
জানা গেছে, মুলিয়া ইউনিয়নের শালিয়ারভিটা গ্রামের হতদরিদ্র গৃহহীন মীরা রানীর নিকট হতে ঘর দেয়া বাবদ ৪৮ হাজার টাকা নিয়েছেন। সরজমিন শালিয়ারভিটা গ্রামে গেলে ভুক্তভোগি মিরা রানী সাংবাদিকদের জানান মুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ অধিকারী ঘর দেয়ার জন্য ৫০ হাজার টাকা দাবী করেন। হাতে পায়ে ধরে অনেক অনুরোধ করায় ২ হাজার কমে ৪৮ হাজার টাকা নিয়েছে। চেয়ারম্যানকে এ টাকা দিতে তিনি ভাইদের কাছ থেকে এবং কয়েকজন থেকে ধার ও সুদে টাকা এনেছেন।
নড়াইল সদর পিআইও অফিস সূত্রে জানা যায়, গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষনাবেক্ষণ (টি,আর) কর্মসূচির আওতায় গৃহহীনদের জন্য দূর্যোগ সহনশীল বাসগৃহ নির্মাণ কর্মসূচির আওতায় উপকারভোগীদের মাঝে পিআইসি’র মাধ্যমে এ ঘর নির্মাণ করে দেয়া হচ্ছে। প্রতি ঘর ২ লক্ষ ৯৯ হাজার ৮৬০ টাকায় নির্মাণ করা হচ্ছে। এ প্রকল্পের আওতায় নড়াইল সদরে ১৩টি ইউনিয়নে ৩৮টি ঘরের জন্য মোট ১ কোটি ১৩ লক্ষ ৯৪ হাজার ৬৮০ টাকা বরাদ্দ দেয় সরকার। এ প্রকল্পের ১টি ঘর মুলিয়া ইউনিয়নের শালিয়ারভিটা গ্রামে নির্মিত হচ্ছে।
মুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ অধিকারী ঘর দেয়া বাবাদ ঘুষ নেয়ার ব্যাপারে জানান, তিনি কোন ঘুষ নেননি। ঘরের কাজ একটু ভালো করে করার জন্য মিরা রানী কিছু টাকা দিয়েছিল। নড়াইল সদরের পিআইও সৈয়দ আজিম উদ্দিন জানান, শালিয়ারভিটা গ্রামের মীরা রানীর নিকট হতে মুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান ৪৮ হাজার টাকা নিয়েছেন বলে তিনিও শুনেছেন। বিষয়টি তিনি নড়াইল সদরের ইউএনও ও জেলা প্রশাসকে জানিয়েছেন বলে জানান।
নড়াইল সদরের ইউএনও সালমা সেলিম জানান, মৌখিক অভিযোগ পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন। ভুক্তভোগি মিরা রানীর সাথে কথা বলেছেন।
এ ঘটনায় মিরা রানীতে লিখিত ভাবে জানাতে বলা হয়েছে। গত ১৫ মার্চ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবসের সভায় প্রসঙ্গক্রমে ইউপি চেয়ারম্যানদের বিরূদ্ধে ঘর দেয়া বাবদ উৎকোচ নেয়ার অভিযোগ উঠে।
এ সময় ক্ষোভ প্রকাশ করে জেলা প্রশাসক আনজুমান আরা বলেন, কারো বিরূদ্ধে ঘুষ গ্রহনের বিষয়টি প্রমানিত হলে তার হাত কেটে ফেলা হবে। এদিকে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সালমা সেলিম সরজমিন শালিয়ারভিটা গ্রামে গিয়ে মিরা রানীর সাক্ষাৎকার নেয়ার পর ইউপি চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ অধিকারী তার লোকজন দিয়ে মিরা রানীকে বশ করার জন্য চাপ সৃষ্টি করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।


