Close Menu
Bangla news
  • প্রচ্ছদ
  • জাতীয়
  • অর্থনীতি
  • আন্তর্জাতিক
  • রাজনীতি
  • বিনোদন
  • খেলাধুলা
  • শিক্ষা
  • আরও
    • লাইফস্টাইল
    • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
    • বিভাগীয় সংবাদ
    • স্বাস্থ্য
    • অন্যরকম খবর
    • অপরাধ-দুর্নীতি
    • পজিটিভ বাংলাদেশ
    • আইন-আদালত
    • ট্র্যাভেল
    • প্রশ্ন ও উত্তর
    • প্রবাসী খবর
    • আজকের রাশিফল
    • মুক্তমত/ফিচার/সাক্ষাৎকার
    • ইতিহাস
    • ক্যাম্পাস
    • ক্যারিয়ার ভাবনা
    • Jobs
    • লাইফ হ্যাকস
    • জমিজমা সংক্রান্ত
Facebook X (Twitter) Instagram
Bangla news
  • প্রচ্ছদ
  • জাতীয়
  • অর্থনীতি
  • আন্তর্জাতিক
  • রাজনীতি
  • বিনোদন
  • খেলাধুলা
  • শিক্ষা
  • আরও
    • লাইফস্টাইল
    • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
    • বিভাগীয় সংবাদ
    • স্বাস্থ্য
    • অন্যরকম খবর
    • অপরাধ-দুর্নীতি
    • পজিটিভ বাংলাদেশ
    • আইন-আদালত
    • ট্র্যাভেল
    • প্রশ্ন ও উত্তর
    • প্রবাসী খবর
    • আজকের রাশিফল
    • মুক্তমত/ফিচার/সাক্ষাৎকার
    • ইতিহাস
    • ক্যাম্পাস
    • ক্যারিয়ার ভাবনা
    • Jobs
    • লাইফ হ্যাকস
    • জমিজমা সংক্রান্ত
Bangla news
Home সরকার যে কঠিন সাত চ্যালেঞ্জের মুখে
মুক্তমত/ফিচার/সাক্ষাৎকার

সরকার যে কঠিন সাত চ্যালেঞ্জের মুখে

Saiful IslamApril 27, 20208 Mins Read
Advertisement

পীর হাবিবুর রহমান : পৃথিবীজুড়ে অভিশপ্ত করোনার চলমান ধ্বংসলীলায় নেমে আসা সংকটে সরকার কঠিন সাত চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। এদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে শেখ হাসিনার সরকারকেই প্রথম এমন চ্যালেঞ্জে পড়তে হয়েছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপসহ উন্নত রাষ্ট্রগুলোও এমন সংকটে পতিত হয়নি। বাংলাদেশকে মহামারী করোনাভাইরাস এই নতুন সংকটে মানুষ ও অর্থনীতি বাঁচানোর কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে এনে দাঁড় করিয়েছে। এটা সরকারেরই নয়, যেন রাষ্ট্রের চ্যালেঞ্জ।

চ্যালেঞ্জ সাতটি হচ্ছে- ১. করোনাভাইরাসে দেশের মানুষের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করে আক্রান্ত ও প্রাণহানি নিয়ন্ত্রণে রাখা। ২. লকডাউনে পতিত দেশের কর্মহীন ও দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য খাদ্য বা ত্রাণসামগ্রী বিতরণে সফলতা অর্জন এবং রিলিফ দুর্নীতি অনিয়ম কঠোর হাতে দমন। ৩. রমজানসহ করোনাকালে বাজারে কৃষিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের ব্যাপক সরবরাহ নিশ্চিত করে মুনাফাখোরদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ ও দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখা। ৪. বোরো ফসল বা ধান প্রাকৃতিক বিপর্যয় আসার আগেই দ্রুত কেটে কৃষকের ঘরে তুলে দেওয়া এবং ধানের প্রকৃত মূল্য প্রান্তিক চাষিদের দেওয়া নিশ্চিত করা। ৫. লকডাউনের কারণে মুখ থুবড়ে পড়া সরকারের সকল মেগা প্রকল্পসহ উন্নয়ন কাজ সম্পন্ন এবং দেশের শিল্প-কলকারখানার উৎপাদন চালু করে আসন্ন বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দার কবল থেকে দেশের আর্থিক খাত ও কর্মসংস্থান রক্ষা। ৬. বিদেশের শ্রমবাজারকে আরও প্রসারিত করে রেমিট্যান্স প্রাপ্তি ধরে রাখা। ৭. করোনা-উত্তর দুর্ভিক্ষ রুখে দেওয়া।

এই কঠিন সাত চ্যালেঞ্জের সঙ্গে দরজায় করা নাড়া ডেঙ্গু ও আসন্ন বন্যা মোকাবিলার প্রস্তুতি নিতে হবে। একই সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে করুণ বিপর্যয়ে থাকা শেয়ারবাজারকে চাঙ্গা করার চ্যালেঞ্জ করোনা নতুন করে নিয়ে আসবে। সেই সঙ্গে দেশজুড়ে চলমান দুর্নীতি ব্যাংক লুট বিদেশে অর্থ পাচারের মতো অনিয়মকে কঠোর হাতে দমনের মাধ্যমে সুশাসন নিশ্চিত করার চ্যালেঞ্জ তো আছেই। করোনার ভয়াবহতায় বিশ্বজুড়েই আগামীতে কঠিন অর্থনৈতিক মন্দার পদধ্বনি দেখছেন রাষ্ট্রনায়ক অর্থনীতিবিদরা। বিশ্ব অর্থনীতি এখন ভয়াবহ মন্দার মুখে। এখানে উৎপাদন আর সচল পরিবহন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্বব্যাপী প্রায় ২০ কোটি মানুষ বেকার হওয়ার ঝুঁকিতে। আমেরিকাতে ইতিমধ্যেই ২ কোটি ২০ লাখ মানুষ চাকরি হারিয়েছে।

বিশ্বের ধনকুবেররা দেখছেন কঠিন সময়। দেশে দেশে লকডাউন সামাজিক দূরত্ব বা ঘরবন্দী জীবনের কোয়ারেন্টাইনের সঙ্গে নেমে এসেছে সকল উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে নিস্তব্ধতা। ধনাঢ্য রাষ্ট্রগুলোর জন্য যেখানে পরিস্থিতি উত্তরণ চ্যালেঞ্জের সেখানে বাংলাদেশের মতো রাষ্ট্রের জন্য ভয়ঙ্কর মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। যদিও ২০০৯ সালের বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দার কবলে যুক্তরাষ্ট্র ইউরোপ অর্থনৈতিক দুঃসময় দেখেছে সেখানে রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা দেশের অর্থনীতিকে সেই থাবা থেকে রক্ষা করেছেন। প্রণোদনাসহ নানা পদক্ষেপের পাশে দেশের কৃষি ও রেমিট্যান্স শক্তিশালী ভূমিকা রেখেছিল। সেই সঙ্গে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছিল সরকার।

   

করোনাভাইরাসে দেশ আক্রান্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই এবার শেখ হাসিনা প্রায় ১ লাখ কোটি টাকার প্রণোদনা দিয়েছেন। দেশে ছোট-বড় সব ব্যবসায়ী থেকে কৃষি খাতও এ ভর্তুকির আওতায়। স্বল্প সুদে এ ঋণদান হলেও অনেকে বলছেন ডিসেম্বর পর্যন্ত ব্যাংক সুদ মওকুফ করতে। রেমিট্যান্স জানুয়ারি পর্যন্ত ১৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ছিল। যা ছিল গত এক দশকের রেকর্ড সাফল্য। কিন্তু করোনায় এখন সেটাতে মহাধস। এপ্রিলের প্রথম ২২ দিনে ৬৬ কোটি ৪০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন বিভিন্ন দেশে অবস্থানরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা।

বাংলাদেশি টাকায় প্রবাসী আয়ের এ পরিমাণ ৫ হাজার ৬৪০ কোটি টাকার মতো। এ অংক আগের মাসগুলোর তুলনায় প্রায় অর্ধেক কম; মার্চের ২২ দিনে ১১০ কোটি ডলারের মতো রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা।

গবেষকরা বলছেন, বাংলাদেশের রেমিট্যান্সের বড় অংশ আসে মধ্যপাচ্য থেকে। জ্বালানি তেলের দাম একদম কমে আসায় তেলনির্ভর অর্থনীতির দেশগুলোতেও দেখা দিয়েছে বড় সংকট। এসব দেশ স্বাভাবিক হতে ২ থেকে ৩ বছর লেগে যেতে পারে। তবে মালয়েশিয়াসহ কয়েকটি দেশ স্বাভাবিক থাকবে বলে আশা করছেন তারা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা বলেন, পরিস্থিতি কারও হাতে নেই। এখন যা হবে তা মেনে নিতে হবে। বাংলাদেশের জিডিপিতে প্রবাসীদের পাঠানো অর্থ বা রেমিট্যান্সের অবদান ১২ শতাংশের মতো। দেশে অর্থনীতির প্রধান সূচকগুলোর মধ্যে রেমিট্যান্সই শুধু আশার আলো জাগিয়ে রেখেছিল।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যে দেখা যায়, মার্চে ১২৮ কোটি ৬৮ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা, যা গত বছরের মার্চের চেয়ে ১৩ দশমিক ৩৪ শতাংশ কম। আর আগের ফেব্রুয়ারির চেয়ে ১২ দশমিক ৮৪ শতাংশ কম। ১ বছর ৩ মাসের মধ্যে মার্চের রেমিট্যান্স সবচেয়ে কম ছিল। এর আগে ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে ১২০ কোটি ৬৯ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল।

করোনাভাইরাস বৈশ্বিক মহামারী রূপ নেওয়ার পর মার্চেই অনেকে দেশে ফিরে এসেছিলেন। এক কোটির বেশি বাংলাদেশি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রয়েছেন। এর মধ্যে জানুয়ারি থেকে মার্চের মাঝামাঝি পর্যন্ত ফিরে আসেন ৬ লাখ ৬৬ হাজার ৫৩০ জন। এ ছাড়া ইউরোপ, আমেরিকা ও মধ্যপ্রাচ্যে অবস্থানকারী বাংলাদেশিদের একটি বড় অংশ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তবে সাময়িক বিপর্যয়ের মুখে পড়লেও বিদেশ ঘুরে দাঁড়ানোরকালে আমাদের শ্রমবাজারের দুয়ার খুলবে। শেখ হাসিনা পাঁচ কোটি মানুষকে খাদ্যসহায়তা দিয়েছেন। শিল্পপতি থেকে রাজনৈতিক মন্ত্রী, এমপি, ব্যবসায়ী, বিভিন্ন সংগঠন, রাজনৈতিক কর্মী, সাধারণ মানুষও মানবিক টানে বিপন্ন মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। সরকারি ত্রাণে ইউপি চেয়ারম্যান-মেম্বারদের একটি ক্ষুদ্র অংশ লুটপাট করলেও সরকার কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে। শাস্তির খড়গ নেমেছে। ত্রাণ বিতরণে সমন্বয়ে প্রতি জেলায় মন্ত্রীদের সমন্বয়ের দায়িত্ব না দিয়ে প্রধানমন্ত্রী দলকে বিতর্কের ঊর্ধ্বে রেখে সচিবদের জেলায় জেলায় সমন্বয়ের দায়িত্ব দিয়েছেন। বলেছেন, দল বিবেচনা নয়, গরিব-কর্মহীন মানুষকে অগ্রাধিকার দিতে। জেলা প্রশাসন তালিকা করে দিচ্ছে। এতে অনিয়ম হলে দায় তাদেরই বহন করতে হবে।

নোবেলবিজয়ী অর্থনীতিবিদসহ আন্তর্জাতিক গবেষকরা বলছেন, অর্থনৈতিক মন্দা ও কর্মসংস্থানের বিপর্যয়ের সত্যকে অস্বীকার করার সুযোগ নেই। লকডাউন অর্থনীতি ও মানুষের কাজের বিপর্যয়ের একমাত্র কারণ। অন্যদিকে করোনার সংক্রমণ রোধে সামাজিক দূরত্ব ও সঙ্গরোধ বা কোয়ারেন্টাইনের বিকল্প নেই। কিন্তু যেখানে ধনাঢ্য দেশগুলোরও দীর্ঘসময় বসিয়ে খাবার দেওয়া সম্ভব নয় সেখানে বাংলাদেশের মতো রাষ্ট্রের জন্য কঠিন।

পশ্চিমা শক্তির বৈরিতার মুখে ফিদেল ক্যাস্ত্রোর কিউবা করোনা রুখে এখন সবাইকে সাহায্য দিচ্ছে, করোনাক্রান্ত ভারতের কেরালা প্রতিরোধ করেছে, নেপাল প্রস্তুতি আগাম নিয়ে সফল হয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়া প্রতিরোধ করে সফলতায় নির্বাচন করে সরকারি দল ফের বিজয়ী হয়েছে। আমরা সময় পেয়েও ব্যর্থ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কারণে পারিনি। একটি মন্ত্রণালয়ের দেউলিয়াত্বের মাশুল দিচ্ছে সরকার মানুষ ও অর্থনীতি।

পশ্চিমা দুনিয়ায় লকডাউন তুলে নেওয়ার দাবি, উদ্যোগও নিতে হচ্ছে দেশগুলোর সরকারকে। দেশে দেশে একই অবস্থা। সেখানে বাংলাদেশেও লকডাউন শিথিল করে করোনা মোকাবিলার পাশাপাশি অর্থনৈতিক উন্নয়নে শিল্প-কলকারখানা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চালু করার অনিবার্যতা দেখা দিয়েছে। উৎপাদন শুরুর চাপ বাড়ছে। এমনিতেই জরুরি চিকিৎসা সরঞ্জাম ছাড়া আমদানি-রপ্তানি বন্ধ। এয়ারলাইনস বাণিজ্যের বিপর্যয় কাটাতেই ২০২৩ সাল পর্যন্ত সময় লাগবে। শিল্প-কলকারখানার উৎপাদন, ব্যবসা-বাণিজ্য দ্রুত শুরু না হলে অর্থনৈতিক ও কর্মসংস্থান বিপর্যয় থেকে দেশকে রক্ষা করা কঠিন। শিল্প-কারখানা ধীরে ধীরে চালু না হলে অর্থনীতি অচল হয়ে যাবে। বিশ্বব্যাংকের রিপোর্টে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের ২০ শতাংশ আয় ও ক্রয়ক্ষমতা হারালেই করোনায় ২ কোটি মানুষ নতুন করে গরিব হবে। এ অবস্থায় যেমন কলকারখানার উৎপাদন, ব্যবসা-বাণিজ্য সচল করে আমাদের অভ্যন্তরীণ কৃষি ও শিল্প উৎপাদন অব্যাহত রাখতে হবে। মানুষের চাহিদা বাড়াতে হবে। টাকার সরবরাহও বাড়াতে হবে। নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিত চক্রবর্তীও বলেছেন টাকা ছেপে বাজারে ছাড়তে হবে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ বিপর্যয়ে আমদানিনির্ভর দেশের অবস্থা বেশি খারাপ হবে। যেমন আমরা আমদানিনির্ভর দেশ। তবে আমাদের ইতিবাচক দিক হচ্ছে খাদ্য উৎপাদনের দিক থেকে আমরা স্বয়ংসম্পূর্ণ। এটা সচল রাখার সঙ্গে আমাদের স্থানীয় চাহিদা বাড়াতে হবে। অর্থাৎ মানুষকে কাজ দিতে হবে। তাহলে মোটা দাগের ক্ষতি হবে না। যেমন ২০০৯ এ সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছিল ইউরোপ। আর এবার আমেরিকার। সেবারও আমরা অর্থনীতিকে নিরাপদ রাখতে পেরেছিলাম অভ্যন্তরীণ উৎপাদন আর চাহিদা সচল রেখে। চ্যালেঞ্জর এ যুদ্ধে জয়ী হলে এবারও রাখা সম্ভব।

সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ড. হোসেন জিল্লুর রহমানের মতে, এবার আমাদের দরিদ্র মানুষের ওপর সবচেয়ে বেশি চাপ সৃষ্টি হয়েছে। নতুন করে কিছু মানুষ দরিদ্র হচ্ছে। তাদের জন্য সরকারের নেওয়া খাদ্য কর্মসূচি সফল করতে হবে। আর দেশের উৎপাদন ও অভ্যন্তরীণ চাহিদা বাড়াতে হবে। অন্যথায় আমরা ভয়াবহ সংকটের দিকেই এগিয়ে যাব।

রবিবার থেকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়সহ ১৮ মন্ত্রণালয় খুলেছে। গার্মেন্ট খুলেছে স্বল্প পরিসরে। লকডাউন শিথিলে ধীরে ধীরে শিল্প-কারখানাও খুলবে।

করোনার ভয়াবহতায় বাংলাদেশে সংক্রমণ সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীরা আক্রান্ত। দুর্নীতিগ্রস্ত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিরুদ্ধে চরম ব্যর্থতার অভিযোগ রয়েছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রীসহ কর্তারা সমালোচিত। সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল ও চিকিৎসকদের সমন্বয়ে পরিকল্পিত প্রতিরোধ গড়তে না পারা, চিকিৎসক স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষায় মানসম্পন্ন পিপিই ও এন-৯৫ মাস্ক দিতে না পারার দেউলিয়াত্ব তো ছিলই। নকল এন-৯৫ মাস্ক সরবরাহে জালিয়াতির অভিযোগ বহাল। করোনাকালেও ২২ কোটি টাকার অনিয়মের গরমিল কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। মানুষ চিকিৎসাসেবায় যেমন অবহেলার শিকার তেমনি পরিকল্পনা না থাকায় চিকিৎসক স্বাস্থ্যকর্মী কেউ মারা গেলেও, অনেকে করোনাক্রান্ত হলেও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠরা লড়ছেন। অন্য দেশের তুলনায় এখানে আক্রান্ত ও মৃতের হার এখনো কম থাকায় মন্ত্রণালয় তৃপ্তির ঢেঁকুর তুললেও অনেকে বলছেন পর্যাপ্ত পরীক্ষা না বাড়ানোর কারণে আক্রান্তের সঠিক তথ্য আসছে না। তেমনি অনেকে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ও স্বেচ্ছা কোয়ারেন্টাইনে থেকে মোকাবিলা করছেন। সামনে কী হয় এ নিয়ে ভয় সবখানে। অন্যদিকে গার্মেন্ট খুলে দেওয়া, মানুষের স্রোতের মতো ছুটিতে বাড়ি ফেরা ও হাটবাজারসহ সবখানে অসচেতনতায় আড্ডাবাজি, ধর্মান্ধতায় সামাজিক দূরত্বের নিষেধাজ্ঞা চরম লঙ্ঘন করে করোনাভাইরাস ছড়াতে জনগণের একাংশের দায়ও কম নয়। তবে এখন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে পরীক্ষা ল্যাব আইসিইউ বেড ভেন্টিলেশন বাড়িয়ে করোনা থেকে মানুষের জীবন রক্ষা করাই বড় চ্যালেঞ্জ। অবশ্য এখানে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পর সবচেয়ে বেশি ব্যর্থতার অভিযোগ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দিকে। এই মন্ত্রী বরাবর সমালোচিত। আগোগোড়া বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে ব্যর্থ। এখন করোনাকালে চরমে। মুনাফাখোরদের চরিত্রও বদলায়নি। তার মাঝে নকল মাস্কের সঙ্গে ভেজাল খাদ্যপণ্যও ধরা পড়ছে। বাজারে সরবরাহ ও মূল্য নিয়ন্ত্রণ বড় চ্যালেঞ্জ। মানুষের ক্রয়ক্ষমতা মুখ থুবড়ে পড়ছে।

এবার বাম্পার ধানের ফলনে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করবে। কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক সবখানে ছুটছেন। কর্মহীন মানুষ ত্রাণের গাড়িতে হামলে পড়লেও ধান কাটতে আগ্রহী নয়। করোনার ভয়ে। মন্ত্রী, এমপি, জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক কর্মীরা উদ্দীপনা ছড়াতে নামছেন। ধান কাটার প্রকৃত শ্রমিক বিভিন্ন এলাকা থেকে পাঠানো হচ্ছে। ৪৪ শতাংশ ধান কাটা হয়েছে। আগামী কদিনে ধান সব তুলতে না পারলে প্রাকৃতিক আঘাতে অতিবৃষ্টির বন্যায় তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ধান কাটা হলে প্রান্তিক কৃষককে ন্যায্যমূল্য দিলে দেশ খাদ্যে সুবিধাজনক অবস্থানে থাকবে। সবজি চাষিরা বাজারে সরবরাহ করতে না পারায় বাজারে যেমন দাম চড়া, তেমনি তারা ন্যায্যমূল্যের অভাবে খেতের গর্তে ফেলে দেওয়ারও খবর আসছে। এটার প্রতিকার অনিবার্য। বিশ্বজুড়ে আশঙ্কা, অনেক দেশ করোনার বিপর্যয়ের পর দুর্ভিক্ষের মুখোমুখি হবে। বাংলাদেশে দুর্ভিক্ষ রুখতে সরকারকে সর্বাত্মক প্রস্তুতির সঙ্গে মানুষকেও কৃচ্ছ্রতাসাধন ও সামর্থ্যবানদের মানুষের পাশে মানবিক কারণে সহযোগিতার হাত প্রসারিত রাখতে হবে। সরকার বলছে কেউ না খেয়ে মরবে না, বিনা চিকিৎসায়ও তার আগে মরতে দেওয়া যাবে না। করোনা নিয়ন্ত্রণ করেই অর্থনৈতিক উন্নয়নের দুয়ার খুলতে হবে, নইলে বিপর্যয়ে চেহারা ভয়াবহ রূপ নেবে। করোনার হাত ধরেই হানা দেবে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব। অতীতের অভিজ্ঞতা ব্যর্থতার। বেদনার। তার চ্যালেঞ্জ এখনই নিতে হবে। নিতে হবে আসন্ন বন্যার। আর দীর্ঘদিনের কবরে শায়িত শেয়ারবাজারকে চাঙ্গা করার চ্যালেঞ্জ তো আছেই। আর প্রধানমন্ত্রীর প্রণোদনার সঠিক স্বচ্ছ বিতরণ, সেই সঙ্গে দেশের ঘুষ, দুর্নীতি, ব্যাংক লুট, বিদেশে অর্থ পাচার কঠোর হাতে দমন করে সুশাসন নিশ্চিতের চ্যালেঞ্জে উত্তীর্ণ সময়ের দাবি।সূত্র:বাংলাদেশ প্রতিদিন।

লেখক: নির্বাহী সম্পাদক, বাংলাদেশ প্রতিদিন।

জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।
‘যে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুক্তমত/ফিচার/সাক্ষাৎকার মুখে সরকার সাত
Related Posts
জয়নুল আবদিন‎

‎শেখ মুজিব স্বাধীনতা চায় নাই, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে চেয়েছেন: জয়নুল আবদিন‎

November 15, 2025
বাবর

মৃত্যুদণ্ড থেকে ফিরে আজ মনোনয়ন পাব এটা কখনো কল্পনাও করিনি : বাবর

November 15, 2025
সিদ্ধান্ত

জুলাই জাতীয় সনদের বাইরে সিদ্ধান্ত হলে দায় সরকারের

November 12, 2025
সর্বশেষ খবর
জয়নুল আবদিন‎

‎শেখ মুজিব স্বাধীনতা চায় নাই, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে চেয়েছেন: জয়নুল আবদিন‎

বাবর

মৃত্যুদণ্ড থেকে ফিরে আজ মনোনয়ন পাব এটা কখনো কল্পনাও করিনি : বাবর

সিদ্ধান্ত

জুলাই জাতীয় সনদের বাইরে সিদ্ধান্ত হলে দায় সরকারের

নির্বাচন

ছাব্বিশে নির্বাচন দেখতে হলে আগে জুলাই বিপ্লবের স্বীকৃতি লাগবে

মামলা

‘যত মামলা আছে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে—সব মামলা তুলে নেব’

বুলু

আগামীতে রাষ্ট্র ক্ষমতায় বিএনপি না এলে দেশ ভঙ্গুর রাষ্ট্রে পরিণত হবে : বুলু

বিএনপি

‘নির্বাচন বানচাল ও পেছানোর চক্রান্ত চলছে, যা কোনোভাবেই মেনে নেবে না বিএনপি’

কর্মসংস্থান

‘দল ক্ষমতায় গেলে ১৮ মাসে এক কোটি মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে’

জামায়াত

‘জামায়াত প্রতিশ্রুতি নয়, কথা ও কাজে মিল রাখতে অঙ্গীকারবদ্ধ’

নির্বাচন

‘যতই চালাকি করে সময় নষ্ট করা হোক না কেন, আগে গণভোট তারপর জাতীয় নির্বাচন’

  • প্রচ্ছদ
  • জাতীয়
  • অর্থনীতি
  • আন্তর্জাতিক
  • রাজনীতি
  • বিনোদন
  • খেলাধুলা
  • শিক্ষা
  • আরও
    • লাইফস্টাইল
    • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
    • বিভাগীয় সংবাদ
    • স্বাস্থ্য
    • অন্যরকম খবর
    • অপরাধ-দুর্নীতি
    • পজিটিভ বাংলাদেশ
    • আইন-আদালত
    • ট্র্যাভেল
    • প্রশ্ন ও উত্তর
    • প্রবাসী খবর
    • আজকের রাশিফল
    • মুক্তমত/ফিচার/সাক্ষাৎকার
    • ইতিহাস
    • ক্যাম্পাস
    • ক্যারিয়ার ভাবনা
    • Jobs
    • লাইফ হ্যাকস
    • জমিজমা সংক্রান্ত
© 2025 ZoomBangla News - Powered by ZoomBangla

Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.