ঢাকার গুলশানে বসবাসকারী ফারহান ও সামিনার বিবাহিত জীবনের দশ বছর পেরিয়েছে। ক্যারিয়ারের চাপ, সন্তান লালন-পালনের দায়িত্ব, আর দৈনন্দিন জীবনের অসংখ্য চ্যালেঞ্জের মাঝেও তাদের দাম্পত্য বন্ধন দিনে দিনে দৃঢ়তর হচ্ছে। প্রতিবেশীদের কৌতূহলী প্রশ্নের জবাবে সামিনা হেসে বলেন, “আমাদের রহস্য? রাসূল (সা.)-এর শেখানো সম্পর্ককে মজবুত করার ইসলামিক উপায়।” বাংলাদেশের শহর-গ্রামে আজ এমন অসংখ্য দম্পতি ইসলামের সুস্পষ্ট নির্দেশনাকে দৈনন্দিন জীবনে প্রয়োগ করে দাম্পত্য সম্পর্ককে শুধু টিকিয়ে রাখছেন না, বরং তা প্রাণবন্ত করে তুলছেন। এই নিবন্ধে আমরা খুঁজে বের করব কীভাবে ইসলামী শিক্ষা দাম্পত্য জীবনে শান্তি, মমতা ও দৃঢ়তার সেতুবন্ধন রচনা করে।
সম্পর্ককে মজবুত করার ইসলামিক উপায়: দাম্পত্য জীবনের আধ্যাত্মিক ভিত্তি
ইসলামে বিবাহকে ‘মিথাকুন ঘালীজা’ বা মজবুত অঙ্গীকার হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে (সূরা নিসা: ২১)। এই পবিত্র বন্ধন কেবল শারীরিক বা সামাজিক চুক্তি নয়; এটি আল্লাহর সাথে কৃত একটি আধ্যাত্মিক চুক্তি। বাংলাদেশের ইসলামিক ফাউন্ডেশনের গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব দম্পতি যৌথ ইবাদতকে দৈনন্দিন রুটিনে অন্তর্ভুক্ত করেন, তাদের বিবাহবিচ্ছেদের হার ৬৩% কম। রাসূলুল্লাহ (সা.) হাদীসে ইরশাদ করেন, “যখন কোনো পুরুষ তার স্ত্রীর দিকে তাকায় আর স্ত্রীও তার দিকে তাকায়, তখন আল্লাহ তাদের প্রতি রহমতের দৃষ্টি দেন” (বায়হাকী)। এই আধ্যাত্মিক দৃষ্টিভঙ্গিই সম্পর্কের ভিত্তিকে রূপান্তরিত করে।
Table of Contents
দাম্পত্য সম্পর্কের ইসলামিক ভিত্তি নির্মাণে তিনটি স্তম্ভ:
- ১. তাওহীদের ভিত্তি: আল্লাহকে কেন্দ্র করে সম্পর্ক গড়ে তোলা। সূরা রুমের ২১ নং আয়াতে ইরশাদ হয়েছে, “আর তাঁর নিদর্শনাবলির মধ্যে রয়েছে যে, তিনি তোমাদের জন্য তোমাদের মধ্য থেকেই স্ত্রী সৃষ্টি করেছেন, যাতে তোমরা তাদের কাছে শান্তি পাও।”
- ২. রিসালাতের অনুসরণ: রাসূল (সা.) ও খাদিজা (রা.)-এর সম্পর্ক আদর্শ হিসেবে গ্রহণ। তাঁরা পারস্পরিক শ্রদ্ধা, আস্থা ও সহযোগিতার যে নজির স্থাপন করেছেন, তা চিরন্তন।
- ৩. আখিরাতমুখী চিন্তা: প্রতিটি দাম্পত্য কাজকে পরকালীন জবাবদিহিতার আলোকে মূল্যায়ন। সহীহ মুসলিমে বর্ণিত হাদীস অনুযায়ী, “সেই সেরা মুসলমান যে তার স্ত্রীর নিকট সেরা।”
সিলেটের এক গ্রামে বসবাসকারী রফিকুল ইসলাম ও ফাতেমা খাতুনের জীবনে এই শিক্ষার প্রতিফলন দেখা যায়। কৃষিকাজের কঠোর পরিশ্রমের মাঝেও তারা ফজরের নামাজ একসাথে আদায় করেন, সপ্তাহে একদিন যৌথভাবে কুরআন অধ্যয়ন করেন। রফিকুল বলেন, “আমাদের ঝগড়া হয়, কিন্তু ইবাদতের সময় একসাথে বসলে মনটা নরম হয়ে আসে।” এই যুগল ইবাদত শুধু আধ্যাত্মিকতা বাড়ায় না, বরং আবেগীয় সংযোগকে গভীর করে।
দৈনন্দিন আচরণে নবীজির সুন্নত: প্রাত্যহিক জীবনের রূপান্তরমূলক অনুশীলন
রাজশাহীর এক কলেজ শিক্ষক আরিফা সুলতানা স্বীকার করেন, “ইসলামিক উপায়ে সম্পর্ক গড়ার অর্থ শুধু বড় বড় কাজ নয়, ছোট ছোট দৈনন্দিন সুন্নতের চর্চা।” রাসূল (সা.)-এর জীবনী থেকে পাওয়া এই সহজ অথচ গভীর অভ্যাসগুলো দাম্পত্য জীবনে আমূল পরিবর্তন আনতে পারে:
কথার জাদু: নরম ভাষার শক্তি
সূরা বনি ইসরাইলের ৫৩ নং আয়াতে আল্লাহ তাআলা বলেন, “বান্দাদেরকে বলো, তারা যেন উত্তম কথা বলে।” রাসূল (সা.) কখনও স্ত্রীদের সাথে কর্কশ ভাষায় কথা বলেননি। বাংলাদেশি সমাজে গবেষণা করে দেখা গেছে, দম্পতিদের ৮০% মনোমালিন্যের সূত্রপাত হয় কঠিন শব্দ প্রয়োগ থেকে। ইসলামিক উপদেশ হলো:
- ডাকনাম বা উপনাম ব্যবহার: স্ত্রীকে নাম ধরে না ডাকাই সুন্নত। রাসূল (সা.) আয়িশা (রা.)-কে ‘হুমায়রা’ (গোলাপফুল) বলে ডাকতেন।
- ধন্যবাদ জ্ঞাপন: স্ত্রীর ছোটখাটো সেবার জন্য ‘জাযাকাল্লাহু খাইরান’ বলা।
- নেতিবাচকতা পরিহার: “তুমি সবসময়…” বা “তোমার দ্বারা…” ধরনের সাধারণীকরণ এড়ানো।
দৃষ্টির ভাষা: ভালোবাসার অমৌখিক প্রকাশ
রাসূল (সা.) বলেছেন, “তোমার স্ত্রীর মুখের দিকে তাকানোও ইবাদত।” মনোবিজ্ঞানীরা প্রমাণ করেছেন, দম্পতিদের মধ্যে ইতিবাচক শারীরিক ভাষা (মৃদু হাসি, স্নেহপূর্ণ দৃষ্টি) মানসিক ঘনিষ্ঠতা ৪০% বাড়ায়। চট্টগ্রামের এক ব্যবসায়ী ইমরান হোসেন বলেন, “প্রতিদিন সকালে স্ত্রীর চোখে চোখ রেখে ‘গুড মর্নিং’ বলার অভ্যাস আমাদের সম্পর্কে নতুন মাত্রা যোগ করেছে।
ক্ষমা ও ধৈর্য: সম্পর্কের স্থায়িত্বের চাবিকাঠি
সূরা তাগাবুনের ১৪ নং আয়াতে আল্লাহ তাআলা নির্দেশ দেন, “তোমরা ক্ষমা ও সহিষ্ণুতার মাধ্যমে পরস্পরকে ক্ষমা করো।” বাংলাদেশের পারিবারিক আদালতের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ৭০% ডিভোর্সের কারণ ‘অমার্জনীয় অভিমান’। ইসলামিক সমাধান হলো:
- ৩ দিনের বেশি মনোমালিন্য রাখা নিষিদ্ধ (বুখারী)
- ক্ষমা চাওয়াকে সাহসিকতা হিসেবে দেখা
- রাগ নিয়ন্ত্রণের কৌশল: অজু করা, অঙ্গীকার ভঙ্গ করা থেকে বিরত থাকা
পারস্পরিক অধিকার ও দায়িত্ব: ভারসাম্যপূর্ণ দাম্পত্য জীবনের ইসলামিক রূপরেখা
বাংলাদেশের অনেক দম্পতির মধ্যে একটি ভুল ধারণা প্রচলিত যে ইসলাম স্বামীকে কর্তৃত্ব দিয়েছে একতরফাভাবে। অথচ কুরআন ও সুন্নাহ উভয়ের অধিকার স্পষ্টভাবে বর্ণনা করে:
স্বামীর কর্তব্য: শুধু ভরণপোষণ নয়, সম্মানবোধ নিশ্চিতকরণ
সূরা নিসার ৩৪ নং আয়াতে বলা হয়েছে, “পুরুষরা নারীদের উপর কর্তৃত্বশীল।” কিন্তু এই কর্তৃত্বের সাথে জড়িত গভীর দায়িত্ব:
- আর্থিক দায়: স্ত্রীর প্রয়োজনীয়তা পূরণে সক্ষমতা অনুযায়ী প্রচেষ্টা
- আবেগীয় সহায়তা: স্ত্রীর অনুভূতি শ্রদ্ধা ও মনোযোগ দেওয়া
- শিক্ষার সুযোগ: রাসূল (সা.) বলেছেন, “স্ত্রীকে শিক্ষিত করো” (তিরমিজী)
- সুন্দর সহবাস: হাদীসে বর্ণিত আছে, স্বামীর জন্য কর্তব্য স্ত্রীর সাথে খেলতে যাওয়া
স্ত্রীর দায়িত্ব: গৃহকে জান্নাতের বাগান বানানো
রাসূল (সা.) বলেছেন, “সর্বোত্তম স্ত্রী সে, যখন তুমি তাকে দেখো তোমার মনে আনন্দ হয়, যখন তুমি তাকে কোনো নির্দেশ দাও, সে তা পালন করে…” (ইবনে মাজাহ):
- গোপনীয়তা রক্ষা: স্বামীর দুর্বলতা বা গোপন কথা প্রকাশ না করা
- গৃহ ব্যবস্থাপনা: সন্তান ও সম্পদের হেফাজত
- আত্মোন্নয়ন: ধর্মীয় জ্ঞানার্জন ও চরিত্র সংশোধন
- সৌন্দর্য চর্চা: স্বামীর জন্য নিজেকে সাজিয়ে রাখা
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের গবেষণা প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশে ৬৮% দাম্পত্য কলহের মূল কারণ অধিকার ও দায়িত্ব সম্পর্কে অস্পষ্টতা। অথচ ইসলাম উভয়ের দায়িত্ব সুনির্দিষ্ট করেছে।
সংঘাত সমাধানের ইসলামিক পদ্ধতি: রাগ নয়, বুদ্ধিমত্তার বিজয়
ঢাকার এক সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার জাকির হোসেন ও তার স্ত্রী সাবরিনা ফেরদৌসের সংঘাত সমাধানের পদ্ধতি অনুকরণীয়। কোনো বিষয়ে মতবিরোধ হলে তারা:
১. নামাজ আদায় করে মন শান্ত করা
২. কুরআনের সূরা আল-হুজুরাতের ১২ নং আয়াত তিলাওয়াত (“ধারণা থেকে বিরত থাকো…”)
৩. ‘আমি’ ভিত্তিক বাক্য ব্যবহার (“আমি আহত হয়েছি যখন…”)
৪. ২৪ ঘন্টার মধ্যে সমাধানে সম্মত হওয়া
ইসলামিক মধ্যস্থতার ধাপসমূহ:
কুরআনে বর্ণিত পদ্ধতি অনুযায়ী (সূরা নিসা: ৩৫):
- ধাপ ১: উভয় পক্ষের মধ্যে সরাসরি আলোচনা
- ধাপ ২: উভয় পরিবার থেকে একজন মধ্যস্তকারী
- ধাপ ৩: স্থানীয় ইমাম বা আলেমের সহায়তা
- ধাপ ৪: ইসলামিক কাউন্সিলিং সেন্টারে যোগাযোগ
বরিশালের এক গ্রামে এই পদ্ধতিতে ২০২৩ সালে ১২০টি দাম্পত্য কলহের মধ্যে ১১৫টির শান্তিপূর্ণ সমাধান হয়েছে। মধ্যস্তকারী মাওলানা আব্দুল মান্নান বলেন, “ইসলামিক পদ্ধতিতে আমরা অভিযোগ শোনার আগে উভয়কে একসাথে নামাজ পড়তে বলি। এতে মন নরম হয়।”
আধুনিক প্রযুক্তি যুগে ইসলামিক দাম্পত্য সম্পর্ক: চ্যালেঞ্জ ও সমাধান
ফেসবুক, টিকটকের যুগে দাম্পত্য সম্পর্কে নতুন চ্যালেঞ্জ দেখা দিয়েছে। ইসলামিক স্কলার ড. খন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীরের মতে, “প্রযুক্তি সম্পর্ক নষ্টের হাতিয়ার নয়, বরং শক্তিশালী করার মাধ্যম হতে পারে যদি শরীয়াহর সীমারেখা মেনে চলা হয়।
ডিজিটাল সীমানা নির্ধারণের ইসলামিক গাইডলাইন:
- সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারে সতর্কতা: অপরিচিত বিপরীত লিঙ্গের সাথে চ্যাটিং এড়ানো, পারিবারিক ছবি শেয়ারে ইসলামিক আদব মেনে চলা
- ডিজিটাল ইবাদত: যৌথভাবে ইসলামিক অ্যাপ ব্যবহার (যেমন: মুসলিম প্রো, কুরআন মাজিদ)
- স্ক্রিন-ফ্রি সময়: দিনে অন্তত ২ ঘণ্টা প্রযুক্তিমুক্ত সময় কাটানো
- ভার্চুয়াল রোমান্স থেকে হেফাজত: সূরা নুরের ৩০-৩১ নং আয়াতের নির্দেশনা মেনে চলা
কুমিল্লার এক তরুণ দম্পতি সাকিব ও নুসরাত সপ্তাহে একদিন ‘ডিজিটাল রোজা’ পালন করেন। নুসরাত বলেন, “সেদিন মোবাইল বন্ধ রেখে আমরা বাগানে কাজ করি, রান্না করি, কুরআন তিলাওয়াত করি। এই দিনটি আমাদের সত্যিকারের সংযোগ তৈরি করে।”
দাম্পত্য জীবনকে জান্নাতের নমুনায় পরিণত করার এই ইসলামিক পথচলা কোনো স্বপ্ন নয়; এটি প্রতিটি মুসলিম দম্পতির নাগালের মধ্যে থাকা বাস্তবতা। সম্পর্ককে মজবুত করার ইসলামিক উপায় শুধু সংঘাত কমায় না, বরং দাম্পত্য জীবনে নিয়ে আসে ঐশ্বর্য্যবহুল শান্তি ও পরিপূর্ণতা। আজই আপনার সঙ্গীর হাত ধরে ফিরে দেখা শুরু করুন রাসূল (সা.)-এর সেই অমোঘ বাণী: “তোমাদের মধ্যে সেই সর্বোত্তম যে তার স্ত্রীর কাছে সর্বোত্তম” (তিরমিজী)। একটি আয়াত, একটি হাদীস, একটি নরম কথার মাধ্যমে গড়ে তুলুন আপনার দাম্পত্য জীবনের জান্নাতি কানন।
জেনে রাখুন
ইসলামে দাম্পত্য সম্পর্ককে মজবুত করার সবচেয়ে কার্যকর উপায় কী?
ইসলামিক বিশেষজ্ঞদের মতে, নিয়মিত যৌথ ইবাদত (যেমন: জামাতে নামাজ আদায়, রোজা রাখা) দাম্পত্য বন্ধন শক্তিশালী করার সর্বোত্তম পদ্ধতি। রাসূল (সা.) ও তাঁর স্ত্রীদের জীবনীতে এর অসংখ্য নজির রয়েছে। দৈনিক অন্তত একটি ইবাদত একসাথে করার অভ্যাস সম্পর্কে নতুন মাত্রা যোগ করে।
স্বামী-স্ত্রীর মতানৈক্য হলে ইসলাম কী সমাধান দেয়?
ইসলাম মতবিরোধের ক্ষেত্রে প্রথমে সরাসরি আলোচনা, তারপর পরিবারের বয়োজ্যেষ্ঠদের মধ্যস্থতা ও শেষ পর্যন্ত ধর্মীয় স্কলারদের পরামর্শ নেওয়ার পদ্ধতি সুপারিশ করে। রাগ নিয়ন্ত্রণে অজু করা, নামাজ আদায় করা ও তিন দিনের মধ্যে সমাধানে পৌঁছানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে হাদীসে।
স্ত্রীর প্রতি স্বামীর প্রধান তিনটি দায়িত্ব কী?
ইসলামিক আইন অনুযায়ী, স্বামীর প্রধান দায়িত্ব হলো: ১) স্ত্রীর উপযুক্ত ভরণপোষণ নিশ্চিত করা, ২) তার সাথে সদাচরণ ও সম্মানজনক আচরণ করা, ৩) ধর্মীয় শিক্ষা ও নিরাপত্তা প্রদান করা। রাসূল (সা.) বলেছেন, “তোমাদের মধ্যে সেই সর্বোত্তম যে তার পরিবারের কাছে সর্বোত্তম।
স্বামীর প্রতি স্ত্রীর কর্তব্যের মধ্যে কোনটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ?
ইসলামিক স্কলারদের ব্যাখ্যা অনুযায়ী, স্বামীর আনুগত্য করা স্ত্রীর প্রধান কর্তব্য, তবে তা কখনই আল্লাহর নাফরমানির মধ্যে পড়ে না। গৃহের ব্যবস্থাপনা, সন্তান লালন-পালন ও স্বামীর গোপনীয়তা রক্ষাও সমান গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব। রাসূল (সা.) স্ত্রীদেরকে স্বামীর সম্পদের “রক্ষক” হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
দাম্পত্য জীবনে রাসূল (সা.)-এর কোন সুন্নতগুলো সবচেয়ে প্রাসঙ্গিক?
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে সবচেয়ে কার্যকর সুন্নত হলো: ১) একসাথে ইফতার ও সাহরি করা, ২) পারস্পরিক ডাকনাম ব্যবহার, ৩) উপহার আদান-প্রদান, ৪) অসুস্থতায় যত্ন নেওয়া, ৫) ভুল হলে ক্ষমা চাওয়া। আয়িশা (রা.) বর্ণনা করেন, রাসূল (সা.) কখনও স্ত্রীদের প্রতি রূঢ় হতেন না।
সমস্যা সমাধানে মধ্যস্থতা কখন ও কীভাবে নেওয়া উচিত?
যখন স্বামী-স্ত্রীর সরাসরি আলোচনায় সমাধান না হয়, তখন উভয় পক্ষের পরিবার থেকে একজন ন্যায়পরায়ণ ব্যক্তিকে মধ্যস্থকারী নিযুক্ত করা ইসলামের নির্দেশ। মধ্যস্থতা শুরু করার আগে উভয়কে নামাজ আদায় ও কুরআন তিলাওয়াতের পরামর্শ দেওয়া হয়। বাংলাদেশ ইসলামিক ফাউন্ডেশনের শাখাগুলোতে বিনামূল্যে এ সেবা দেওয়া হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।