দেশের প্রধান পর্যটন শহর কক্সবাজারকে ‘ব্যয়বহুল’ হিসেবে ঘোষণা করেছে সরকার। এতে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসহ বিভিন্ন জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাবে। আর এ কারণেই শহরের সরকারি চাকরিজীবীদের বাড়িভাড়াসহ বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, কক্সবাজার শহর বা পৌর এলাকার নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মূল্যবৃদ্ধিসহ বাড়িভাড়া, যানবাহনের ভাড়া, খাদ্য, পোশাকসামগ্রীসহ অন্যান্য ভোগ্যপণ্যের দাম বিবেচনায় কক্সবাজার পৌর এলাকাকে ব্যয়বহুল হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, জেলা প্রশাসক সম্মেলনে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসকের (ডিসি) দেয়া প্রস্তাবের ভিত্তিতেই মূলত এই ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
ওই সম্মেলনে কক্সবাজারের ডিসি বলেছিলেন, বাস্তুচ্যুত হয়ে মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গারা কক্সবাজারের আসার পর সেখানে দেশি-বিদেশি অসংখ্য বেসরকারি সংস্থা কাজ শুরু করে। এছাড়াও বিভিন্ন সংস্থা সেখানে কাজ করছে। এর ফলে কক্সবাজারে থাকা-খাওয়ার খরচ বেড়ে গেছে। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ওপর আর্থিক চাপ পড়ছে। এ বিবেচনায় কক্সবাজার শহরকে ব্যয়বহুল শহর ঘোষণার প্রস্তাব করেন তিনি। তখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ বিষয়ে নীতিগত সম্মতি দেন। পরে অন্যান্য প্রক্রিয়া শেষ করে এখন প্রজ্ঞাপন জারি হয়েছে। এখন অর্থ বিভাগ আর্থিক বিষয়গুলো নির্ধারণ করবে।
বর্তমানে দেশের সাত বিভাগীয় শহর ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী, সিলেট, বরিশাল ও রংপুর সরকারি হিসাবে ব্যয়বহুল। এছাড়াও ঢাকার নারায়ণগঞ্জ জেলা, গাজীপুর সিটি করপোরেশন এলাকা এবং সাভার পৌর এলাকাকে সরকারি হিসাবে ব্যয়বহুল এলাকা। তবে ময়মনসিংহ বিভাগ হলেও এখনো ব্যয়বহুল শহর হিসেবে ঘোষণা হয়নি।
প্রসঙ্গত, ঢাকাসহ দেশের ব্যয়বহুল এলাকাগুলোয় সরকারি চাকরিজীবীরা সাধারণত মূল বেতনের ৫০ শতাংশ বাড়িভাড়া পেয়ে থাকেন। এখন থেকে কক্সবাজারের চাকরিজীবীরাও তা পাবেন। বর্তমানে এই হার ৪৫ শতাংশ। এ ছাড়া টিএ-ডিএসহ অন্যান্য সুবিধাও বাড়বে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।