স্পোর্টস ডেস্ক : প্রশ্নটি শুনে তাসকিন আহমেদ একটু হাসলেন। নিশ্চিতভাবেই এই প্রশ্নের জন্য তিনি প্রস্তুত ছিলেন না। কথা হচ্ছিল বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ব্যর্থতা নিয়ে, পেসারদের পারফরম্যান্স নিয়ে। এর মধ্যেই হুট করে উঠে এলো সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবালের সম্পর্কের টানাপোড়েনের প্রসঙ্গ। মাঠের বাইরের বিতর্কের রেশ মাঠের বাংলাদেশকে কতটা প্রভাবিত করেছে। তাসকিন খুব গভীরে গেলেন না অনুমিতভাবেই। তবে তার কথায় ইঙ্গিত ঠিকই থাকল কিছুটা।
বাংলাদেশের বিশ্বকাপ অভিযান শেষে এখন ময়নাতদন্তের পালা। সেখানে শুরুতেই উঠে আসছে বিশ্বকাপ শুরুর আগে মাঠের বাইরের বিতর্ক। বিশ্বকাপ দলে তামিম ইকবালের না থাকা, এরপর তার ভিডিও বার্তা এবং বিশ্বকাপ দলের যাত্রা শুরুর ঠিক আগে সাকিব আল হাসানের বিস্ফোরক এক সাক্ষাৎকার- সব মিলিয়ে তখন দেশের ক্রিকেট ছিল উত্তাল।
বিশ্বকাপের আগে মাঠের বিতর্কে টালমাটাল অবস্থায় ক্রিকেটই যেন হারিয়ে গিয়েছিল। সামাজিক মাধ্যমের তখন এসব আলোচনাই ছিল তুঙ্গে। দলের অন্য ক্রিকেটারদের, বিশেষ করে তরুণদের মনোযোগ এতে নড়ে যাওয়াটা অস্বাভাবিক নয়।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ শেষ হওয়ার পর তাসকিনের কাছেই জানতে চাওয়া হলো যে বিশ্বকাপে দলের পারফরম্যান্সে কতটা প্রভাব পড়েছে ওই বিতর্কের। তরুণ কোনো ক্রিকেটারের জন্য এই প্রসঙ্গে মুখ খোলা কঠিন। বিষয়টি এতটা স্পর্শকাতর যে তাসকিনের মতো অভিজ্ঞ ক্রিকেটারের জন্যও মন্তব্য করা বিব্রতকর। তার পরও কিছুটা আভাস মিলল তার কথা থেকে।
“ক্রিকেটার হিসেবে এই জিনিসটায় তো আমাদের হাতে তেমন কিছু ছিল না। অবশ্যই কোনো ঝামেলাই কখনও ভালো নয়। তবে আমাদের নিয়ন্ত্রণেই ছিল না। আমাদের কাজ হলো খেলা। কিন্ত আসলে এরকম ঝামেলা যদি হয়ে থাকে… কিংবা সবসময়ই কারও সঙ্গে কারও ঝামেলা না হওয়াই ভালো।”
আরও সরাসরি ও সুনির্দিষ্ট করে তাকে প্রশ্ন করা হলো চওড়া হাসিতে মুখ সরিয়ে নিলেন তিনি। তার মুখভঙ্গিতেই পরিষ্কার, এটা নিয়ে আর কথা বলতে চান না। তার পরও একটু যোগ করলেন শুধু, “এটাই বললাম… কোনো ঝামেলাই ভালো নয়, আর কী।”
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।