স্থানীয় বাজারে সরবরাহ বাড়াতে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।
মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) দুপুরে সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ সংক্রান্ত সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, চাহিদা ও যোগানের ভিত্তিতে এবার পেঁয়াজ আমদানি করা হবে। শুধু ভারত থেকে নয়, ব্যবসায়ীরা যেখান থেকে আমদানি করতে চাইবে, সেখান থেকেই অনুমতি দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, আমাদের মূল উদ্দেশ্য পেঁয়াজের দাম কমানো ও সরবরাহ বৃদ্ধি করা। এজন্য যেখান থেকে দাম কম পাওয়া যাবে, সেখান থেকেই পেঁয়াজ আমদানি করা হবে। দাম কমাতে আমাদের যতটুকু আমদানি করা দরকার, ততোটুকুই আমদানি করা হবে। এ ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কোনো দেশ নেই।
সম্প্রতি ঢাকার বাজারে পেঁয়াজের দাম হু হু করে বাড়ছে। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম ৬০ টাকা থেকে বেড়ে ৮০ থেকে ৮৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ অবস্থায় সরকার পেঁয়াজ আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে আমদানির দিনক্ষণ ও পরিমাণ এখনো জানানো হয়নি।
দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি খুব খারাপ বলার সুযোগ নেই। শুল্ক কমানোর সব প্রচেষ্টা চলমান রয়েছে। আমরা আশা করছি ইতিবাচক ফলাফল আসবে, যদিও বিষয়টি অনেকটাই নির্ভর করে যারা এটি আরোপ করেছেন তাদের ওপর। বাণিজ্য ঘাটতিও কমবে।
ভারত একের পর এক নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে—এতে কোনো প্রভাব পড়বে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ভারতের নিষেধাজ্ঞার কোনো প্রভাব পড়বে না।
যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা পেতে নতুন নিয়ম, বাধ্যতামূলক সাক্ষাৎকার!
অপর এক প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, ফ্রি ট্রেড অ্যাগ্রিমেন্ট করছে বাংলাদেশও। দক্ষিণ কোরিয়াসহ কয়েকটি দেশের সঙ্গে হয়েছে। তবে এক্ষেত্রে যাদের সঙ্গে লাভ হবে, তাদেরকে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে।