বাসন্তী বা কাশ্মীরি নয়, ছুটিতে বানিয়ে ফেলুন সর-মালাই পোলাও। শীতের ছুটি জমিয়ে দেবে দারুণ সুস্বাদু এই পদ। জেনে নিন রেসিপি।
সর-মালাই পোলাও—
ইয়াখনির উপকরণ: নারকেলের দুধ- আড়াই কাপ, তেজপাতা- ১টি, দারচিনি- ১টি, ছোটো এলাচ- ১টি, লবঙ্গ- ৪টি, পেঁয়াজ- ২টি, কেশর- ১ চিমটি
চাল ভাজার জন্য লাগবে: পোলায়ের চাল অথবা গোবিন্দভোগ চাল- আধ কিলোগ্রাম, ঘি- ৩ টেবিল চামচ, তেজপাতা- ২টি, কাজু কুচি- ২-৩ মুঠো, ছোটো এলাচ- ২টি, দারচিনি- ২টি, লবঙ্গ- ৫-৬টি, শাহী জিরে- আধ চা চামচ, চাল- ১ কাপ, লবণ স্বাদমতো, নারকেলের দুধ- আধ কাপ
এ ছাড়াও লাগবে: পেঁয়াজ কুচি- দেড় কাপ, ছানা- দেড় কাপ, ময়দা- ১ চামচ, ফ্রেশ ক্রিম- দেড় কাপ, নারকেল কুচি- ১ চামচ, কিশমিশ- ১ মুঠো, ঘি- দেড় থেকে দুই কাপ, কাগজি লেবু- ১টি, আমন্ড কুচি- ১ মুঠো, পেস্তা কুচি- ১ মুঠো
প্রণালি-
প্রথমে ইয়াখনি বানিয়ে নিন। একটি পাত্রে নারকেলের দুধ, তেজপাতা, গোটা গরম মশলা, ডুমো করে কাটা পেঁয়াজ এবং এক চিমটি কেশর দিয়ে ফুটিয়ে নিলেই ইয়াখনি তৈরি।
ময়দা এবং ছানা একসঙ্গে ভালো করে মেখে নিকুতির আকারে গড়ে নিন। পাত্রে ঘি গরম করে প্রথমে পেঁয়াজ কুচি ভেজে বেরেস্তা করে তুলে নিন।
তারপর একে একে ছানার গোল্লা, নারকেল কুচি, কিশমিশ এবং বাদাম কুচি ঘিয়ে ভেজে নিন। ছানার গোল্লাগুলো বাদামি করে ভাজতে হবে।
এবার হাঁড়িতে পরিমাণমতো ঘি গরম করে তাতে তেজপাতা, শাহী জিরে এবং গোটা গরম মশলা ফোঁড়ন দিন। এর মধ্যেই বাদাম কুচি দিয়ে দেবেন।
মশলার সুগন্ধ উঠলে তাতে ভালো করে ধুয়ে পানি ঝরানো পোলাওয়ের চাল অথবা গোবিন্দভোগ চাল এবং স্বাদমতো লবণ দিয়ে মিশিয়ে নিন।
চাল নাড়তে নাড়তে তাতে একটু একটু করে নারকেলের দুধ দিতে থাকুন এবং মেশাতে থাকুন।
ভালো করে মশলা মিশলে তাতে নারকেলের দুধের ইয়াখনিটা দিয়ে দিতে হবে। তবে ইয়াখনি দেওয়ার আগে তা থেকে পেঁয়াজগুলো তুলে ফেলবেন।
কাগজি লেবুর রস দিয়ে ভাত ভালো করে মিশিয়ে ঢাকনা দিয়ে সিদ্ধ করে নিন।
মনে রাখবেন পোলাও রান্নার জল্য যতটা চাল নেবেন তার দ্বিগুণ পরিমাণ নিতে হবে। ইয়াখনি, নারকেলের দুধ মিলিয়ে যেন চালের দ্বিগুণ হয়। প্রয়োজনে একটু পানি দিয়ে দিন। ভাত সিদ্ধ হয়ে গেলে হাঁড়ি নামিয়ে নিন।
এবার একটি বড় কড়াই বা হাঁড়িতে বিরিয়ানির মতো একস্তর ভাত ছড়িয়ে দিন। তার ওপরে ছড়িয়ে দিন পেঁয়াজের বেরেস্তা, ভাজা কিশমিশ, ছানার গোল্লা ভাজা, নারকেল কুচি এবং ফ্রেশক্রিম।
তৃতীয় স্তরে ফের ওপরে ভাত ছড়িয়ে দিন। তার ওপর পেঁয়াজ ভাজা ইত্যাদির চতুর্থ স্তর তৈরি করুন।
লজ্জার সমস্ত সীমা অতিক্রম করলেন নেহাল, ভুলেও কারও সামনে দেখবেন না
এর ওপর অবশিষ্ট ভাত এবং আমন্ড, পেস্তা কুচি ভাজা এবং অবশিষ্ট বেরেস্তা ছড়িয়ে দিন। পাত্রটি কিছুক্ষণ ঢাকনা দিয়ে রাখুন। তৈরি স্পেশাল সর-মালাই পোলাও।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।