ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল-আইসিসির দেয়া নিষেধাজ্ঞায় এক বছর ক্রিকেটের বাইরে ছিলেন সাকিব আল হাসান। এ সময় বাংলাদেশ খেলেছে ১৭টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ। ফিট থাকলে হয়তো তার সবগুলোতেই খেলা হতো বিশ্বসেরা ওয়ানডে অলরাউন্ডারের।
নিষেধাজ্ঞা শেষে ফিরে ইনজুরি আর ব্যক্তিগত কারণেও সাকিব খেলতে পারেননি বেশ কয়েকটি সিরিজ। তবে সব বিতর্ক আর আলোচনা শেষে আবারো সাকিব ফিরেছেন বাঘের জার্সিতে।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে ব্যাট-বলে সাকিবের ইমপ্যাক্ট খুব একটা ছিল না। ব্যাটিংয়ে নেমে করেন ১৫ রান। আর ১০ ওভারের কোটায় ৪৪ রান দিয়ে নেন ১ উইকেট। তবে সেই এক উইকেট নিয়েই স্পর্শ করেছেন ক্যারিয়ারের মাইলফলক। আব্দুর রাজ্জাকের পর দ্বিতীয় বাংলাদেশি বোলার হিসেবে স্বীকৃত ক্রিকেটে নিয়েছেন ১০০০ উইকেট।
প্রথম ম্যাচেই আরো কিছু রেকর্ড স্পর্শ করতে পারতেন বাংলার নবাব। কিন্তু মিরাজ-মোস্তাফিজের দুর্দান্ত বোলিং অপেক্ষা বাড়িয়েছে তার।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতেই সাকিব ছুঁতে পারবেন অন্তত দুইটি রেকর্ড এমন আশা এখন তার ভক্তদের। যার জন্য প্রয়োজন তিন উইকেট। তাহলেই তিনি ছাড়িয়ে যাবেন কিংবদন্তী ওয়াসিম আকরাম আর মাশরাফীকে।
বাংলাদেশের হয়ে ওয়ানডেতে সবচেয়ে সফল বোলার মাশরাফি। গত বছর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে শেষ ওয়ানডে খেলা নড়াইল এক্সপ্রেসের ২১৮ ম্যাচে শিকার ২৬৯ উইকেট। তারপরেই আছেন সাকিব আল হাসান। ২১০ ম্যাচে তার শিকার ২৬৭ উইকেট। মিরপুরে আর দুই উইকেট পেলে তিনি স্পর্শ করবেন ম্যাশকে আর ৩ উইকেট পেলেই ছাড়িয়ে যাবেন সাবেক অধিনায়ককে।
টেস্ট, টি টোয়েন্টির পর ওয়ানডেতেও এককভাবে সর্বোচ্চ উইকেটের মালিক হয়ে যাবেন দেশের ক্রিকেটের পোস্টার বয়।
তিন উইকেট পেলে এক ঢিলে দুই পাখি মারবেন সাকিব। পাকিস্তানের বিশ্বকাপজয়ী কিংবদন্তী ওয়াসিম আকরাম শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ৭৭ ম্যাচে নিয়েছেন ১২২ উইকেট। মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে ৮৩ ম্যাচে ১২০ উইকেট নিয়ে সাকিব আছেন তারপরের স্থানে। তিন উইকেট নিলে ওয়ানডেতে নির্দিষ্ট এক ভেন্যুতেও সবচেয়ে বেশী উইকেট নেয়ার মাইলস্টোন হয়ে যাবে তার নামে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।