আন্তর্জাতিক ডেস্ক : নিউ সাউথ ওয়েলসে সমুদ্রে সাঁতার কাটছিলেন এক সার্ফার। সে সময় হাঙরের কবল থেকে তাঁকে প্রাণে রক্ষা করেছে একটি ড্রোন। সমুদ্রের ধারে ড্রোন উড়াচ্ছিলেন ক্রিস্টোফার জয়েস নামের এক ব্যক্তি। হাঙ্গরের কিছু ছবি এবং ভিডিও তোলার চেষ্টা করছিলেন তিনি।
সে সময় তাঁর ড্রোনের ক্যামেরায় ধরা পড়ে যায় একটি হাঙ্গর। তিনি লক্ষ্য করেন, হাঙ্গরটি কোনো একটি লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। আর সেই ‘লক্ষ্য বস্তু’ হলো এক সাঁতারু। তিনি তখন তাঁর সার্ফ বোর্ড নিয়ে পানিতে ভাসছিলেন। সে সময় হাঙ্গরটি এগিয়ে যাচ্ছিল তাঁরই দিকে।
সৈকত থেকে ড্রোনে গোটা বিষয়টি দেখতে পান ক্রিস্টোফার। বুদ্ধি করে তিনি ড্রোনে লাগানো লাউড স্পিকারে ‘হাঙর-হাঙর, দ্রুত পানি থেকে বেরিয়ে আসুন’ বলে চিত্কার করতে থাকেন।
নি:শব্দে তাঁর দিকে এগিয়ে আসতে থাকা হাঙরটিকে প্রথমে দেখতে পাননি সাঁতারু। সেই সতর্কবার্তা তাঁর কানে যেতেই বুঝতে পারেন, বিপদ এগিয়ে আসছে।
বিপদ বুঝেই তিনি সাঁতরে পাড়ের দিকে যেতে শুরু করেন। একে লাউড স্পিকারের আওয়াজ, তার ওপর হঠাত্ সাঁতারুর দিক বদল করে দ্রুত সাঁতার কাটতে শুরু করা, দু’য়ে মিলে হাঙরটি আর তার দিকে এগোতে সাহস করেনি। হাঙরটি দিক বদল করে সমুদ্রের গভীরে পালিয়ে যায়। সাঁতারুও দ্রুত পাড়ে উঠে আসেন। প্রাণে বেঁচে যান তিনি।
ক্রিস্টোফার জানান, হাঙরটি সাড়ে ৯ থেকে ১৩ ফুটের মতো লম্বা। তাঁর ড্রোনে আগেও হাঙরের ছবি ধরা পড়েছে। কিন্তু ড্রোনের স্পিকার সিস্টেম ব্যবহার করে কাউকে এই প্রথম হাঙরের মুখ থেকে বাঁচালেন তিনি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।