স্পোর্টস ডেস্ক : দু’দিন আগেই বিসিবির কাছ থেকে কারণ দর্শানোর নোটিশ পেয়েছেন সাকিব আল হাসান । নোটিশের জবাবের সময় দেওয়া হয়েছে তিন দিন। গ্রহণযোগ্য জবাব পেলে কিছুটা ছাড় দেওয়ার চিন্তাভাবনা ছিল কর্মকর্তাদের। এ বিতর্কের মধ্যে রবিবার বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক, টি২০-এর প্রস্তুতি ম্যাচ না খেলা ও মাঠে না যাওয়া নিয়ে নতুন করে আলোচনায় সাকিব। কয়েক দিন ধরেই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে তিনি। তবে প্রস্তুতি থেকে সাকিবের দূরে থাকাকে রহস্যজনক মনে হচ্ছে ক্রিকেট-সংশ্নিষ্টদের।
বিসিবির অনুমতি না নিয়ে গত মঙ্গলবার গ্রামীণফোনের সঙ্গে বিজ্ঞাপন চুক্তি করেন সাকিব। এ নিয়ে শনিবার সন্ধ্যায় কারণ দর্শানো নোটিশ দেয় বিসিবি। ৭২ ঘণ্টার মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে তাকে। জানা গেছে, নোটিশের জবাব একটু সময় নিয়ে দিতে চান সাকিব। গুছিয়ে লেখার ব্যাপারও থাকে। পরিস্থিতি বুঝে পদক্ষেপ ফেলতে চান বিশ্বের অন্যতম সেরা এ অলরাউন্ডার।
সাকিবের কাছের একজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিষয়টি নিয়ে তেমন প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছেন না বাংলাদেশ অধিনায়ক; বরং ঠান্ডা মাথায় ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্তগুলো নেওয়ার চেষ্টা করছেন তিনি।
ইউনিসেফের শুভেচ্ছাদূত হিসেবে রোববার দুপুরে ঢাকার একটি পাঁচতারকা হোটেলে মীনা কার্টুনের অনুষ্ঠানে যোগ দেন সাকিব। সেখান থেকে গিয়েছিলেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের ধানমন্ডির কার্যালয়ে। যেখানে রুদ্ধদ্বার বৈঠকও হয় দু’জনের। তবে তাদের মধ্যে কী নিয়ে আলোচনা হয়েছে, জানা যায়নি।
বিসিবির নির্ভরযোগ্য একজন পরিচালক জানান, বোর্ডের অনুমতি না নিয়ে একাধিক মিডিয়ায় সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন সাকিব। এ মুহূর্তে সাক্ষাৎকার প্রচার হলে নতুন করে বিতর্কের সৃষ্টি হতে পারে, সে কারণেই তাকে ডেকেছিলেন বোর্ড সভাপতি।
তবে গতকাল টি২০ প্রস্তুতি ম্যাচ না খেলায় সাকিবকে নিয়ে নতুন করে কানাঘুষা হচ্ছে। ম্যাচ চলাকালে মাঠেও ছিলেন না তিনি।
বিসিবি ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান আকরাম খান জানান, প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গোর কাছ থেকে ছুটি নিয়েছেন সাকিব। কেন বা কী কারণে ছুটি নিয়েছেন, রাত ৯টা পর্যন্ত তা জানাতে পারেননি আকরাম। সাকিবের মোবাইলে ফোন করেও পাওয়া যায়নি।
তবে বিসিবির কেউ কেউ ধারণা করছেন, শারীরিকভাবে অসুস্থ হতে পারেন বাঁহাতি এ অলরাউন্ডার। শরীর খারাপ করায় শুক্রবার প্রথম দিন ক্যাম্পে যোগ দেননি। সেদিনও কোচের কাছ থেকে ছুটি নিয়েছিলেন। শনিবার মাঠে গেলেও হালকা অনুশীলন করেছেন। শরীর ফিট থাকলে সাধারণত এটা করেন না সাকিব। প্র্যাকটিসে খুবই সিরিয়াস থাকেন তিনি। এবার সবকিছুই কেমন ওলটপালট করে ফেলেছেন। দাবি-দাওয়া আদায়ে ধর্মঘটের ডাক দেওয়ায় বিসিবির সঙ্গে একটা দূরত্ব তৈরি হয়ে গেছে তার। বিসিবি কর্মকর্তারা চটে আছেন তার ওপর। বিসিবি ও সাকিবের মধ্যে যে একটা ঠান্ডা লড়াই চলছে, সেটা বোঝা যায় কর্মকর্তারা তার ব্যাপারে ভালো করে কিছু বলতে চান না।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।