জুমবাংলা ডেস্ক : সাঁতার কেটে ৪০০ কিলোমিটার অতিক্রম: বঙ্গোপসাগরের পথে সাহসী সাঁতারু রফিকুল ইসলাম
সাহসী সাঁতারু রফিকুল ইসলাম দীর্ঘ ৪০০ কিলোমিটার নৌপথ সাঁতরিয়ে চাঁদপুরে পৌঁছেছেন। তার লক্ষ্য বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত যাওয়া। কুড়িগ্রামের সীমান্তবর্তী এলাকা ঝুনকারচর থেকে তিনি যাত্রা শুরু করেন এবং চাঁদপুরে পৌঁছাতে সময় নেন ১৯ দিন।
যাত্রার সূচনা
সিরাজগঞ্জের বেলকুচির বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম একজন উদ্যমী সাঁতারু। তার বিশেষ পরিচয় হলো তিনি বাংলাদেশের প্রথম নারী এভারেস্ট বিজয়ী নিশাত মজুমদারের স্বামী। ২১ ফেব্রুয়ারি তিনি ‘শোক থেকে শক্তি’ অভিযানের অংশ হিসেবে ৫৫০ কিলোমিটার নৌপথ সাঁতরে অতিক্রম করার লক্ষ্যে যাত্রা শুরু করেন।
চাঁদপুরে পৌঁছানোর মুহূর্ত
চাঁদপুর শহরের বড় স্টেশন মোলহেডে শনিবার (২২ মার্চ) বিকালে সাঁতার কেটে মেঘনা পাড়ে পৌঁছালে তাকে স্বাগত জানান চাঁদপুরের চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুনতাসির আহমেদ, বিশ্ব ভ্রমণকারী তানভীর অপুসহ চাঁদপুরবাসী।
৪০০ কিলোমিটার সাঁতারের অভিজ্ঞতা
রফিকুল ইসলাম জানান, তার অভিযাত্রী সংগঠন অ্যাডভেঞ্চার ও রোমাঞ্চকর বিষয়ে কাজ করে। তিনি শরীয়তপুরের সুরেশ্বর চরআত্রা এলাকা থেকে সকাল ৭টায় রওনা দিয়ে বিকাল সাড়ে ৪টায় চাঁদপুর মোলহেডে পৌঁছান। এ সময় তিনি ২২ কিলোমিটার নদী পথ সাঁতরে আসেন।
২১ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া যাত্রায় তিনি কুড়িগ্রামের চিলমারী, যমুনা সেতু, পদ্মা-মেঘনাসহ অনেক নদী পথ পাড়ি দিয়েছেন।
বঙ্গোপসাগরের পথে পরবর্তী পরিকল্পনা
রবিবার ভোরে তিনি চাঁদপুর থেকে রওনা হবেন ১৫০ কিলোমিটার নৌ পথ পাড়ি দিয়ে বঙ্গোপসাগরের উদ্দেশে। তার সঙ্গে রয়েছেন সার্বক্ষণিক অনুপ্রেরণাদানকারী এভারেষ্ট বিজয়ী সহধর্মীনি নিশাত মজুমদার, সহযাত্রী ফারুকসহ গ্রেট ডেলটা (কুড়িগ্রাম থেকে শুরু হয়ে ব্রহ্মপুত্র নদ পাড়ি দিয়ে বঙ্গোপসাগর) অভিযাত্রী সংগঠনের অন্যান্য সদস্যরা।
চড়া সুদের ফাঁদ: ঋণ শোধে বাধ্য হয়ে কিডনি বিক্রি, গ্রেপ্তার ২
নদীর প্রতি ভালোবাসা
রফিকুল ইসলাম বলেন, নদীমাতৃক আমাদের এই দেশ। এখানে অসংখ্য ছোট-বড় নদী রয়েছে। সাঁতার কাটতে কাটতে নদীর পারের সহজ-সরল মানুষদের চেনা যায়। তিনি সকলের দোয়া চেয়েছেন তার লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।