নিজস্ব প্রতিবেদক : ব্যাংক থেকে জালিয়াতির মাধ্যমে অর্থ লুটের সংবাদ প্রকাশের জেরে বাংলাদেশ ব্যাংকের অভ্যন্তরে অস্ত্র ও ১৫-২০ জন লোক নিয়ে প্রবেশ করে জুমবাংলার সাংবাদিককে হুমকি দিয়েছেন বিতর্কীত ব্যবসায়ী কামরুজ্জামান সাঈদী সোহাগ।
বৃহস্পতিবার বিকালে মতিঝিলে অবস্থিত বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের অভ্যন্তরে ঢুকে এই ঘটনা ঘটালে নিরাপত্তায় নিয়োজিত সেনাবাহিনীর সদস্যগণ তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের অভ্যন্তরে কোন বৈধ অস্ত্র নিয়ে প্রবেশ করার সুযোগ না থাকায় ওই ব্যবসায়ীর আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংকের সিকিউরিটি ম্যানেজমেন্ট ডিপার্টমেন্ট। বর্তমানে থানার কার্যক্রম চালমান না থাকায় অস্ত্র জব্দ করে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সোহাগকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
কামরুজ্জামান সাঈদী সোহাগের অস্ত্র জব্দের বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সিকিউরিটি ম্যানেজমেন্ট ডিপার্টমেন্টের ডাইরেক্টর লে. কর্নেল (অব.) মো. শামিমুর রহমান বলেন, “কামরুজ্জামান সাঈদী সোহাগ অবৈধভাবে বাংলাদেশ ব্যাংকে ঢুকতে চেয়েছে। এটা কেপিআই ভুক্ত প্রতিষ্ঠান। এখানে আমাদের ভল্ট আছে। অস্ত্রের মুখে সে আমাদের ভল্ট খুলতে বাধ্য করতে পারে, এমন ঝুঁকি থাকে। তাই বৈধ অস্ত্র নিয়েও বাংলাদেশ ব্যাংকের অভ্যন্তরে কারো প্রবেশ করার কোন সুযোগ নেই। এখন থানা পুলিশ থাকলে তাকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করতাম। যেহেতু থানা সচল নেই, তাই তার অস্ত্র জব্দ করে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। সে কিভাবে আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স পেল তা আমরা যাচাই করে দেখবো।”
এই বিতর্কিত ব্যবসায়ী কার কাছ থেকে পাশ নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রবেশ করেছিল- জানতে চাইলে সিকিউরিটি ডাইরেক্টর বলেন, সে বিএফআইইউ চিফ মাসুদ বিশ্বাসের নামে পাশ ইস্যু করে প্রবেশ করেছে। এখানেও আইনের ব্যাত্যয় হয়েছে। এই সময় মাসুদ বিশ্বাস অফিসে ছিলেন না। মূলত মাসুদ বিশ্বাসের পিএ তাকে পাশ দিয়েছে। আবার মাসুদ বিশ্বাসের নামে পাশ নিয়ে প্রবেশ করলেও তিনি আরেকজন কর্মকর্তার সাথে সাক্ষাৎ করেছেন বলে জেনেছি। আমরা জানতে পেরেছি, সোহাগ প্রায়ই মাসুদ বিশ্বাসের কাছে আসেন এবং তাঁর কক্ষে দীর্ঘ সময় অতিবাহিত করেন।
ভুয়া জাতীয় পরিচয়পত্র ও টিন নাম্বার ব্যবহার, খেলাপি ঋণের তথ্য গোপন এবং একই সম্পত্তি দুই ব্যাংকের কাছে বন্ধক রেখে একটি ব্যাংক থেকেই ৪১ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছেন কামরুজ্জামান সাঈদী সোহাগ। পাশাপাশি জামানতের ক্ষেত্রে সম্পত্তির কয়েকগুণ অতিমূল্যায়ন করেছেন তিনি। এভাবে জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যাংক থেকে প্রায় ৭৮ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছেন সোহাগ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।