কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করে আগামী সোমবার থেকে সারা দেশে ফের লকডাউন দিয়েছে সরকার। তবে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সরকার ৭ দিন দেরি করে ফেলেছে। এছাড়া লকডাউনের স্থায়িত্ব কমপক্ষে ১৪ দিন করার পরামর্শ দিয়েছেন তারা। পাশাপাশি তারা বলছেন, কোভিড সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ায় গ্রামেগঞ্জেও কঠোর লকডাউন কার্যকরের কোনো বিকল্প নেই।
করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে টালমাটাল গোটা দেশ। দিন দিন বেড়েই চলেছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। চোখ রাঙাচ্ছে নতুন করে মৃতের সংখ্যার রেকর্ড গড়ারও।
তৃতীয় ঢেউ শহরের পাশাপাশি গ্রামেগঞ্জেও ছড়িয়ে পড়ায় তা নিয়ন্ত্রণ করা বেশ চ্যালেঞ্জিং হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইতোমধ্যেই সংক্রমণ রোধে আগামী সোমবার থেকে ৭ দিনের জন্য সর্বোচ্চ বিধিনিষেধ আরোপ করে নতুন করে দেশব্যাপী লকডাউন দেওয়া হয়েছে। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আরো এক সপ্তাহ আগে এই লকডাউন দিলে অবস্থার এত অবনতি ঘটতো না। তাছাড়া নতুন লকডাউন কমপক্ষে ১৪দিন স্থায়ী না হলে ইতিবাচক ফল পাওয়া নিয়েও শঙ্কা তাদের।
কোরবানি বাজার ও ঈদকে কেন্দ্র করে এখনই বিশেষ পরিকল্পনা না সাজাতে পারলে ভয়াবহ মাশুল দিতে হবে পারে বলেও শঙ্কা জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের।
অধ্যাপক ডা. রিদওয়ানুর রহমান বলেন, এটা আরও এক সপ্তাহ আগে দশদিন আগে হওয়া উচিত ছিল। আমরা অনেক বিধিনিষেধ দিয়েছি। সাতদিন কোনো লকডাউন হতে পারে না। কমপক্ষে দুই সপ্তাহ দিতে হবে।
অধ্যাপক ডা বে-নজির আহমেদ বলেন, আমাদের হাজার হাজার গ্রাম আছে, সেখানে কি এটা আদৌ সম্ভব?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দীর্ঘমেয়াদী ফল পেতে টিকার কোনো বিকল্প নেই। তবে বর্তমান পরিস্থিতি থেকে রক্ষা পেতে আক্রান্তদের চিহ্নিত করে আলাদা করার পরামর্শ তাদের।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।