স্পোর্টস ডেস্ক: করোনাভাইরাসে কারণে থমকে আছে বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গন। কোর্ট, মাঠ বা কোর্সে কোথাও কোনও খেলাধুলা নেই। যার ফলে গৃহবন্দি হয়ে আছেন ক্রীড়াবিদরা।
এদিকে আগামী ৭ জুন পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে পেশাদার টেনিস মৌসুম। যে কারণে আর্থিক সমস্যায় ভুগছেন টেনিস র্যাঙ্কিংয়ের নিচের দিকের খেলোয়াড়রা। খেলা না থাকায় বন্ধ হয়ে আছে তাদের আয়।
করোনার মহামারীতে টেনিসের সেই সব সহকর্মীদের সহযোগিতায় এগিয়ে এসেছেন টেনিসের ‘বিগ থ্রি’ খ্যাত রজার ফেদেরার, রাফায়েল নাদাল ও নোভাক জকোভিচ।
সহকর্মীদের সহায়তা করতে টেনিসের এই ত্রয়ী সুপারস্টার মিলে গড়ছেন তহবিল। তিনবারের মতো গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ী স্তানিসলাস ওয়ারিঙ্কাকে ইনস্টাগ্রাম লাইভ সেশনে তেমনটাই জানিয়েছেন সার্বিয়ান নাম্বার ওয়ান টেনিস তারকা নোভাক জোকোভিচ।
এটিপি ট্যুর ও ডব্লিউটিএ ট্যুরের সঙ্গে বন্ধ রয়েছে এটিপি চ্যালেঞ্জার্স ট্যুর ও আইটিএফ ওয়ার্ল্ড টেনিস ট্যুর। এ কারণেই র্যাঙ্কিংয়ের নিচের সারির টেনিস খেলোয়াড়দের জীবিকা নির্বাহ এখন করাটাই কষ্ট সাধ্য হয়ে পড়েছে।
করোনার থাবায় বাতিল হয়ে গেছে চলতি বছরের উইম্বলডন চ্যাম্পিয়নশিপ। আর চার মাস পিছিয়ে সেপ্টেম্বরে চলে গেছে ফ্রেঞ্চ ওপেন। ইউএস ওপেন আগস্টে কোর্টে গড়াবে কিনা তার সিদ্ধান্ত আসবে জুনে। টোকিও অলিম্পিক ও লেভার কাপ দুটোই পিছিয়ে গেছে ২০২১ সালে।
আর্থিক কষ্টে ভোগা খেলোয়াড়দের সহায়তার লক্ষ্যে ৩-৪.৫ মিলিয়ন ডলারের তহবিল গড়ার লক্ষ্য নিয়ে ছেলেদের রেকর্ড ২০ গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ী ফেদেরার ও ১৯ গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ী নাদালের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন ১৭ গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ী জোকোভিচ। এই অর্থ পাবে ২০০-৭০০ র্যাঙ্কিংধারী খেলোয়াড়রা।
প্রসঙ্গত, ক্যারিয়ারে জোকোভিচ কোর্ট থেকে আয় করেছেন প্রায় ১৪৪ মিলিয়ন ডলার। ফেদেরার ১৩০ মিলিয়ন ডলার আর নাদাল ১২১ মিলিয়ন ডলার। এই হিসাব স্পন্সরশিপ চুক্তি ছাড়াই।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।