অনিল চন্দ্র রায়, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি: কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে এক প্রধান শিক্ষকের কাণ্ডে এলাকাজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের কুরুষাফেরুষা খন্দকার পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাফিজুর রহমান কাউকে তোয়াক্কা না করে নিজের নিচু জমির মাটি ভরাট করতে কেটে ফেলছেন স্কুলের মাঠের মাটি।
এছাড়াও মাঠে অবস্থিত বটগাছের ডালপালা কেটে গাছটি কেটে ফেলার চেষ্টাও করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
আজ শনিবার (৭ ডিসেম্বর) দুপুরে সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, শুক্রবার বন্ধের দিন সকাল সাড়ে ৮টায় ও শনিবার একই সময়ে স্কুলে মাঠের মাটি কাটাচ্ছেন প্রধান শিক্ষক।
সেই সাথে গাছের ডাল-পালা কাটা এবং গাছের গোড়া থেকে মাটি কেটে নিয়ে নেওয়ায় ওই গাছটি এখন মরণাপন্ন অবস্থার চিত্র পাওয়া গেছে।
তার এই কাণ্ডে স্কুলের শিক্ষকসহ অভিভাবকবৃন্দ প্রতিবাদ করেও কোনও ফল হয়নি। ওই প্রধান শিক্ষক তার প্রতাপে ট্রলি দিয়ে কেটে নিয়ে যাচ্ছেন স্কুলের মাঠের মাটি। এক ফিটের উপরে মাটি কেটে ফেলায় নিচু হয়ে গেছে স্কুলের মাঠ। এছাড়াও গাছের ডালপালা কেটে নেয়ায় টিফিনে বিশ্রাম নেয়ার আশ্রয়টুকুও হারালো শিক্ষার্থীরা।
বিষয়টি নিয়ে প্রধান শিক্ষক হাফিজুর রহমানের সাথে কথা বললে তিনি জুমবাংলাকে জানান, এই মাঠ আমাদের বাপ-দাদার। তারাই এই জমি দান করেছেন। নিজস্ব প্রয়োজনে মাটি কেটে নিচ্ছি।
স্কুলের অভিভাবক ও স্থানীয় অধিবাসী রফিক, আব্দুর রহীম ও নুরবানু জুমবাংলাকে জানান, প্রতিবাদ করেও কোনও ফল হয়নি। বট গাছটি কাটার চেষ্টা করেছিলেন তিনি। আমরা বাধা দিয়েছি। কিন্তু শুক্রবার বন্ধের দিনে গোপনে তারা ডালপালা কেটে বাড়িতে নিয়ে গেছেন।
কুরুষাফেরুষা খন্দকার পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মিলন ইসলাম জুমবাংলাকে জানান, প্রধান শিক্ষক নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করে বিদ্যালয়ের মাঠের মাটি কেটে নিয়ে যাওয়ায় তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে ফুলবাড়ী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার হ্নদয় রঞ্জন বর্মণ জুমবাংলাকে জানান, খবরটি পাওয়ার সাথে সাথে মাটি কাটার কাজ বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তার বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থাও নেওয়া হবে।
এ প্রসঙ্গে ফুলবাড়ী উপজেলার ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী অফিসার আব্দুল করিম জুমবাংলাকে জানান, তদন্ত সাপেক্ষে ওই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।