জুমবাংলা ডেস্ক: সরকারি সফরে লেবাননের উদ্দেশ্যে আজ (২ অক্টোবর) ঢাকা ত্যাগ করেছেন নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল এম শাহীন ইকবাল।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে সহকারী নৌবাহিনী প্রধান (অপারেশন্স) এবং কমান্ডার ঢাকা নৌ অঞ্চল আনুষ্ঠানিকভাবে নৌবাহিনী প্রধানকে বিদায় জানান।
সফরকালীন সময়ে নৌবাহিনী প্রধান লেবাননের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মরিস স্লিম (অব.), সশস্ত্র বাহিনী প্রধান জেনারেল জোসেফ খালিল আউন, নৌবাহিনী প্রধান ক্যাপ্টেন হাইথাম ড্যানাউই এবং লেবাননে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আল মুস্তাহিদুর রহমানের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।
পরে তিনি ইউনিফিল সদর দপ্তরে মেরিটাইম টাস্ক ফোর্সের কমান্ডার রিয়ার এডমিরাল আন্দ্রেয়াস মুগে, মিশন প্রধান ও ফোর্স কমান্ডার মেজর জেনারেল আরল্ডো লাজারো সেঞ্জ এর সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।
নৌবাহিনী প্রধান জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে নিয়োজিত বাংলাদেশ নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ ‘সংগ্রাম’ এর বিভিন্ন অপারেশনাল কর্মকান্ড পরিদর্শনের পাশাপাশি জাহাজে কর্মরত নৌসদস্যদের সাথে মতবিনিময় করবেন।
উল্লেখ্য, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ২০১০ সাল হতে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ লেবাননে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে অংশগ্রহণ করে আসছে। ভূ-মধ্যসাগরে মাল্টিন্যাশনাল মেরিটাইম টাস্কফোর্সের সদস্য হিসেবে উপমহাদেশের মধ্যে একমাত্র বাংলাদেশ যুদ্ধজাহাজ বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় নিয়োজিত রয়েছে। বর্তমানে ব্যানকন-১২ এর অধীনে ১১০ জন নৌসদস্য বানৌজা ‘সংগ্রাম’ এ নিয়োজিত রয়েছে।
জাহাজটি লেবাননের ভূ-খন্ডে অবৈধ অস্ত্র এবং গোলাবারুদ অনুপ্রবেশ প্রতিহত করতে দক্ষতার সাথে কাজ করে চলেছে। পাশাপাশি উক্ত জাহাজ লেবানীজ জলসীমায় মেরিটাইম ইন্টারডিকশন অপারেশন পরিচালনা, সন্দেহজনক জাহাজ ও এয়ারক্রাফটের উপর নজরদারী, দুর্ঘটনা কবলিত জাহাজে উদ্ধার তৎপরতা এবং লেবানীজ নৌবাহিনী সদস্যদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ প্রদানের কাজ করে যাচ্ছে। লেবাননে মোতায়েনের পর থেকে বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় অদ্যাবধি ২,৮৬০ জন নৌসদস্য অত্যন্ত আন্তরিকতা, নিষ্ঠা ও দক্ষতার সাথে অর্পিত দ্বায়িত্ব পালন করেছে। নৌবাহিনীর এই গর্বিত অংশগ্রহণ আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ও সুনাম বৃদ্ধি করেছে।
সফর শেষে নৌবাহিনী প্রধান আগামী ১২ অক্টোবর দেশে ফিরবেন।-আইএসপিআর
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।