জুমবাংলা ডেস্ক : মাধবপুর উপজেলা সদর বাজারে সরকারি অর্থায়নে নির্মিত বাউন্ডারি দেয়াল ভেঙে ১০ কোটি টাকা মূল্যের সুরক্ষিত ভূমি জবর দখলের চেষ্টা করছে কতিপয় লোক।
উপজেলা পরিষদের কয়েক লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত পাকা বাউন্ডারি দেয়াল ও গ্রিল রাতের আঁধারে ভেঙে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। শুধু দেয়াল ও গ্রিল ভেঙেই ক্ষান্ত হয়নি। বাউন্ডারির ভেতরে গত ২ বছর আগে রোপণ করা ফুল ও ফলের গাছগুলোও কেটে দিয়েছে। এ নিয়ে স্থানীয় সচেতন মহলে দেখা দিয়েছে ক্ষোভ।
জানা গেছে, গত ২০২২ সালে মাধবপুর বাজারের প্রবেশ মুখে ৪ শতাংশ ভূমি শামসু নামে জনৈক ব্যক্তি মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করে বন্দোবস্ত আনে। সেই ভূমিতে রাতের আঁধারে প্রায় ১০টি টিনশেড ঘর নির্মাণ করেছিল।
খবর পেয়ে তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ মঈনুল ইসলাম মঈন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) আলাউদ্দিন সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী মো. সাদ্দাম মিয়াসহ একদল পুলিশ নিয়ে ভূমিটিতে নির্মিত অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছিল ২০২২ সালের ২১ সেপ্টেম্বর সকালে।
উদ্ধারকৃত ভূমিটি জনগুরুত্বপূর্ণ হওয়া উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ অর্থায়নে কয়েক লখ টাকা ব্যয় করে বাউন্ডারি দেয়াল, লোহার গ্রিল দিয়ে সৌন্দর্য বর্ধক কিছু দুর্লভ ফুলের গাছ ও ঘাস রোপণ করা হয়েছিল। কিন্তু গত বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে কে বা কারা বাউন্ডারি দেয়ালটি ভেঙে ফেলে, লোহার গ্রিলগুলোও নিয়ে যায়। এরই মধ্যে ভ্যানে নির্মিত ৪টা টং দোকান প্রবেশ করিয়ে রাখে ওই ভূমিতে। টং দোকানগুলোর মালিকানা চিহ্নিত করা যায় নি।
ধারণা করা হচ্ছে ওই দোকানের মালিকরা এই ধ্বংসাত্মক কাজের সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে। উপজেলা পরিষদ থেকে ১০০ গজ ও থানা থেকে ৩০০ গজ দূরত্বে সরকারি বাউন্ডারি ভেঙে ভূমিদস্যুদের জবরদখল বিস্মিত করেছে মাধবপুরবাসীকে। প্রশ্ন দেখা দিয়েছে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে।
গত ৫ আগস্টের পর থেকে মাধবপুরে একটি চক্র সরকারি ভূমি, সনাতন সম্প্রদায়ের ভূমি জবর দখলে অপতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি মাধবপুরের শান্তিপ্রিয় জনগণের।
এ ব্যাপারে মাধবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. জাহেদ বিন কাশেম জানান, বাউন্ডারি ওয়াল ভেঙে ফেলার খবর তিনি পেয়েছেন। শনিবার সকালে সরেজমিন গিয়ে ব্যবস্থা নেবেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।