ভূমধ্যসাগরের যত দ্বীপ আছে তার মধ্যে আকারের দিক থেকে সাইপ্রাস ৩য় স্থানে অবস্থিত। এর আগে বহু শক্তি সাইপ্রাস আক্রমণ করেছে। বর্তমানে আন্তর্জাতিক সমর্থিত সরকার ও তুরস্ক সমর্থিত সরকার দ্বারা এ ভূগন্ড ২ ভাগে বিভক্ত হয়ে গেছে।
অটোমানদের সময়ে এ ভূগন্ড উসমানি সুলতানরা শাসন করতো। অটোমান সুলতান ২য় আবদুল হামিদ ব্রিটিশদের সাইপ্রাসে সামরিক ঘাটি গড়ার সুযোগ দেন। উদ্দেশ্য ছিলো রুশ আক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়া।
প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর সাইপ্রাসকে পুরোপুরি শাসন ও শোষণ করার সুযোগ পায় ব্রিটেন। ২য় বিশ্বযুদ্ধের পর ব্রিটিশ উপনিবেশিক শাসন বিশ্বজুড়ে শেষ হতে থাকে৷ কৌশলগত অবস্থানের কারণে ব্রিটিশরা সাইপ্রাসকে স্বায়ত্তশাসন দেয়।
পরবর্তী সময়ে সাইপ্রাসে গ্রিকদের হাতে তুর্কিরা নির্যাতনের শিকার হয়। এজন্য ১৯৫৮ সালে তুর্কিদের প্রতিরক্ষা দল গঠিত হয়। ১৯৬০ সালে সাইপ্রাস পুরোপুরি স্বাধীন হয়ে যায়। ১৯৬৩ সালের এক দাঙ্গায় তুর্কি ও গ্রিকদের অনেকেই মারা যায়।
গ্রিস সাইপ্রাসকে নিজেদের অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা করলে তা প্রতিরোধ করার জন্য দেশটির উত্তর-পূর্বে অভিযান চালায় তুরস্ক। এর একটি উদ্দেশ্য ছিলো ক্ষমতার প্রদর্শন ও আলোচনার টেবিলে সুবিধা দেওয়া।
ঐ অভিযানে সাইপ্রাসের ৭ শতাংশ নিজেদের দখলে নেয় তুর্কিরা। তুর্কিরা ফেডারেল সরকার প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব দেয়। পরবর্তী সময়ে তুর্কিরা আবার সাইপ্রাসে অভিযান চালায়। এবার সাইপ্রাসের ৩৭ শতাংশ দখলে নেয় তুর্কিরা।
১৯৭৪ সালের ঐ অভিযানে হতাহতের সংখ্যা ছিলো অনেক কম। এভাবে দ্বীপটি জাতিগতভাবে ২ ভাগে বিভক্ত হয়ে যায় যেখানে গ্রিকরা দক্ষিণে ও তুর্কিরা উত্তরে বাস করতে থাকে। তুর্কিদের নিয়ন্ত্রিত অংশ এখন ‘Turkish Republic of Northern Cyprus’ নামে পরিচিত।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।