জুমবাংলা ডেস্ক : বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার, দেশের গর্ব সাকিব আল হাসান। তার মিষ্টি কন্যা আলায়নার একটি ছবি পোস্ট করেছিলেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। দেখেছেন হয়তো নেগেটিভ কমেন্টগুলো। তো এক কমেন্টে দৃষ্টি যায়- কমেন্টকারী আমার পরিচিত, বন্ধু। দেখে বেশ অবাক হলাম।
অকারণেই নক দিলাম কাল রাতে। প্রায় আড়াই বছর পর কথা। খোঁজখবর নিলাম। আছে সে বেশ। একটি স্কুলে শিক্ষকতার পাশাপাশি ব্যবসা করেছে। তাকে প্রশ্ন করি- ‘বন্ধু দেখছিস সাকিবের মেয়ে পাট ক্ষেতে ছবি দিছে?’ তার উত্তর, ‘হ দোস্ত দেখলাম।’ (এরপরের রিপ্লেটা লিখতে পারছি না) এবার সে রীতিমতো আলাইনার জন্ম নিয়ে প্রশ্ন তোলে।
সে রাগের কারণও ব্যাখ্যা করলো। তার মতে, সাকিব কন্যা যা খাচ্ছে সব হারাম। দেশের এতো মানুষ বেকার, না খেয়ে থাকে আর সাকিবকে কেন লাখ লাখ টাকা বেতন দিতে হবে?
এক প্রশ্নের জবাবে বলে, দেশের বাইরে খেলে যে টাকা কামাই করে তার সবতো দেশকে দেয়া উচিত। দেশের হাওয়া বাতাস, করের টাকায়তো সাকিব হইছে। দেশের কথা ভাববে না সাকিব? দেশের জন্য কিছু না করে নিজের পকেটে রেখেছে জন্য হারাম হয়ে গেলো? অবশ্যই।
সাকিব দেশের জন্য কী করেছেন সেটা নিয়ে কথা না বলি।
এবার কমেন্টকারী বন্ধুর সম্বন্ধে বলি, ‘কলেজে পড়া অবস্থায় সে একবার অন্যের ব্যাগ থেকে টাকা চুরি করে ধরা খেয়েছিলো। অভিভাবকের মুচলেকায় কলেজে থাকার সুযোগ পায়। একবার মোবাইল ‘সিস্টেম’ করে প্যাদানিও খায়। আর ইভ টিজিংয়ের দায়ে বড় ভাইয়েরা তাকে কানে ধরে উঠবস করিয়েছিলো কলেজের গেইটে, সবার সামনে।’
যাক কলেজ লাইফে মানুষ অনেক দুষ্টামি করে। তবে তারটা ছিলো বাড়াবাড়ি। এখন সে শিক্ষক। ভয় হয়, শিক্ষক হয়ে এরকম হীন মনমানসিকতা নিয়ে চলছে সে।
(লেখকের ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।