স্পোর্টস ডেস্ক : জাতীয় লিগের দ্বিতীয় রাউন্ডের প্রথম দিন সেঞ্চুরি পেয়েছেন ঢাকা বিভাগের সাইফ হাসান। এ ছাড়া খুলনার মেহেদী হাসান মিরাজ ও সিলেটের রেজাউর রহমান ৪ উইকেট করে নিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার দলগতভাবে সবচেয়ে ভালো দিন কেটেছে ঢাকা বিভাগের। সাইফের সেঞ্চুরিতে রংপুরের বিপক্ষে পুরো ৯০ ওভারে ৪ উইকেটে ৩১৪ রান তুলেছে তারা। বিপরীত চিত্র ঢাকা মেট্রোর। সিলেটের বিপক্ষে নিজেদের প্রথম ইনিংসে মাত্র ২৪৬ রানে গুটিয়ে গেছে তারা।
খুলনার বিপক্ষে রাজশাহী ২৬১ রানে অলআউট হয়ে দিন শেষ করেছে। অন্যদিকে চট্টগ্রাম বিভাগ বরিশালের বিপক্ষে ৪ উইকেটে ২৬১ রান তুলেছে।
টুর্নামেন্টে প্রথম রাউন্ডে জয়-পরাজয় হয়েছিল কেবল একটি ম্যাচে। টায়ার টুতে সিলেট বিভাগকে ইনিংসে হারিয়ে দেয় বরিশাল। এতে আট দলের মধ্যে সর্বোচ্চ ৯.৫ পয়েন্ট পেয়ে যায় দলটি।
টস জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বরিশাল অধিনায়ক ফজলে মাহমুদ রাব্বি। কিন্তু এরপর প্রথম দিন খুব একটা ভালো কাটেনি তাদের। চট্টগ্রামের টপঅর্ডারকে কিছুটা বিপদে ফেললেও ইয়াসির আলি ও মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনের জুটি দলটিকে ম্যাচে এগিয়ে রাখে। পঞ্চম উইকেট জুটিতে ১১৭ রানে অবিচ্ছিন্ন থেকে দিন শেষ করেন তারা। ইয়াসির ১৫২ বলে ৬৮ ও মাহিদুল ১১৩ বলে ৬৯ করে অপরাজিত। এর আগে তামিম ইকবালের জায়গায় সুযোগ পাওয়া ইরফান শুক্কুর ১১৯ বলে ৫৭ রানের ইনিংস খেলেন।
বগুড়ায় প্রথম রাউন্ডে ব্যাটিং ব্যর্থতায় থাকা ঢাকা মেট্রোর কোনো পরিবর্তন হয়নি। মাহমুদউল্লাহ ও শহিদুল ইসলামের হাফসেঞ্চুরি দুটি না থাকলে দলটির প্রথম ইনিংস দুইশো পার হতো কিনা সন্দেহ।
মাহমুদউল্লাহ ৬৩ ও শহিদুল ৫৪ করেন। এছাড়া ২০ ও ২৫ রানের গুরুত্বপূর্ণ দুটি ইনিংস খেলেন আল-আমিন ও আবু হায়দার রনি। সিলেটের মিডিয়াম পেসার রেজাউর ৭৫ রানে ৪ উইকেট নেন। ঢাকা মেট্রোকে অলআউট করে ব্যাটিংয়ে নামে সিলেট। গত রাউন্ডে বাজেভাবে হেরে যাওয়া দলটির এই ম্যাচেও ব্যাটিংয়ের শুরুটা হলো বাজে। মাত্র ৪ ওভারে ৫ রান করতেই ওপেনার ইমতিয়াজ হোসেন ফিরেছেন। সঙ্গে আরেক ওপেনার তৌফিক খান রিটায়ার্ড হার্ট।
ঢাকা বিভাগ রংপুরের বিপক্ষে চট্টগ্রামে প্রথম দিন শেষে শক্ত অবস্থানে আছে। সাইফ হাসান ১২০, রনি তালুকদার ৬৫ ও রকিবুল হাসান ৫৭ করে দলকে বড় সংগ্রহের দিকে রেখেছেন। রিটায়ার্ড হার্ট হওয়া সাইফ হাসান শ্রীলঙ্কাতে এ দলের হয়েও ভালো খেলেছেন। ১২০ রানের ইনিংসকে আরো বাড়ানোর সুযোগ আছে তার। রংপুর ৮ বোলার ব্যবহার করেও তেমন সুবিধা করতে পারেনি।
অন্যদিকে তারকায় ঠাসা খুলনার বিপক্ষে তাদের মাঠে ব্যাকফুটে রাজশাহী। ২৬১ রানে প্রথম ইনিংস শেষ হয়েছে তাদের। এই রাউন্ডে খেলেছেন মোস্তাফিজুর রহমান। ১৫ ওভারে ৬৪ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন। এ ছাড়া রুবেল হোসেন ২টি ও মিরাজ ৪ উইকেট নেন। গত রাউন্ডে রাজশাহীর হয়ে বড় ইনিংস খেলা মুশফিকুর রহিম এবার প্রথম ইনিংসে ব্যর্থ। মাত্র ২৪ করেছেন। এ ছাড়া জুনায়েদ সিদ্দিকির ৫১ ও ফরহাদ হোসেন ৪৫ এবং ফরহাদ রেজা ৪১ রান করেন। নাজমুল হাসান শান্ত (২৩), সানজামুল ইসলাম (২৪) ও তাইজুল ইসলামের (২৯) ছোট ইনিংসগুলো রাজশাহীকে আড়াইশো পার করতে সাহায্য করে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
রাজশাহী-খুলনা
রাজশাহী ১ম ইনিংস: ২৬১ (জুনায়েদ ৫১, ফরহাদ হোসেন ৪৫, ফরহাদ রেজা ৪১, মুশফিকুর রহিম ২৪; মিরাজ ৪/৩৮, মোস্তাফিজ ২/৬৪, রুবেল ২/৫১)
ঢাকা-রংপুর
ঢাকা ১ম ইনিংস : ৩১৪/৪ (সাইফ ১২০- আহত-অবসর, রনি ৬৫, রকিবুল ৫৭; শুভ ২/৮০)
চট্টগ্রাম–বরিশাল
চট্টগ্রাম ১ম ইনিংস : ২৬১/৪ (ইয়াসির ৮৮*, মাহিদুল ৬৯*, ইরফান ৫৭; মনির ২/৭০)
ঢাকা মেট্রো-সিলেট
ঢাকা ১ম ইনিংস: ২৪৬ (মাহমুদউল্লাহ ৬৩, শহিদুল ৫৪; রেজাউর ৪/৭৫, এনামুল জুনি. ২/৫২), সিলেট ১ম ইনিংস : ৫/১ (রনি ১/৪)
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।