‘অন্ধজনে দেহ আলো’। সম্পূর্ণ দৃষ্টিহীনদের পৃথিবীর আলো দেখানোর পথে নিউরোলিঙ্ক। ধনকুবের এলন মাস্কের সংস্থার দাবি, কার্যতই অসাধ্য সাধন করতে পারবে তাদের তৈরি ‘ব্লাইন্ডসাইট’। এই যন্ত্র ফেরাবে দৃষ্টি, এমনকী সম্পূর্ণ অন্ধ ব্যক্তিদেরও। সম্প্রতি মার্কিন খাদ্য ও ওষুধ সংক্রান্ত প্রশাসন ‘ক্লিয়ারেন্স’ দিয়েছে ব্লাইন্ডসাইটকে। স্বাভাবিক ভাবেই এমন এক উদ্ভাবন নিয়ে চাঞ্চল্য বিশেষজ্ঞ মহলে।
মাস্ক সোশাল মিডিয়ায় জানিয়েছেন, ‘নিউরোলিঙ্কের ব্লাইন্ডসাইট ডিভাইস এমন মানুষেরও দৃষ্টিশক্তি ফেরাবে যাঁরা দুই চোখ এবং অপটিক নার্ভ সবই হারিয়েছেন। এমনকী জন্মান্ধদেরও যদি ভিশুয়াল কর্টেক্স ঠিক থাকে তাহলে তাঁদেরও দৃষ্টি ফেরাবে এই যন্ত্র।’
প্রসঙ্গত, ব্লাইন্ডসাইট একমাত্র নয়। ২০১৬ সালে স্থাপিত নিউরোলিঙ্ক নামের সংস্থাটি মানুষের মস্তিষ্কে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রয়োগ নিয়েও কাজ করছে। ২০২১ সালে নিউরোলিঙ্ক জানিয়েছিল, তারা দুটি বাঁদরের মস্তিষ্কে এই চিপ প্রতিস্থাপন করে পরীক্ষা চালিয়েছে। এদিকে নোল্যান্ড নাম্নী ওই তরুণ আট বছর আগে এক দুর্ঘটনার সম্মুখীন হন। চোট পান মেরুদণ্ডে। গত জানুয়ারিতে তাঁর মস্তিষ্কে বসানো হয় চিপ।
যার ফলে নিজেদের লক্ষ্যের দিকে আর একধাপ এগিয়ে গিয়েছে মাস্কের সংস্থা। এই ঘটনা সাড়া ফেলেছে প্রযুক্তি ও বিজ্ঞানের দুনিয়ায়। ওই ব্যক্তি তাঁর মস্তিষ্ককে ব্যবহার করে অর্থাৎ ‘টেলিপ্যাথি’র মাধ্যমে ভিডিও গেম বা অনলাইন দাবা খেলতে পারছেন। পরে মাস্ক লেখেন, ‘মনে হয় না, কম্পিউটার মানুষের চেয়ে ভালো দাবা খেলে। তবে আমার অনুমান, আগামী ১০ বছরের মধ্যে দাবার সমস্ত রহস্য সমাধান হয়ে যাবে। যেভাবে চেকার্সের মতো খেলায় হয়েছে।’ পিটার নিয়েলসন, ভ্লাদিমির ক্রামনিকের মতো বিখ্যাত দাবাড়ুরা আংশিক সমর্থন জানাচ্ছেন ইলন মাস্কের বক্তব্যকে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।