একটি বন্ধন স্থায়ী হওয়ার জন্য সম্পর্ক বিশ্বাস, নিরাপত্তা এবং সম্মানের ভিত্তিতে তৈরি করা প্রয়োজন। যদি এই উপাদানগুলোর মধ্যে কোনো একটি অনুপস্থিত থাকে তবে সমস্যা হবেই। সম্পর্কে নিরাপদ বোধ তৈরি হতে সময় লাগে। আস্থা রাতারাতি তৈরি হয় না; এর জন্য প্রচেষ্টা, সময় এবং ধৈর্য প্রয়োজন। আপনি এক সপ্তাহ বা এক মাসের মধ্যে একটি সম্পর্কের মধ্যে নিরাপদ বোধ করার আশা করতে পারেন না।
আপনি যদি অনিরাপদ বোধ করেন এবং সেভাবেই থাকেন, তাহলে ভবিষ্যতে তা সম্পর্কের জন্য আরও খারাপ হতে পারে। নিরাপত্তাহীনতা সব সময় তৃতীয় ব্যক্তির কারণে আসে না, এটি আরও অনেক কারণেই ঘটতে পারে। হতে পারে তা সঙ্গীর দিক থেকে কোনো আচরণ কিংবা নিজের ভেতরে থাকা হীনমন্যতার কারণে। তবে এই সমস্যা থেকে বের হওয়ার উপায়ও রয়েছে-
১. সমস্যা সম্পর্কে মন খুলে কথা বলুন
নিজের মনের কথা অন্যকে বলা কঠিন হতে পারে। আপনি ভাবতে পারেন যে সে বুঝতে পারবে না। হয়তো হাসবে বা পাত্তা দেবে না। তাই আপনি তার কাছে কথা লুকিয়ে রাখেন। এমনটা করবেন না। মন খুলে কথা বলতে সময় লাগবে এবং এটিই স্বাভাবিক। সময় নিন, তাড়াহুড়ো করবেন না। আপনি যখন প্রস্তুত হবেন এবং বিশ্বাস করবেন যে সে বুঝতে পারবে, তখনই বলুন। এতে সমাধান হবে সহজেই।
২. আপনার ভয় সম্পর্কে বলুন
অনেকেই মনে করে যে সে তার সঙ্গীর যোগ্য নয় বা মনে করে যে সে যথেষ্ট ভালো নয়। প্রত্যাখ্যান এবং পরিত্যাগের এই ক্রমাগত ভয় এই বিশ্বাসের দিকে নিয়ে যেতে পারে যে, সে তার সঙ্গীকে হতাশ করবে বা তার সঙ্গীর উপযুক্ত ব্যক্তি হতে পারবে না। এই ভয়গুলো আপনার সঙ্গীর কাছে প্রকাশ করুন। সে আপনাকে আশ্বস্ত করবে এবং আপনাকে নিরাপদ বোধ করতে সাহায্য করবে।
৩. যোগাযোগ
যোগাযোগ একটি সম্পর্কের গুরুত্বপূর্ণ দিক। আপনি যত বেশি যোগাযোগ করবেন এবং সঙ্গীর সঙ্গে মন খুলে কথা বলবেন, তত বেশি নিরাপদ বোধ করবেন। একে অপরকে আরও ভালোভাবে বুঝতে পারলে তা আপনার বন্ধনকে শক্তিশালী করবে এবং তার জীবনে আপনাকে অপরিহার্য করে তুলবে।
৪. বিশ্বাস
বিশ্বাস যেকোনো সম্পর্কের ভিত্তি এবং এটি পারস্পরিক হওয়া উচিত। যদি আপনার বা আপনার সঙ্গীর বিশ্বাসের সমস্যা থাকে তবে সম্পর্কটি বেশি দূর এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব না-ও হতে পারে। বিশ্বাস গড়ে তুলতে সময় লাগে, কিন্তু একবার আপনি এবং আপনার সঙ্গী একে অপরকে বিশ্বাস করলে, আপনি জানবেন যে আপনি কেউই এমন পদক্ষেপ নেবেন না যা অন্যকে আঘাত করতে পারে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।