জুমবাংলা ডেস্ক : জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে তারাকান্দি সারকারখানা এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়াম লীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া গুলিবর্ষণ ও মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এতে উপজেলা ছাত্রলীগের এক নেতা গুলিবিদ্ধসহ উভয় পক্ষের অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন।
আহতদের মধ্যে গুরুতর আহত ১৩ জনকে সরিষাবাড়ি হাসপাতালে এবং ১৭ জনকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে তারাকান্দি গেইটপাড় এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। প্রায় ঘন্টাব্যাপী এ সংঘর্ষে ৩টি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করা হয়।
সরিষাবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, তারাকান্দি গেইটপাড় এলাকায় সরিষাবাড়ী উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুনের নেতৃত্বে আওয়াম লীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা মহান বিজয় দিবসে পুস্পস্তবক অর্পণের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছলেন। এসময় সাখাওয়াত হোসেন মুকুলের নেতৃত্বে ৭০ থেকে ৮০ জন নেতা-কর্মী তাদের উপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি হামলা চালান। এসময় দু’পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষ চলাকালে মুকুল ও তার লোকজন কমপক্ষে বেশ কয়েক রাউন্ড গুলিবর্ষণ করেন।
এসময় উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গুলিবিদ্ধ আল মামুন, ছাত্রলীগ কর্মী ঠান্ডু, স্বপন ও আবুলসহ উভয় পক্ষের অন্তত ৫০ জন আহত হন।
আহতদের মধ্যে সাইফুল (৩৮), আজমত আলী আনোয়ার (৫০), সাইফুল (৩৩), লাল চান (২৪), লিটন (৩৫), জাহিদুর (২১), উজ্জল (৩৩), আজমত (২২), বেলাল (৪০), মিন্টু (৩৩), মানিকসহ ২১ জনকে সরিষাবাড়ি হাসপাতালে এবং গুলিবিদ্ধ আল-মামুন, ঠান্ডু, স্বপন ও আবুলসহ ১৭ জনকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
তবে সাখাওয়াত হোসেন মুকুল দাবি করেন, তারা বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুরের প্রতিবাদে আওনা থেকে একটি মিছিল নিয়ে তারাকান্দি যমুনা সারকারখানার কলোনী গেটে আসেন। সেখানে নেতাকর্মীরা জমায়েত হয়ে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠান সফল করতে প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এসময় রফিকুল ইসলাম রফিকের লোকজন তাদের উপর অতর্কিতভাবে হামলা চালালের দ’পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
তিনি বলেন, এখানে গুলিবর্ষণের কোন ঘটনা ঘটেনি। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলিবর্ষণ করেছে।
এ বিষয়ে সরিষাবাড়ীর তারাকান্দি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর মোঃ তরিকুল ইসলাম বলেন, স্থানীয় আওয়ামলীগের দুই গ্রুপের কর্মীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া হলেও গুলিবর্ষণ ও হতাহতের কোন ঘটনা ঘটেনি। এসময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশও ফাঁকাগুলি করেনি।
আওয়াম লীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।