকা। আয়ের উৎস হিসেবে তিনি কৃষি, ব্যবসা, বাড়ি বা অ্যাপার্টমেন্টের ভাড়া, মৎস্য চাষ ও ব্যাংক সুদ উল্লেখ করেছেন।
তার অস্থাবর সম্পদ ৪ কোটি ৮৬ লাখ ৬৯ হাজার টাকা ও স্থাবর সম্পদের মূল্যমান ১৩ কোটি ৯৭ লাখ ৯২ হাজার টাকা রয়েছে। আইএফআইসি ব্যাংকে তার ব্যক্তিগত ঋণ আছে ৯৮ লাখ ৮৯ হাজার টাকা। আর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নামে রয়েছে ৫৯১ কোটি ৬ লাখ টাকার ঋণ। এই ঋণের মধ্যে আইএফআইসি ব্যাংকে ফান্ডেড ১৮৬ কোটি ৬২ লাখ টাকা ও নন-ফান্ডেড ২৪৪ কোটি ৬৪ লাখ টাকার ঋণ। ইস্টার্ন ব্যাংকে ফান্ডেড ৪৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা ও ১৩ কোটি ৯ লাখ টাকা নন-ফান্ডেড এবং শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকে ২৬ কোটি ১৫ লাখ টাকা ফান্ডেড ও ৭৩ কোটি ২৫ লাখ টাকা নন-ফান্ডেড টাকা ঋণ তার।
আতিকুল ইসলামের শিক্ষাগত যোগ্যতা বিকম। তার নামে কোনো মামলা নেই।
ডিএনসিসিতে মেয়র পদে অন্য প্রার্থীদের মধ্যে জাতীয় পার্টির মনোনীত মেয়র প্রার্থী জিএম কামরুল সেনাবাহিনীর সাবেক কর্মকর্তা। তার শিক্ষাগত যোগ্যতা এমফিল।
বর্তমানে পেশায় তিনি একজন ব্যবসায়ী। এটিএস সুলশন নামে তার একটি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান আছে। তার বার্ষিক আয় প্রায় ২১ লাখ টাকা। অস্থাবর সম্পদ হিসেবে ব্যাংকে আছে ২০ লাখ টাকা। ১ কোটি ১২ লাখ টাকার মূল্যমানের যানবাহন, ইলেকট্রনিক, আসবাবপত্র রয়েছে তার।
স্থাবর সম্পদ হিসেবে ৮ বিঘা কৃষি জমি, ৭ কাঠা অকৃষি জমি এবং ৭ কোটি টাকা মূল্যমানের ভবন রয়েছে তার । কোনো দায়দেনা নেই। তার বিরুদ্ধে কখনো কোনো মামলা হয়নি।
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) মেয়র প্রার্থী আহাম্মদ সাজেদুল হক পেশা হিসেবে নিজেকে দন্ত চিকিৎসক হিসেবে হলফনামায় উল্লেখ করেছেন।অস্থাবর সম্পদ হিসেবে ৫ হাজার টাকা, ব্যাংকে ৫০০ টাকা, ২ ভরি স্বর্ণ, মোবাইল ২টি ও আসবাবপত্র রয়েছে ৫০ হাজার টাকার। এছাড়া তার ব্যাংক ঋণ রয়েছে ৫ লাখ ৯১ হাজার টাকা।
তার বার্ষিক আয় ৩ লাখ ৬ হাজার টাকা। বর্তমানে তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই। তবে ২০০৮ সালে পল্টন থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছিল। পরবর্তীতে তা ডিসচার্জও হয়।
পিডিপি মেয়র প্রার্থী শাহীন খান শিক্ষাগত যোগ্যতা হিসেবে নিজেকে স্বশিক্ষিত বলে দাবি করেছেন। এছাড়া তার কোনো আয় নেই বলেও হলফনামায় উল্লেখ করেছেন।
তার অস্থাবর সম্পদ হিসেবে রয়েছে নগদ ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা, ব্যাংকে তিন লাখ টাকা, একটি গাড়ি ও ৩ ভরি স্বর্ণ। স্থাবর কোনো সম্পদ নেই। মামলা কিংবা ব্যাংক ঋণও নেই তার।
ন্যাশনাল পিপলস পার্টি-এনপিপি একাংশের মেয়র প্রার্থী মো. আনিসুর রহমান দেওয়ান শিক্ষাগত যোগ্যতা হিসেবে বিএসসি উল্লেখ করেছেন হলফনামায়। তার পেশা রাজনীতি ও ব্যবসা।
বার্ষিক আয় ২ লাখ ৭৩ হাজার ৫০০ টাকা। অস্থাবর সম্পদ হিসেবে রয়েছে চার লাখ টাকার মতো নগদ, ইলেকট্রনিক ও আসবাবপত্র। নিজের বাড়ি না থাকলেও স্ত্রীর নামে একটি ফ্ল্যাট রয়েছে। তার বিরুদ্ধে কখনো কোনো মামলা হয়নি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।