জুমবাংলা ডেস্ক : কোটার বিষয়টি আদালতে নিষ্পত্তি হওয়ার পর সরকার শিক্ষার্থীদের কল্যাণে সবকিছু করতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।
বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
শিক্ষার্থীদের দাবি অনুযায়ী কমিশন গঠন করা হবে কি না- জানতে চাইলে ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘আদালতের বিষয় আদালতে সমাধান হোক। এই সমাধানের পর যদি আরও কিছু আলোচনা করতে হয় সেটি আলোচনা করার জন্য আমরা সব সময় প্রস্তুত। শিক্ষার্থীদের কল্যাণে যা করা লাগে আমরা সবকিছু করতে প্রস্তুত আছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘কোটার বিষয়টি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নির্বাহী বিভাগের অংশ। এটি এখন আদালতে রয়েছে। বিচার বিভাগে কোনো বিষয় থাকলে সেটি বিচার বিভাগেই নিষ্পত্তি করতে হয়।’
বিষয়টি আদালতে নিষ্পত্তি করতে শিক্ষার্থীদের অনুরোধ জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘যেটি যেখানে নিষ্পত্তি করা প্রয়োজন সেটি সেখানে নিষ্পত্তি করতে হবে। মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের কথা শুনে আদালত যে রায় দিয়েছে, এখানে কিন্তু সুযোগ রয়ে গেছে, প্রধান বিচারপতি সেই আহ্বান জানিয়েছেন। আদালত হচ্ছে সেই জায়গা যেখানে আপনার কথা শুনে আসলে কী করতে হবে সে সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘কোর্টে না গিয়ে রাস্তায় আন্দোলন-সংগ্রাম করে, ব্যারিকেড দিয়ে ভোগান্তির সৃষ্টি করা, জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করা- এটি অনুচিত ও অযৌক্তিক।’
কিছু কুচক্রী, কোনো পরামর্শদাতা বা কারো ইন্ধনের কারণে পানির মতো একটি সহজ জিনিসকে জটিল করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন ফরহাদ হোসেন।
কারো দ্বারা প্ররোচিত হয়ে শিক্ষার্থীরা যেন ভিন্ন জায়গায় না যায় সে বিষয়ে সতর্ক করে মন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা কারো দ্বারা প্রভাবিত না হয়ে যথাযথ জায়গায় যাবেন। আপনাদের বক্তব্য উপস্থাপন করবেন। আমি মনে করি সুন্দরভাবে সেটি সমাধান হওয়া সম্ভব।’
একটি গোষ্ঠী দেশের উন্নয়নের সমালোচনা করে বলে মন্তব্য করেন মন্ত্রী।
কারা শিক্ষার্থীদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে- জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘যারা দেশের উন্নয়ন চায় না, যারা সেই সময়ে দেশে লুটপাট করেছে, যারা দেশে জঙ্গি কার্যক্রম চালাচ্ছে, তারা চাচ্ছে না। তারা বসে আছে যেকোনো বিষয়কে পুঁজি করে সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে।’
অপর এক প্রশ্নের জবাবে জনপ্রশাসনমন্ত্রী বলেন, ‘৪৩তম বিসিএসে মাত্র ১৭ শতাংশ নারীরা সুযোগ পেয়েছেন। ৪০তম বিসিএসে ৫৯ জেলা থেকে পুলিশে একজন নারী ও চাকরির সুযোগ পাননি। ১৭টি জেলায় নারী-পুরুষ কেউই সুযোগ পায়নি। এরকম যদি হয়, তাহলে একটা অসমতা তৈরি হয়। কোটার সংস্কার দরকার। কোটা কতটুকু থাকবে সেটা আলোচনা হতে পারে।’
উল্লেখ্য, বেতন কাঠামোর নবম থেকে ১৩তম গ্রেডে নিয়োগে কোটা বাতিল করে ২০১৮ সালে পরিপত্র জারি করে সরকার। মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের রিটের পরিপ্রেক্ষিতে সম্প্রতি হাইকোর্ট সেই পরিপত্র বাতিল করে। এতে ফের কোটা বাতিলে আন্দোলনে নামে শিক্ষার্থীরা। কোটা সংস্কারের দাবিতে তারা রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সড়ক অবরোধ করেছে। যার কারণে ভোগান্তিতে পড়ছে সাধারণ মানুষ। এরমধ্যে কোটা বাতিলের রায়ের ওপর এক মাসের স্থিতাবস্থা জারি করে আপিল বিভাগ। এরপরও আন্দোলন থেকে সরে আসেনি শিক্ষার্থীরা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।