জুমবাংলা ডেস্ক : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজকে ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের সমকক্ষ’ একটি স্বতন্ত্র প্রাতিষ্ঠানিক রুপ দিতে চার সদস্যের উচ্চপর্যায়ের বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। উচ্চপর্যায়ের এই কমিটি আগামী চার মাসের মধ্যে নির্ধারিত কাজ শেষ করবে।
সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের উপসচিব (সরকারি সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা) মো. শাহীনুর ইসলাম সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।
শাহীনুর ইসলাম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যানকে চার সদস্যের এই কমিটির প্রধান করা হয়েছে। আর সদস্য হিসেবে আছেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য ও ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক তানজীমউদ্দিন খান।
কমিটি গঠনের আদেশে বলা হয়েছে, ইউজিসির ওপরে এ কমিটির সাচিবিক দায়িত্ব ন্যস্ত থাকবে। তা ছাড়া প্রয়োজন অনুযায়ী উচ্চশিক্ষার প্রশাসনিক অভিজ্ঞতাসম্পন্ন বিশেষজ্ঞকে কমিটিতে সদস্য হিসেবে সংযোজন করতে পারবে।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকা ঢাকা কলেজসহ রাজধানীর সাতটি সরকারি কলেজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত হয় ২০১৭ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি। অন্য কলেজগুলো হলো ইডেন মহিলা কলেজ, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, কবি নজরুল কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, মিরপুর সরকারি বাঙলা কলেজ ও সরকারি তিতুমীর কলেজ। অধিভুক্তির ফলে এসব কলেজে ভর্তি পরীক্ষা, পাঠ্যসূচি ও পরীক্ষা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পরিচালিত হয়ে আসছে।
ক্ষমতায় পালাবদলের পর সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্তি থেকে বেরিয়ে স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবিতে আন্দোলন করেছেন। তারা জানিয়েছেন, স্বতন্ত্র প্রাতিষ্ঠানিক পরিচয়হীনতায় ভুগছে সাত কলেজ শিক্ষার্থীরা। তারা নিজেদের পরিচয় দিতে গিয়ে নানান সমস্যার সম্মুখীন হয়ে থাকেন।
পরে শিক্ষা মন্ত্রণালয় শিক্ষার্থীদের দাবি যাচাইয়ে একটি কমিটি গঠন করে। কিন্তু শিক্ষার্থীরা তাতেও আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন। ৬ নভেম্বর শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদের আশ্বাসে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন আপাতত স্থগিত করে।
এর মধ্যে নভেম্বর মাসে সরকারি তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় রূপান্তরের দাবিতে মহাখালীতে সড়ক ও রেলপথ আটকে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা। ওই সময়ই শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেছিলেন, কলেজগুলোকে একটি আলাদা প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার পরিকল্পনা চলছে।
উপদেষ্টা বলেছিলেন, আমরা একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি অতি শিগগিরই করতে যাচ্ছি। এই কলেজগুলো একত্রিত একটা প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পেলে, কলেজগুলোকে কীভাবে আরও উৎসাহিত করা যায়, তাদের সুযোগ–সুবিধা, অবকাঠামো কীভাবে আরও বাড়ানো যায়, সমন্বিত প্রাতিষ্ঠানিক রূপ কীভাবে দেওয়া যায়, সেটার নাম তোমাদের (শিক্ষার্থীদের) সবার সঙ্গে আলোচনা করেই দেওয়া হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।